।। প্রথম কলকাতা ।।
Bangladesh Election: রাজনৈতিক উত্তাপে গরম বাংলাদেশ। একে একে বহু রাজনৈতিক দলই প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করছে। কিন্তু বিএনপি তাদের সিদ্ধান্তে অনড়। অথচ বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা বহু রাজনৈতিক দল তাদের সিদ্ধান্ত বদলেছে। দাবি এক থাকলেও, তারা নির্বাচনে যেতে রাজি হয়েছে। এসবের মাঝে গুঞ্জন উঠেছে, বিএনপির কিছু কিছু নেতা নাকি ভোটে আসতে পারে। সেই অনুযায়ী কৌশল সাজাবে আওয়ামী লীগ।
বাংলাদেশের নির্বাচন এখন পাখির চোখ বহু বিদেশি রাষ্ট্রের কাছে। নির্বাচন কতটা নিরপেক্ষ হবে, এই প্রশ্ন মুখে মুখে। নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে বিদেশি প্রতিনিধিদের আহ্বান জানিয়েছে দেশটা। সেই তালিকায় রয়েছে ভারত রাশিয়া সহজ প্রায় ৩৪ টা দেশ। এক কক্ষ বিশিষ্ট বাংলাদেশের আইনসভা। যেখানে সদস্য সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৩০০। যদিও ভোটে নির্বাচিত হয়ে থাকেন ৩০০ জন সংসদ। বাকি ৫০টি আসন থাকে মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত। ১৫১ টি বা তার বেশি আসনের যে দল জয়ী হবে, তারাই গঠন করবে সরকার। শুধুমাত্র এককভাবে নয়, জোটগত ভাবেও দেশটাতে সরকার গঠিত হতে পারে। প্রতিনিধিগণ নির্বাচিত হন ৫ বছরের জন্য।
বিএনপি ভোটে আসবে কি আসবে না, সেই সিদ্ধান্ত এখনো পর্যন্ত চূড়ান্ত ভাবে জানা যায়নি। কারণ মনোনয়ন জমার পালা শেষ হয়নি। তাই বিএনপির কারা কারা ভোটে আসছে, তা দেখেই নতুন করে কৌশল সাজাতে পারে আওয়ামী লীগ। ভোটের ময়দানেও চলবে ঠিক তেমন প্রস্তুতি। শুধুমাত্র বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার তারিখ বেরোনোর অপেক্ষা। তার মধ্যেই স্পষ্ট হয়ে যাবে বিএনপির কারা কারা ভোটে আসছে। এমনটাই মনে করছে, বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বিএনপির সিদ্ধান্ত দেখার পর নতুন করে নির্বাচনী কৌশল সজনে দলটা অর্থাৎ জোটগত ভোট, ডামি প্রার্থী সহ নানান রকম পরিকল্পনা হাতে রেখে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এ থেকেই স্পষ্ট, আওয়ামীলীগ এখনও আশা করে বসে আছে যে বিএনপি’র কেউ কেউ নির্বাচনে আসতে পারে। যদিও ভোটের ময়দানে বহুদিন আগেই গুঞ্জন উঠেছিল, আওয়ামীলী ভিতর থেকে নিজেদের সোর্স কাজে লাগিয়ে বিএনপি নেতাদের সিদ্ধান্ত বদলানোর চেষ্টা করছে। যদিও দলটা অফিসিয়ালি এই বিষয়ে কোন কিছু মন্তব্য করেনি। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ জুড়ে ধরপাকড়, গ্রেফতার, অবরোধ, হরতালের মত কর্মসূচিতে বিব্রত দেশবাসী। বহু বিএনপি নেতা অন্তরালে গিয়েছে , আবার কারোর দিন কাটছে কারাগারে। বলাই বাহুল্য, আগের থেকে অনেকটা কমে গিয়েছে আন্দোলনের জোর । বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের কাছে ফিকে হয়ে আসছে অবরোধ কর্মসূচির প্রভাব।
এখন দেখার, শেষ পর্যন্ত জয় কার হয়। ২০২৪ এর ৭ই জানুয়ারি নির্বাচনে শেষ হাসি কে হাসে। এখনো পর্যন্ত কিন্তু নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি করে চলেছে বিএনপি সহ সমমনস্ক বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল। তফসিল মেনে নেয়নি। অপরদিকে আওয়ামী লীগের স্পষ্ট কথা, বিএনপিকে তাদের ভোটে আনার কোন কৌশল নেই। তবে যদি বিএনপি আসে, সেক্ষেত্রে কোন আপত্তি নেই বরং তারা এলে স্বাগতম। আসল খটখটা এখানেই। কারণ বাংলাদেশের অন্যতম বিরোধী দল বলে মনে করা হয় বিএনপিকে। সেই বিএনপি যদি ভোটের ময়দানের না লড়ে, তাহলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হতে পারে বিপরীত দিকে থাকা দলের প্রার্থী। ঠিক সেই জন্যই ডামি প্রার্থী রাখার নির্দেশনা এসেছে আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায় থেকে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম