।। প্রথম কলকাতা ।।
Black Alien: শরীর নিয়ে অজস্র কাটা ছেঁড়া। নিজের শরীরের সঙ্গে ভয়ঙ্কর খেলায় মেতেছেন এই যুবক। কেটে ফেলেছেন দুই কান, মাঝখান থেকে চিড়ে ফেলেছেন জিভ। এমনকি বাম হাতে দুটো আঙুলও কেটে বাদ দিয়েছেন। তার এই ভয়ঙ্কর কাঁটা ছেঁড়ার নেশায় বাদ যায়নি চোখের মনিও। নিজেকে চেয়েছিলেন এলিয়েন বানাতে, আর তার খেসারত দিতে হচ্ছে অন্যরকম ভাবে। এই যুবক এলিয়েন হতে ঠিক কি কি করেছেন, জানলে শিউরে উঠবেন।
ফ্রেঞ্চ ম্যান অ্যান্থনি লেফ্রেডো (Anthony Loffredo)। এক অন্য খেলায় মেতেছেন। এই খেলা তার নিজের সঙ্গে। তিনি নিজেকে তৈরি করতে চান এলিয়েন হিসেবে। এখনো পর্যন্ত এলিয়েন নিয়ে প্রচুর গবেষণা হয়েছে। তবে বিজ্ঞানী মহল থেকে এলিয়েনদের সুস্পষ্ট রূপ সম্পর্কে জানা যায়নি। ৩৪ বছরের অ্যান্থনির মাথায় ভূত চাপে তিনি এলিয়েন হবেন। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী কি না করেছেন। এমনকি গলার আওয়াজ পর্যন্ত পরিবর্তন করেছেন। সারা শরীরে এঁকেছেন অজস্র ট্যাটু। নিজেকে ভয়ঙ্কর দেখাতে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ কেটে বাদ দিয়েছেন। তার মাথা কালো, দুটো কান নেই, হাতের দুটো আঙুল নেই। নাকেও চলেছে বিস্তর কাটাকুটি। মাথা এবড়োখেবড়ো। নাক, কান, থুতনিতে বিভিন্ন জিনিস পার্মানেন্টলি ইমপ্লান্ট করিয়েছেন। নিজেই নিজের নাম দিয়েছে ব্ল্যাক এলিয়েন।
তার এই বিকৃত রূপ দেখে চোখ কপালে নেটিজেনদের। নিজের বিপদ নিজেই ডেকে এনেছেন তিনি, সেকথা তিনি স্বীকারও করেছেন। গোটা মাথায় আঁকিবুকি আর উদ্ভট সাজ নিয়ে তিনি যে কতটা বিপদে পড়েছেন তা এখন হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন। বিভিন্ন কোম্পানির দরজায় ঘুরলেও চাকরি মিলছে না। তার আজব রূপের জন্য কেউ চাকরি দিতে চান না। মূলত কাল্পনিক জগতের মানুষ হতে চেয়েছিলেন। পপকালচারকে উৎসর্গ করে বদলে ফেলেছেন নিজের রূপ। কিন্তু তিনি তো বাস করেন বাস্তব জগতে, এটাই হয়ত ভুলে গিয়েছিলেন। তাই বাস্তব জগতের মানুষ তাকে স্বাভাবিক চোখে দেখছে না। অনেকেই আছেন যারা দেখামাত্র দৌড়ে ছুটে পালায়। শিশুরা দেখলে ভয়ে কেঁদে ফেলে। নিজের শখ পূরণ করতে গিয়ে অ্যান্থনি আজ বিপদে। আর পাঁচটা মানুষের মতো সমাজে বসবাস করতে পারছেন না।
ক্লাব ১১৩ নামক একটি পডকাস্টের অনুষ্ঠানে তিনি জানিয়েছেন, তার জীবনের অন্ধকারের কথা। জানান তিনি কাউকে কখনো অস্বস্তিতে ফেলতে চান না। তিনি সবার থেকে দূরে দূরে থাকেন। তাও তাকে দেখামাত্র সবাই দৌড়ে পালায়। সবাই যে সবাইকে বুঝতে পারবে এমনটা নয়। তবে তিনি অনুরোধ করেছেন, সবাই যেন তার সঙ্গে স্বাভাবিক ব্যবহার করে। অ্যান্থনির এমনি দুরবস্থা যে তিনি চাকরিও পাচ্ছেন না। ভাবলে আশ্চর্য হয়ে যাবেন, অ্যান্থনির ইনস্টাগ্রামে প্রায় ১.২ মিলিয়ন ফলোয়ার্স। মানে অ্যান্থনির আজব রূপকে বহু মানুষ পছন্দ করেন। তবে তা সোশ্যাল মিডিয়ায়, যার উল্টোটা ঘটছে বাস্তবে। আজব খেয়ালে ভয়ঙ্কর রূপের কারণে বেশ বেকায়দায় অ্যান্থনি।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম