।। সুচিত্রা রায় চৌধুরী ।।
Bhutan dokalam: ভুটানের জোর পাল্টি! কাঁচের মতো ভারতের ভরসা ভাঙল৷ ‘হেক্সিয়াও গংডা পলিসি’ নয়া ট্র্যাপ চিনের? ডোকালাম নিয়ে ভারতের নিরাপত্তায় হুমকি কেন? আসল কারণটা জানেন৷ সিকিম-শিলিগুড়ি ডেঞ্জার জোনে পড়ে গেল৷ চিনের সঙ্গে ভুটানের গোপন বোঝাপড়া হল নাকি? ভারত এখনই না আটকালে দেরি হয়ে যাবে
ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং একটা মন্তব্য রক্তচাপ বাড়িয়ে দিয়েছে৷ সিকিম সীমান্তে ভারত আরও টাইট করবে সিকিউরিটি! ভারতের নাকের ডগা দিয়ে ভুটানকে নিজেদের গোলাম করছে চিন৷ ডোকালাম সহ ভুটানটাই কি এবার দখলে চলে যাবে চিনের?
ডোকালামের সংঘাতের নিষ্পত্তির বিষয়ে চিনেরও মত দেওয়ার অধিকার রয়েছে৷ বিস্ফোরক বয়ান ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর৷ কূটনীতিবিদদের একাংশ বলছেন শান্তিপ্রিয় ভুটান বিষপান করতে শুরু করে দিল৷ সিকিম-শিলিগুড়ি করিডর, চিকেন নেক এমুহুর্তে ডেঞ্জার জোনে ৷ ট্রাই জংশন ডোকলাম হল গ্লোবাল পাওয়ার, গ্লোবাল কম্পিটিশনের চোকপয়েন্ট৷ উত্তরে পড়ে চিনের চুম্বি উপত্যকাও৷ ভারত-ভুটানের বাণিজ্যিক সম্পর্ক বিগড়ে যেতে পারে চিন ডোকালাম নিয়ে হস্তক্ষেপ করলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা৷
ভুটানের অংশ ডোকালাম মালভূমি নিয়ে চিন একসময় দাবি করত কিন্তু আসলে যা ভারত-চিন-ভুটানের মাঝে অবস্থিত৷ চিনের দাবি ১৮০০ বছর আগে এই এলাকা তিব্বতে ছিল৷ আর তিব্বত তো চিনের, তাই ডোকালাম লজিক্যালি আমাদের এলাকা৷ সেসময় ভুটান সতর্ক হলেও বিতর্ক থামাতে ১১০০ কিমি এলাকা ভুটান চিনকে দিয়ে দেয় ট্যাকটিক্যালি প্রথম মারাত্মক ভুল শান্তিপ্রিয় দেশ ভুটানের৷ ভুটান ভেবেছিল বিতর্ক থেমে যাবে, কিন্তু সেটা ছিল চিনের এন্ট্রি৷
ভুটানের ভিতরে রয়েছে ডোকালাম৷ ২০১৭ ভারতের সঙ্গে ডোকালাম বিবাদের পর চিন কিন্তু ডোকালাম ছেড়ে পিছনে সরেনি৷ ডোকালামের পূর্ব দিকে আমু চু নদীর দিকে সরে যায় চিন৷ এরপরই চাঞ্চল্যকর স্যাটালাইট চিত্র৷ আমু চু নদীর ব্রিজ এমনকি গ্রামও তৈরি করে ফেলেছেন চিন৷ ঠিক তার পাশে জুমফেরি রিজডের দিকে রাস্তা বানাচ্ছে ড্রাগনের দেশ৷ এই এলাকা এতটাই উঁচু এলাকা যে এখান থেকে ঠিক পাশে থাকা সিকিমের ভারতীয় সেনার ওপর নজরদারি করতে পারবে পিএলএ আর্মি৷ এমনকি শিলিগুড়ি করিডরেও কলকাঠি নাড়তে পারবে চিন৷ ভারতের নিরাপত্তা এমূহুর্তে কতটা হুমকির মুখে বুঝতে পারছেন?
সাধারণত দুর্বলকে শান্তনা দেওয়া হয়৷ কিন্তু জিও পলিটিক্সে সেটাও হয় না এখানে যে দুর্বল সে নিজের জমি বা ভুখন্ড হারায় কূটনৈতিক মহলের দাবি, হয়ত ভুটানকে বিপুল অর্থ, নিরাপত্তা ও ব্যবসায়িক প্রলোভন দেখাচ্ছে চিন৷ এভাবেই ‘হেক্সিয়াও গংডা পলিসি’ নিয়ে ছোট ছোট ভুখন্ড দখল করতে করতে গোটা সাউথ এশিয়ার ওপর আধিপত্য বিস্তার করবে চিন৷ কিন্তু মনে রাখতে হবে ভারত ভুটানের টপ ট্রেডিং পার্টনার৷ ভুটান সম্ভবত পিস মিল থিওরি নিয়ে এগোতে চাইছে৷ এর মানে চিনের সঙ্গে বিতর্কিত একটা ইস্যুর তো আগেই সমাধান হোক তারপর অন্যটা হবে৷ শেরিং বলছেন, ডোকালাম নিয়ে আমরা আলোচনার জন্য প্রস্তুত। বাকি দুই পক্ষ রাজি থাকলে যে কোনও মুহূর্তে আলোচনা হতে পারে৷
কিন্তু বিশ্লেষকেরা বলছেন ডোকালাম তো ভুটানেরই অংশ তাহলে তার অধিকার নিয়ে আবার কিসের? আপনার ঘরে শত্রু ঢুকে তা নিজের বললে তা নিয়ে কি আলোচনায় বসেন আপনি নাকি খেদিয়ে ঘর থেকে বের করে দেন? চিনের দাবি, ত্রিদেশীয় জংশনকে আরও সাত কিলোমিটার দক্ষিণে সরিয়ে গিপমোচি পাহাড়ের চূড়ায় নিয়ে যাওয়া হোক কিন্তু তেমন হলে, গোটা ডোকলাম মালভূমি আইনত চিনের দখলে চলে যাবে, যাতে তীব্র আপত্তি দিল্লির। ভারত কোন স্ট্রাটেজিতে চিনের পক্ষে সরতে থাকা ভুটানকে নিজেদের দিকে টানবে? সেটাই এবার দেখার।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম