।। প্রথম কলকাতা ।।
Pakistan: শেষে পাকিস্তান IMFর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে দিল। বড় খবর IMF আর আর্থিক সাহায্য করবে না। হাত তুলে নিয়েছে তারা। এবার ইসলামাবাদের কাছে উপায়? প্ল্যান বি কি তৈরি করেছিল শাহবাজ সরকার? আগামীদিন আরও অন্ধকার বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
পাকিস্তানকে টাকা দেওয়া যেন ব্ল্যাক হোলে অর্থ ঢালার সমান। কোথায় যায় কেউ জানে না। চিৎকার করে গোটা দুনিয়াকে তাহলে এতদিন মিথ্যে জানিয়েছিল পাকিস্তান? এবার সকলের সামনে খুলে গেল মুখোশ। পাকিস্তানের নাগরিকেরা বলছেন তারা কি দোষ করেছেন যে এবার এত বড় শাস্তি পেতে হবে তাদের? পাকিস্তানের মূল্যস্ফীতি রেকর্ড হিট ৩৭.৯৭ শতাংশ। তার মধ্যে আইএমএফ হাত তুলে নিল৷ পরিস্কার জানিয়ে দেওয়া হল তারা আর কোনওভাবে লোন দেবে না পাকিস্তানকে।
কিন্তু হুট করে এমন কি হয়ে গেল? সবই তো ঠিক ছিল সম্প্রতি একটা খবর হয়েছে। জানেন আইএমএফ পাকিস্তানকে মুখের ওপর বলে দিয়েছিল আপনারা যদি লোন চান তাহলে চিনের সঙ্গে সিপিইসির যে চুক্তি হয়েছে তা পুনর্বিবেচনা করুন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চিন সত্যিই কি কখনও পাকিস্তানর ভালো করেছে? চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরে রীতিমত বোকা বনে গিয়েছে ইসলামাবাদ। তাদের লাভের লাভ তো হয়নি বরং ক্ষতিই হয়েছিল অনেক বেশি। তখনও পাকিস্তানের কাছে কোনও প্ল্যান বি ছিল না এবার আছে কি?
অনেকেই বলছেন মন দিয়ে দেশটার সরকার তো চালাতে হবে। শাহবাজ শরিফ ও তার অর্থমন্ত্রী ইশাক দারকে একা দায়ী করলে হবে না। অবস্থাটা একদিনে হয়নি। সরাসরি দেশের জনতার ওপর এফেক্ট৷ কোন পথে হবে কেউ জানে না। পাকিস্তান এই চুক্তি নিয়ে সমঝোতা করত কি করত না তা জানার আগেই মাথায় বাজ পড়ল। ২০১৯ ডিল সালে পাকিস্তান সরকারের সঙ্গে আইএমএফের একটা ডিল হয়। আর সেই ডিল অনুযায়ী ৬ বিলিয়ন ডলার লোন দেওয়ার কথা ছিল আইএমএফের। তবে এই টাকা একেবারে দেওয়া হয় না ভাগে ভাগে দেওয়া হয়।
তথ্য বলছে ইতিমধ্যে ৩.৯ বিলিয়ন ডলার পাকিস্তানকে দিয়েও দিয়েছিল। কিন্তু নাইনথ রিভিউ হওয়ার আগে সরাসরি ইসলামাবাদকে প্রত্যাখ্যান করে দেওয়া হল। ১.১ বিলিয়ন ডলার এই তো দেওয়ার কথা ছিল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ এক অদ্ভুত দলদল৷ আইএমএফ জ্বালানির দাম বাড়ানো, সাবসিডি কমানোর সঙ্গে শর্ত রেখেছিল ৬ বিলিয়ন ডলার জোগার করে আনুন যে কোনও জায়গা থেকে। পাকিস্তান হাত পাতে তাদের মিত্র দেশ চিন, সৌদি আরব, আরব আমিরাতের কাছে।
রিপোর্ট বলছে ৬ বিলিয়ন জোগার করতে না পারলেও ৪.৫ বিলিয়ন পেরেছিল দেশটা। তাতে গোটা বিশ্বে তারা ঢাকঢোল পিটিয়ে বেড়ায় তারা সব শর্ত পূরণ করে ফেলেছে। অনেকেই বলছেন আর আইএমএফে তো আর মূর্খরা নেই আইএমএফ কোনওরকম দয়ামায়া না দেখিয়েই পরিস্কার বলে দিল টাকা দেওয়া সম্ভব নয়। অর্থনৈতিক মহল বলছে দয়া কেন দেখাবে ভালো করে বুঝুন। পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভই রয়েছে এখন ৪.৫ বিলিয়ন ডলার। এই বছর জুন মাসে যা অলরেডি পরে গেছে তাতে ঋণ চোকাতে হবে ৪ বিলিয়নেরই। তাহলে এই অবস্থায় পাকিস্তানকে টাকা দিয়ে তো ফেঁসে যেত আইএমএফ।
পাকিস্তানের অর্থপ্রতিমন্ত্রী ডঃ আইশা পাশা পরিস্কার বলে দিলেন তাদের কাছে কোনও প্ল্যান বি নেই আবারও আইএমএফের পা ধরা ছাড়া কোনও বিকল্প নেই। নেক্সট স্টেপ কী হতে পারে শাহবাজ শরিফের জোট সরকারের৷
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম