।। প্রথম কলকাতা ।।
Cyclone Alert: বছরের প্রথম ঘূর্ণিঝড় মোচা কতটা তান্ডব চালাবে পরিস্কার হল ছবি। ঘূর্ণিঝড় মোচা না আসলেও স্বস্তি পাবে না বঙ্গবাসী শুধু বাংলা নয় অ্যালার্টে আরও এক রাজ্য। আরেকটা আমফান যাতে না হয় নবান্ন খুলে দিল কন্ট্রোল রুম। বাংলার কোন কোন জেলায় জারি হবে অ্যালার্ট? বঙ্গোপসাগরের ওপরই এখন মূলত নজর আবহাওয়াবিদদের। ঘূর্ণিঝড় মোচার প্রভাব কি এখন থেকেই বাংলার বিভিন্ন জেলায় পড়তে শুরু করে দিয়েছে? তাহলে সাবধান হয়ে যান। নবান্ন কন্ট্রোল রুম খুলে দিয়েছে। রাজ্যের সব জায়গায় বিপজ্জনক নদী বাঁধগুলির পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হবে।
মার্কিন বেসরকারি আবহাওয়া গবেষণা ইনস্টিটিউট জানাচ্ছে, বঙ্গোপসারে মাথাচাড়া দিচ্ছে ঘূর্ণিঝড় মোচার। ওডিশা উপকূলে আছড়ে পড়ার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। আর এই খবরই ঘূর্ণিঝড় ফণীর স্মৃতি আবারও উস্কে দিচ্ছে ওড়িশাবাসীর মনে৷ তবে বাংলাদেশে মোচা আদৌ আছড়ে পড়বে কিনা তা নিয়ে যেমন বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
বাংলা নিয়ে কী বলছে আইএমডি? আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন ৩ এবং ৪ মে দুই বঙ্গের বিভিন্ন জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাত হবে। চলবে ঝোড়ো হাওয়া। এদিকে ওড়িশার পট্টনায়ক সরকারও কিন্তু পদক্ষেপ করা শুরু করে দিয়েছে। আগাম সতর্কতা হিসেবে মঙ্গলবারই এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক। আধিকারিকদের কোনওরকম পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। বলা হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় না এলেও সতর্ক থাকতে হবে বঙ্গবাসীকে৷ কারণ এর প্রভাব হবে মারাত্মক৷
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। যা শীঘ্রই নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। তবে বাংলায় কোনও ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়বে না। তাতেও খুব একটা স্বস্তি নেই। কারণ এর প্রভাবে উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি হতে পারে বিক্ষিপ্তভাবে। দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং জলপাইগুড়ি জেলাতে। দক্ষিণবঙ্গের নয়টি জেলায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। তালিকায় রয়েছে দুই ২৪ পরগণা, দুই মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া এবং কলকাতা। দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় কালবৈশাখী দাপট বাড়বে। এর মধ্যে আছে পুরুলিয়া ও পশ্চিম বর্ধমান।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম