।। প্রথম কলকাতা ।।
Chili Cultivation: শুধুমাত্র টবে এক বিশেষ লঙ্কা চাষ করে আপনি মোটা টাকা আয় করতে পারেন। ভাবতে আশ্চর্য হলেও, পরিশ্রম আর ধৈর্যের মাধ্যমে অনেক কিছুই করা যায়। কৃষি প্রধান দেশ ভারত। অথচ দেশটির বহু কৃষক কৃষি কাজে প্রতি বছর প্রচুর টাকার লোকসান করেন। এমনকি সারাদিন পরিশ্রম করার পরেও যথাযথ ফসল পান না। কৃষকদের অর্থনৈতিক অবস্থা দিনের পর দিন খারাপ হতে থাকে। বহু কৃষক ফসলের যথাযথ দাম না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েন। বাজারে চাহিদা অনুযায়ী, বুদ্ধি করে এমন কিছু সবজি রয়েছে যা চাষ করলে কম পরিশ্রমে ভালো উপার্জনের সুযোগ রয়েছে। কেরালা, মেঘালয়, আসাম প্রভৃতি জায়গায় বার্ড আই (Bird’s eye) নামক একটি বিশেষ লঙ্কা চাষ করা হয়। এই লঙ্কার ঝাল অন্যান্য লঙ্কাকে তুরি মেরে হারিয়ে দেবে। এর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অত্যন্ত বেশি।
বার্ড আই লঙ্কা (Bird’s eye chili) আপনি জমির পাশাপাশি বাড়িতে ছোট্ট তবেও চাষ করতে পারেন। এর ফলন এতটাই ভাল হয় যে বেশ কয়েকটি টবে চাষ করে আপনি সেই লঙ্কা বাজারে বিক্রি করতে পারেন। একবার এই লঙ্কা গাছ চাষ করলে চার থেকে পাঁচ বছর বেশ ভালো ফল পাওয়া যায়। এক একর জমিতে আপনি একসঙ্গে রোপন করতে পারেন প্রায় ২২ হাজার গাছ। এই লঙ্কা চাষের জন্য খুব একটা আলো বা প্রচুর বৃষ্টির প্রয়োজন নেই। তাই ক্ষতির সম্ভাবনা খুব কম। আপনি সারা বছর চাইলে বার্ড আই লঙ্কা চাষ করতে পারেন। এক একটি গাছ বেঁচে থাকে প্রায় ৬ বছরের বেশি। ফল পাবেন টানা ৪ বছর।
বার্ড আই লঙ্কা চাষের জন্য বীজ বপন করবেন ০.৫ সেন্টিমিটার থেকে ১ সেন্টিমিটার গভীরতায়। বীজ থেকে অঙ্কুরিত, তারপর চারা গাছে পরিণত হতে খুব একটা বেশি সময় লাগবে না। তবে চারা জমিতে রোপণ করার ক্ষেত্রে অত্যন্ত সতর্ক থাকবেন। চারা গাছের ক্ষতি হলে সেই গাছ বেশি দিন বাঁচবে না কিংবা ফল ভালো হবে না। লঙ্কা গাছ চাষের ক্ষেত্রে ১৮° সেলসিয়াস তাপমাত্রা যথেষ্ট। উর্বর জমিতে এই গাছ ভালো হয়। তাই আগে থাকতেই মাঠে একটু ভালোভাবে তৈরি করে নেবেন। দরকার পড়লে জৈব সার মিশিয়ে নেবেন। বর্ষার বিষাক্ত পোকামাকড় এই গাছের খুব একটা ক্ষতি করতে পারে না। সাধারণত লম্বায় গাছগুলি ১৫ থেকে ৩০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। বাজারে এই ঝাল লঙ্কার চাহিদা প্রচুর। বিশেষ করে এর পুষ্টিগুণের জন্য অনেকেই নিয়মিত খেয়ে থাকেন। খেতেও সুস্বাদু।
যে বিষয়গুলি খেয়াল রাখবেন
- উন্নতমানের চারা পেতে গেলে প্রথমে বীজতলায় চারা উৎপাদন করবেন। পরে সেই চারা অন্যত্র রোপণ করবেন।
- বীজতলার মাটিতে প্রথম থেকেই বালি আর সার মিশিয়ে ভালোভাবে তৈরি করে নেবেন। প্রয়োজনে গোবর সার মিশিয়ে মাটির ঝুরঝুর করে নিলে চারা ভালো জন্মায়। জমিতে চাষ দেবেন গভীর ভাবে।
- খেয়াল রাখবেন, জমিতে যেন বীজের পরিমাণ বেশি না হয়। সাধারণত এক বিঘা জমির জন্য প্রয়োগ করতে পারেন ১২০ থেকে ১৩০ গ্রাম বীজ।
- চারা রোপণের আগে ভালোভাবে জমির চাষ দিয়ে নেবেন। এক সারি থেকে আরেক সারির দূরত্ব হবে অন্তত ৬০ থেকে ৭০ সেন্টিমিটার। আর দুটি চারার মধ্যে দূরত্ব হবে অন্তত ৩০ থেকে ৪০ সেন্টিমিটার।
- সূর্যের প্রখর রোদে কখনোই চারা রোপণ করবেন না। তাহলে গাছ মরে যেতে পারে। সকালের দিকে চারা রোপণ করলে সারা বেলা সূর্যের আলো পেয়ে গাছ নষ্ট হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে চারা রোপনের উপযুক্ত সময় বিকাল বেলা।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম