।। প্রথম কলকাতা ।।
Christmas Party 2023: পার্টি মানেই সেখানে আনন্দ হইহুল্লোড় হবে। সেটাই স্বাভাবিক। সাথে খানাপিনা তো রয়েইছে। তার উপর ক্রিসমাস পার্টি বলে কথা। সারারাত ধরে চলবে আনন্দের ফোয়ারা। কিন্তু একটু সাবধান। বেনিয়ম হলে বারোটা বাজতে পারে ফুসফুস আর হার্টের।
ক্রিসমাস পার্টির (Christmas party) উচ্ছ্বাসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ঠাণ্ডা। কনকনে ঠাণ্ডায় হিমেল হাওয়া মেখে খোলা আকাশের নিচে পার্টি করলে হার্ট এবং ফুসফুসের ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্ট হতে পারে। শীতের ঠাণ্ডা খুব সহজেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে এবং স্বাস্থ্য সমস্যা গুলিকে সংবেদনশীল করে তোলে। অন্যান্য ঋতুর তুলনায় শীতকালে হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক (heart attack) এবং শ্বাসকষ্টের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পায়। তা বলে ঠাণ্ডার ভয়ে ক্রিসমাসের পার্টি উদযাপন হবে না এমনটা নয়। পার্টি হবে সামান্য নিয়ম মেনে, আপনাকে শুধু একটু সচেতন থাকতে হবে। যখনই শরীরের তাপমাত্রা কমতে থাকে তখন ফুসফুস (lungs) বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখায়। তখনই তৈরি হয় শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা। ঠাণ্ডা বাতাসে কম আদ্রতা থাকে, যার কারণে শ্বাস-প্রশ্বাসের নালি শুকিয়ে যায়। এর ফলে হতে পারে অ্যাজমা অ্যাটাক কিংবা নিউমোনিয়া (pneumonia)। বিশেষ করে যাদের শৈশব থেকে অ্যাজমার ইতিহাস রয়েছে তাদের একটু বেশি সাবধানে থাকা উচিত। ক্রিসমাসের পার্টিতে অবশ্যই কিছু সাবধানতা মেনে চলুন, না হলে নিউ ইয়ার পার্টি ভালোভাবে উদযাপন করতে পারবেন না, অসুস্থ হয়ে যেতে পারেন।
মুখ ঢেকে রাখুন মাস্কে
সব সময় মুখ মাস্ক কিংবা রুমাল দিয়ে ঢেকে রাখার চেষ্টা করুন। এটি একটি প্রাথমিক এবং প্রধান টিপস যা হাঁপানিকে সহজেই প্রতিরোধ করতে পারে। বিশেষ করে যারা হাঁপানির সমস্যায় ভুগছে তাদের দৈনন্দিন রুটিনে এই প্রয়োজনীয় অভ্যাসটি অত্যন্ত জরুরি। কারণ আপনি যে বাতাসে শ্বাস নিচ্ছেন, তা দূষণ এবং বিপ্পজনক হতে পারে যা ফুসফুসে গিয়ে অন্যতম বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
নিজেকে উষ্ণ রাখুন
এই সময় নিজেকে উষ্ণ রাখা অত্যন্ত জরুরি। আপনি যদি ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় সহজেই কাবু হয়ে পড়েন, তাহলে শরীরকে উষ্ণ রাখতে পর্যাপ্ত গরম কাপড় দিয়ে নিজেকে ঢেকে রাখার চেষ্টা করুন। খোলা আকাশের নিচে পার্টি করা একটু এড়িয়ে চলুন। আবহাওয়া খুব ঠাণ্ডা থাকলে চেষ্টা করুন ঘরের ভিতর থাকার।
শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকুন
শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকা অত্যন্ত জরুরি। বাইরে কোন ধরনের শরীরচর্চা করার দরকার নেই। আপনি হালকা যোগব্যায়াম, হোম ওয়ার্কআউট, ধ্যানের মতো অভ্যন্তরীণ ক্রিয়াকলাপ করতে পারেন। নিয়মিত ব্যায়াম আপনার শরীরকে উষ্ণ রাখবে এবং ফিট থাকতে সাহায্য করবে। দৈনন্দিন রুটিনে এমন কোন কঠোর ব্যায়াম বা ভারী কাজ যোগ করবে না যা পরবর্তীকালে আপনার শরীরের জন্য বোঝা হয়ে উঠতে পারে। কারণ এই অভ্যাস হৃদরোগের অন্যতম কারণ। আপনি বাড়ির ছোট ছোট কাজ করতে পারেন কিংবা হালকা ব্যায়াম করতে পারেন। আরো ভালো হয় যদি প্রতিদিন অন্তত ৪০ মিনিট থেকে ১ ঘন্টা টানা হাঁটেন।
প্লেটে রাখুন বিশেষ খাবার
ক্রিসমাস পার্টিতে শরীর গরম রাখতে খাবারের তালিকায় রাখুন বাদাম আর কিসমিস। শীতকালে আঁশ জাতীয় খাবার একটু বেশি খেলে হজম প্রক্রিয়া ভালো হয় এবং শরীরের ভেতরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে থাকে। শরীর গরম রাখতে রোজ এক চামচ করে ঘি খেতে পারেন। বিশেষ করে যারা শীতকালে ঠাণ্ডার সমস্যায় ভোগেন তাদের অবশ্যই ডায়েটে যোগ করা দরকার তৈলাক্ত মাছ। এই ধরণের মাছে থাকে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড এবং প্রোটিন। এগুলি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় রাখে এবং অ্যামাইনো অ্যাসিড তৈরি করে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম