।। প্রথম কলকাতা।।
Amartya Sen : একদিকে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এবং অন্যদিকে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন ( Amartya Sen) । এই দুইয়ের মাঝে ১৩ ডেসিমেল জায়গা। বর্তমানে এরকম একটা টানাপোড়েন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে শান্তিনিকেতনে । বিশ্বভারতী ( Visva Bharati) কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে অভিযোগ উঠে এসেছে অধ্যাপক সেন অবৈধভাবে ১৩ ডেসিমেল জায়গা দখল করে রেখেছেন । আর সেই জায়গা হল বিশ্বভারতীর । এই মর্মে তিন দিনের মধ্যে দ্বিতীয়বার তাকে একটি চিঠি পাঠানো হল। এই চিঠি পাঠানো হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের যুগ্ম রেজিস্টারের তরফ থেকে।
দ্বিতীয় দফার ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, শান্তিনিকেতনের শ্রীপল্লীতে থাকা ২০১ নম্বর প্লটের । সেই জায়গাটি বিশ্বভারতীর কাছ থেকে লিজে নিয়েছিলেন অধ্যাপক সেনের পরিবার । বিশ্বভারতীর দাবি, অধ্যাপক সেন বর্তমানে মোট ১.৩৮ একর জমি দখল করে রয়েছেন ( Land Controversy)। কিন্তু আইন অনুযায়ী তাঁর জমির পরিমাণ ১.২৫ একর। কাজেই বাকি ১৩ ডেসিমেল জমি দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়কে ফিরিয়ে দেওয়ার আবেদন করা হয়। পূর্বে ২৪ জানুয়ারি অমর্ত্য সেনকে বিশ্বভারতীর তরফ থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। সেই চিঠিতেও একই ধরনের দাবি করা হয় এবং একটি সমীক্ষার মাধ্যমে এই তথ্য তাঁরা পেয়েছেন এমনই জানায় বিশ্বভারতী।
যদিও অধ্যাপক এই সম্পর্কে বিশ্বভারতীকে পাল্টা কোন চিঠি দেননি । অন্যদিকে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর (Bidyut Chakraborty) একটি মন্তব্যকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে । যেখানে বাঙালি জাতি তথা বিশ্বের কাছে অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন নোবেলজয়ী সেখানে বিদ্যুৎ চক্রবর্তী দাবি করেন যে , তিনি নোবেল পাননি। এরপর থেকেই বিষয়টি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসে । উপাচার্যের এই দাবি শুনে কার্যত হেসেই ফেলেছিলেন অধ্যাপক সেন । তাঁর কথায় , উপাচার্য যত খুশি দাবি করতে পারেন। সব মিলিয়ে বর্তমানে এই জমি বিতর্ককে ঘিরে একের পর এক জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে । শেষ পর্যন্ত জল কোন দিকে গড়ায় তা দেখার বিষয়।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম