।। প্রথম কলকাতা ।।
Preity Zinta: ‘ছেলে-মেয়ে’ কখনোই সমান নয়। বড় পর্দায় ফিরেই বিষ্ফোরক মন্তব্য প্রীতি জিন্টার। আজকের মহিলারা নাকি আসল কথাটাই ভুলে যান। নেটিজেনরা বলছেন, নারীবাদীদের মুখে নাকি সপাটে চড়। সমতা সমতা করে চিৎকার করলেও মেয়েরা কখনোই ছেলেদের সমান কাজ করতে পারেনা। এমনটাই মত প্রীতি জিন্টার। সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল হইচই। জানেন ঠিক কী বলেছেন নায়িকা? অভিনেত্রীর ব্যাখ্যা শুনলে দুবার ভাবতে বাধ্য হবেন আপনিও।
বরাবরই নিজের বোল্ড আন্দাজের জন্য পরিচিত প্রীতি জিন্টা। সত্যি কথাটা বেশ সপাটেই বলেন তিনি। যে কারণে তাকে নিয়ে চর্চাও চলে বিস্তর। অবশ্য অনেকেই তার সত্যি কথা বলার অভ্যাসটা পছন্দই করেন। তবে এবার অভিনেত্রী যা বলেছেন তা চমকানোর মতই বটে। মাস খানেক আগে নীনা গুপ্তাও এই একই ধরণের মন্তব্য করেছিলেন। সেবারও বেশ হইচই পড়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর এবার সেই একই কথা প্রীতির মুখেও।
নারী-পুরুষ দ্বন্দ্বে প্রীতির বেশ সোজাসাপ্টা বক্তব্য। অভিনেত্রীর সাফ কথা, একজন ছেলে ও মেয়ে কখনোই সমান হতে পারেনা। যে সব মহিলারা নারী পুরুষ সমান বলে চিৎকার করেন তা বৃথা। অর্থাৎ মুখে ‘নারীবাদ’ শব্দটা ব্যবহার না করলেও তিনি যে আসলে নারীবাদীদেরই কটাক্ষ করলেন এটা তো বেশ স্পষ্ট। আজকের দিনে যখন নারী-পুরুষের সমতা নিয়ে এত চর্চা সেখানে প্রীতির এই মন্তব্য যে আলোড়ন তুলবেই, সে তো জানা কথা। এমনকি ছেলে-মেয়ে যে সমান– এই কথাটাও বিশ্বাস করেন না তিনি, কেন? তার নেপথ্যেও কিছু অকাট্য যুক্তি দিয়েছেন প্রীতি।
নায়িকা মনে করেন, প্রকৃতি নারী পুরুষকে সৃষ্টিই করেছেন এভাবে। এখানে কারোরই হাত নেই আর থাকতে পারেওনা। মেয়েদের একটা ‘বায়োলজিক্যাল ক্লক’ রয়েছে। তাই কিছুক্ষেত্রে প্রকৃতির কাছে তো হার মানতেই হয়। অবশ্য এই বিষয়টাকে তিনি কোনও খারাপ চোখেও দেখেন না।
অভিনেত্রীর এই মন্তব্যের পরই বেশ ভালোরকম হইচই শুরু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। নেট মাধ্যম এখন দুই ভাগে বিভক্ত। কেউ বলছেন, এত বড় মাপের অভিনেত্রী হয়ে, প্রীতির নাকি এই কথা বলা একেবারেই উচিত হয়নি। আবার কেউ বলছেন, বাস্তবসম্মত কথা বলেছেন নায়িকা। প্রকৃতির উর্ধ্বে আমরা কেউ নই। আচ্ছা এই বিষয়ে আপনার কী মতামত? আপনিও কি প্রীতির এই মন্তব্যকে সমর্থন করেন? নাকি আপনার কাছেও রয়েছে পাল্টা যুক্তি? নারী পুরুষের এই দ্বন্দ্বে আমরা আপনার মতামতটাও জানতে ইচ্ছুক। তাই মনের কথা জানিয়ে ফেলুন আমাদের কমেন্ট বক্সে।
যদিও ইতিমধ্যেই সিংহভাগ মানুষ কিন্তু প্রীতির দিকেই ভোট দিয়েছেন। নেটিজেনরা বলছেন, বাচ্চা জন্ম দেওয়া এবং তাকে প্রতিপালন করা কিন্তু একটা গুরুদায়িত্ব। যে দায়িত্ব বেশ ভালোভাবেই পালন করেছেন প্রীতি জিন্টা। অভিনেত্রী নিজেও এটাতেই বিশ্বাসী। তাই তো কোনও রাখঢাক না রেখেই স্পষ্ট তিনি বললেন, ‘অনেকেই নিজের জীবনটাই বাঁচতে ভুলে যান। কিন্তু আমি সন্তান চেয়েছিলাম। পাশাপাশি ব্যবসাও আমার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। সবটা মিলিয়ে আমি আমার ব্যক্তিগত জীবনে বেশি ফোকাস করতে চেয়েছিলাম। কেবল একজন ভালো অভিনেত্রী হয়ে পুরো জীবনটা একাকিত্বে কাটাতে চাইনি আমি।”
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম