।। প্রথম কলকাতা ।।
সেমিকন্ডাক্টর রেসে বড় খিলাড়ি ভারত। এই চিপ দিয়ে গোটা বিশ্বে কীভাবে রাজ করবে গুজরাট? যুক্তরাষ্ট্রের মাইক্রন কেন এত টাকা ইনভেস্ট করছে ভারতে? ভারতই ভবিষ্যতের চিপ হাব? গাড়ি, স্মার্টফোন, টিভি এবার জলের দরে? বড় বেনিফিট ভারতবাসীর। তাইওয়ানকেও পেছনে ফেলবে? কোন টেকনিকে লিডার হওয়ার স্বপ্ন দেখছে নয়াদিল্লি? সেমিকন্ডাক্টর সেক্টরে নতুন রেকর্ড গড়তে যাচ্ছে ভারত। নরেন্দ্র মোদীর বড় প্ল্যানিং। এবার ভারত এক্সপোর্ট করবে সেমিকন্ডাক্টার চিপ। শত্রুদেশের মুখে ঝামা ঘষে সেমিকন্ডাক্টার দুনিয়ায় রাজ করবে ভারতবর্ষ।
ভারতের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদী ব্যবসার পরিকল্পনা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেমিকন্ডাক্টর চিপ তৈরির সংস্থা মাইক্রনের। গুজরাটে ৮০০ মিলিয়ন ডলার ইনভেস্ট করছে মাইক্রন। আহমেদাবাদের সানন্দে তৈরি হচ্ছে সেমিকন্ডাক্টর অ্যাসেম্বলি, টেস্টিং, মার্কিং, প্যাকেজিং ইউনিট। এই প্রজেক্টে মাইক্রন কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে ৫০ শতাংশ এবং গুজরাট রাজ্য সরকারের থেকে ২০% আর্থিক সাহায্য পাবে। হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের বড় সুযোগ হবে। দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা মেটাবে এই প্ল্যান্ট। খুব তাড়াতাড়ি মাইক্রন এই প্ল্যান্ট তৈরির কাজ শুরু করবে। ভারত বলছে এতে বেনিফিট বিশাল। ঘটবে দুটো জিনিস।
প্রথমত, অন্যান্য বড় সংস্থা ভারতে ইনভেস্ট করার উৎসাহ দেখাবে। দ্বিতীয়ত, যারা অলরেডি ভারতে ব্যবসা করছে বা ইনভেস্ট করেছে তারা আরও বেশি করে ইনভেস্ট করতে চাইবে। জানিয়ে রাখি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সফরের সময়ই ভারতের সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের প্রসার ঘটাতে কথাবার্তা সেরে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। এই বাস্তবায়ন সেটারই ফার্স্ট স্টেপ। আর এটা কখন ঘটছে?যখন তাইওয়ানের সঙ্গে বেজিংয়ের দ্বন্দ্বের মাঝে গোটা বিশ্বে ‘চিপ আতঙ্ক’ দেখা দিয়েছে। বিশ্বের সব ইলেকট্রনিক ডিভাইসেই থাকে সেমিকন্ডাক্টর চিপ। এর সিংহভাগই উৎপাদন হয় তাইওয়ানে। কিন্তু চীন যদি তাইওয়ান অ্যাটাক করে? কী হবে? ঠিক এই সুযোগটাকেই কাজে লাগাচ্ছে ভারত।
এই আবহে বিশ্বের চিপ হাব হয়ে উঠতে চাইছে আমাদের দেশ। আগামী ১২ মাসের মধ্যে ভারতের সেমিকন্ডাক্টর শিল্পে জোয়ার আসতে চলেছে। কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব সাফ জানিয়ে দিয়েছেন মাইক্রনের সঙ্গে যুক্ত আরও পাঁচটা সংস্থা ভারতে আসার আগ্রহ দেখাচ্ছে এমনকি তাইওয়ানের সংস্থার জন্যেও রাস্তা খুলে রেখেছে নয়া দিল্লি প্রস্তাবের সুরে বলেছে, তাইওয়ানের উচিত ভারতে এসে সেমিকন্ডাক্টর তৈরি করা, এতে পারস্পরিক বোঝাপড়া বাড়বে। আরও বড় খবর রয়েছে। তাইওয়ানের সংস্থাকে ভারতে আনতে অলরেডি কাজ শুরু হয়ে গেছে। মোদ্দা কথা তলে তলে অনেক দূর এগিয়ে গেছে মোদি সরকার। ৬টি চিপ ডিজাইন সংস্থাকে অলরেডি ভারতে ব্যবসা চালু করার অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্র। দেশকে ইলেকট্রনিক হাবে পরিণত করার টার্গেট নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। লক্ষ্যপূরণে এই পদক্ষেপ ইতিবাচক বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। মনে করিয়ে দিই, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, আমাদের দেশ সেমিকন্ডাক্টর রপ্তানিতে সব রকম ভাবে সাহায্য করতে প্রস্তুত তাহলে, কী সুযোগ পেতেই সেমিকন্ডাক্টর রেসে লিডার হতে চাইছে ভারতবর্ষ? স্ট্র্যাটেজিটা কিন্তু মারাত্মক। ভারতকে রোখা কঠিন।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম