।। প্রথম কলকাতা।।
History of Previous Election of Tripura: সামনেই বিধানসভা ভোট ত্রিপুরায়। শেষ মুহূর্তের প্রচার সারতে ব্যস্ত রাজনৈতিক দলগুলি। একে অন্যের না পারাগুলোকে তুলে ধরছে জনসাধারণের সামনে। সেইসঙ্গে দিচ্ছে হাজার প্রতিশ্রুতি। জনসাধারণের ভোট পেতে তাঁদের চাওয়া-পাওয়াগুলি পূরণের কথা জানাচ্ছে সব রাজনৈতিক দলই। এরকমই কিছু প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০১৮-য় আড়াই দশকের বাম শাসনের (CPM) অবসান ঘটায় বিজেপি। তার আগে ত্রিপুরা (Tripura Assembly) বিধানসভায় কোনদিন পা বাড়াতে পারেনি গেরুয়া শিবিরের কোনও প্রতিনিধি। বলতে গেলে, ইতিহাস গড়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি (Bharatiya Janata Party)।
যদিও সেবার নির্বাচনের আগে থেকেই বোঝা গিয়েছিল বামকে কড়া টক্কর দেবে বিজেপি (BJP)। কিন্তু তা মানতে চাইষয়নি বামেরা। তবে বিজেপি প্রথম থেকেই বিশ্বাস রেখেছিল পরিবর্তন আসছে। সেই নির্বাচনের দিকে নজর ছিল গোটা রাজনৈতিক মহলের। ঝড় উঠেছিল নির্বাচনী প্রচারে। উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যের বাসিন্দারা স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেনি বিজেপি আসবে ক্ষমতায়। এমনিতে গোটা নির্বাচনের মৌসুম জুড়েই একটা চাপা উত্তেজনা ছিল। কিন্তু তাও গেরুয়া শিবিরের সামনে লাল দুর্গ এভাবে ভেঙে-দুমড়ে-মুছড়ে যাবে, তা কল্পনাতেও ভাবতে পারেনি কেউ। সেবার ফলাফলের দিন বিজেপি ক্রমশ এগিয়ে গিয়েছে দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার দিকে। একের পর এক কেন্দ্রে অপ্রত্যাশিতভাবে হেরেছে সিপিএম। ২০১৮-য় ত্রিপুরেশ্বরী রাজ্যের বিধানসভার মোট ৬০টি আসনের মধ্যে ৫৯টিতে ভোট হয়েছিল। যার মধ্যে বিজেপি ৩৫টিতে, আইপিএফটি ৮টিতে, সিপিএম ১৬টিতে জয়ী হয়েছিল। রাজ্যে ২৫ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা বামফ্রন্ট স্বীকার করে নেয় পরাজয়। তাঁরা জানিয়েছিল, এ ফল তাঁদের কাছে অপ্রত্যাশিত। তাহলে কীভাবে এই জয় হাসিল করল বিজেপি?
*সে বছর বিজেপির স্লোগান ছিল, ‘চলো পাল্টাই’ অর্থাৎ পরিবর্তন চাই। যা ত্রিপুরাবাসীদের আগ্রহ বাড়িয়েছিল।
*বিশ্লেষকরা মনে করেন, তরুণ প্রজন্মের একটা বড় অংশের ভোট গিয়েছিল বিজেপির কাছে। কারণ বারবার প্রচারে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Modi) বলে এসেছিলেন এবং স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন তরুণদের হাতে কাজ দেবেন। আর সেটা বড় রকমের কাজ করেছে নির্বাচনে।
*অন্যদিকে ত্রিপুরার এক তৃতীয়াংশ আসন আদিবাসীদের জন্য সংরক্ষিত। আর আদিবাসী ভোট নিজেদের দখলে নিতে আইপিএফটির সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল বিজেপি। ৯টি আসনের মধ্যে ৮টিতে জয় পেয়েছিল আইপিএফটি।
*তবে যে দলকে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখতো না কেউ, সেই দলই সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয়ী হয়েছে। দু’বছর ধরে তৃণমূল স্তরে সংগঠন গড়ে তোলা নিয়ে জোর দিয়েছিল। বিগত বহুদিন ধরে বামফ্রন্টের বিরোধী শক্তি ছিল কংগ্রেস (Congress)। কিন্তু কংগ্রেসের একটা বড় অংশ যোগ দেয় তৃণমূল কংগ্রেসে। আর বাকি অংশটা চলে আসে বিজেপিতে। আর তারপরেই আসে পরিবর্তন।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম