।। প্রথম কলকাতা ।।
Lok Sabha Election 2024: আসন্ন চব্বিশের লোকসভা নির্বাচন। লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে দলের অভ্যন্তরে সংগঠনকে নিজেদের মত সাজিয়ে নিচ্ছেন রাজনৈতিক দলগুলি। এর মধ্যে বিজেপি, কংগ্রেস এবং তৃণমূল নিজেদের সাংগঠনিক ভীতকে মজবুত করে নিজেদের বাঁধনকে আরও শক্ত করতে উঠে পড়ে লেগেছে। দলের প্রধানরা ঘনঘন বৈঠক করে নিজেদের রূপরেখা তৈরী করছেন। কোথায় কোথায় এই মুহূর্তে তাদের গলদ রয়েছে তা নিজেরাই সারিয়ে তোলার চেষ্টায় রয়েছেন, যাতে কোনোভাবে লোকসভা নির্বাচনে তাদের এই গলদগুলি মাথাচাড়া দিয়ে না ওঠে। কেন্দ্রীয় দল তথা বিজেপির অন্যতম নেতা নরেন্দ্র মোদীর মুখ কে হাতিয়ার করে ভোট বৈতরণী পার করার চেষ্টা করছে। যার ঝলক সদ্য সমাপ্ত মধ্যপ্রদেশ রাজস্থান ও ছত্রিশগড়ের ক্ষেত্রে দেখা গেছে। এছাড়াও রয়েছে মহিলা ভোট ব্যাঙ্কের ঝলকানি। যেটি অস্ত্র হিসাবে বার করছে বিজেপি-তৃণমূল উভয়ই। কিন্তু বাংলার রাজনীতিতে কোন দলের শক্তি বেশি প্রদর্শিত হয়, সেটার জন্য আরও কয়েকটি মাস অপেক্ষা করতে হবে সকলকে।
উনিশের লোকসভা নির্বাচনে ১৪৪টি এমন আসন আছে যা বিজেপি অল্প ব্যবধানে হেরেছিল। আবার এই হারা আসনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আসন জিতেছে কংগ্রেস। চব্বিশের লোকসভায় কংগ্রেসের হাত থেকে সেই আসনগুলো ছিনিয়ে নেওয়ার লক্ষ্য স্থির করেছে বিজেপি। সেকথা মাথায় রেখে তারা এখন থেকেই ঘর গুছিয়ে নিতে মাঠে নেমে পড়েছে। ইতিমধ্যেই লোকসভা নির্বাচনের জন্য সাংগঠনিক বিস্তৃতি কীভাবে ঘটানো হবে, তার রূপরেখা চূড়ান্ত করে ফেলেছেন শাহ-নাড্ডারা।
‘মোদী হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়’ ২০১৯ সালে ভারতের লোকসভা নির্বাচনের আগে এটাই ছিল গেরুয়া শিবিরের স্লোগান। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আর কয়েক মাস বাকি থাকতে ‘সেমিফাইনালে’ তিন রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের জয়ে গেরুয়া শিবিরের আত্মবিশাস দৃঢ় করেছে। বাংলার বিজেপির রাজনীতিবিদদের কথায় ‘নরেন্দ্র মোদির সমকক্ষ যে কেউ নেই তা ফের প্রমাণিত হল’। বিরোধীরা যত অপপ্রচার এবং নরেন্দ্র মোদিকে ব্যাক্তিগতভাবে আক্রমণ করবে, ততই নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিজেপি রাজনৈতিক মানচিত্রে শক্তিশালী হবে।
সংসদে এই মুহূর্তে চলছে শীতকালীন অধিবেশন শেষ হলেই লোকসভা নির্বাচনের উত্তাপ বাড়াতে শুরু করবে বিজেপি। ২২ ডিসেম্বর অধিবেশন শেষ হওয়ার কথা। আগামী ২৪ ডিসেম্বর কলকাতায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। এটি কোনো রাজনৈতিক কমর্সূচি না হলেও লোকসভা নির্বাচনের আগে হাওয়া যে ভালো রকমই উঠবে তা ভালো মতোই আন্দাজ করতে পারছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। মোদীর পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্যে আসবেন। বিজেপি সূত্রে খবর, শাহের সেই সফরের সময় কলকাতায় আসতে পারেন সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাও। কলকাতায় রাজ্য নেতাদের নিয়ে বসে লোকসভা নির্বাচনের রণকৌশল তৈরি করে সফরের মূল লক্ষ্য বলে মনে করা হচ্ছে। দুই নেতার এই সফরে বড় মাপের কোনও জনসভা না-ও হতে পারে। তবে সাংগঠনিক বৈঠক হবে দফায় দফায়। বিভিন্ন স্তরের নেতাদের ডেকে বৈঠক হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম