।।প্রথম কলকাতা।।
Cheque bounce new rule: এবার থেকে চেক কাটার আগে দেখে নিন অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত টাকা রয়েছে কিনা। না হলে বড়সড় বিপদের মধ্যে পড়তে হবে আপনাকে। চেক বাউন্স নিয়ে নতুন নিয়ম আসতে চলেছে। যে অ্যাকাউন্ট থেকে চেক ইস্যু করা হয়েছে তাতে পর্যাপ্ত টাকা না থাকলে ইস্যুকারীর অন্য অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কেটে নেওয়া হতে পারে আবার নতুন অ্যাকাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে।
চেক বাউন্স করা মানে কোনো একজনকে তার প্রাপ্য অর্থ থেকে বঞ্চিত করা। তাই দেশের আইন অনুযায়ী তা ক্রিমিনাল অফেন্সের মধ্যে পড়ে। জনৈক ব্যক্তি যদি কারোর পাওনা চেকের মাধ্যমে মেটান এবং ব্যাংক সেই টাকা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে দিতে অস্বীকার করে তবে তাকে চেক বাউন্স বা চেক ডিজঅনার বলা হয়।
বেশিরভাগ সময়ই অ্যাকাউন্টে টাকা না থাকার দরুন এমন ঘটনা ঘটতে পারে। এক্ষেত্রে পাওনাদার লিখিত অভিযোগ করতে পারেন এবং অর্থপ্রাপ্তির জন্য সিভিল কেসও হতে পারে। চেক বাউন্স করার ৩০ দিনের মধ্যে পাওনাদারকে একটি ডিমান্ড নোটিশ পাঠাতে হয়।ঐ নোটিশ পাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যেও যদি টাকা পাওয়া না যায় জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ দাখিল করা চলে।
আরও পড়ুন : চলতি অর্থবছরে ৭ শতাংশ হারে বাড়বে ভারতের অর্থনীতি, বৃদ্ধি বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডারেও : RBI
অন্যদিকে চেক বাউন্স হয়ে গেলে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। অর্থাৎ চেক থেকে টাকা তুলতে না পারলে বেশ সমস্যা সৃষ্টি হয়। আসলে চেক বাউন্স এর ফলে বেড়েছে আইনি বোঝাপড়াও। তাই এবার থেকে আইনি জটকাটাতে কিছু পদক্ষেপ নিতে চলেছে সরকার। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী এমনটাই জানা যাচ্ছে। এর মধ্যে একটি সিদ্ধান্ত হল, চেক স্বাক্ষরকারীরা অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত টাকা না থাকলে তার অন্য অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কেটে নেওয়া হতে পারে। এছাড়া চেক বাউন্স এর ক্ষেত্রে গ্রাহকের ঋণ খেলাপি হিসেবে বিবেচনা করা হবে। নতুন অ্যাকাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে।
সাম্প্রতিক সময় চেক বাউন্স এর ঘটনা বেড়ে গিয়েছে। যা আইনি লড়াই পর্যন্ত গড়াচ্ছে। এর ফলে দেশের আইন ব্যবস্থার উপরে চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী জানা যাচ্ছে অর্থ মন্ত্রকের তরফে সম্প্রতি একটি এই বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ে বৈঠক করা হয়েছিল। এখানে চেক বাউন্স আটকাতে কি কি কি পদক্ষেপ করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : আধার ও প্যান কার্ড লিঙ্কের তারিখ বেঁধে দিল আয়কর দপ্তর, নাহলে বড় জরিমানা
বেশ কয়েকটি প্রস্তাব উঠে এসেছে।তার মধ্যে একটি হল চেক বাউন্স হলে সেটাকে ঋণ খেলাপি হিসেবে ধরা হতে পারে। সেক্ষেত্রে ক্রেডিট ইনফরমেশন কোম্পানির কাছে এই ঘটনা জানানো হবে। যাতে সংশ্লিষ্ট চেক ইস্যুকারী ব্যক্তির ক্রেডিট স্কোর কমে এবং ভবিষ্যৎ আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে তাকে সমস্যায় পড়তে হয়। তার জন্যই এই প্রস্তাব উঠে এসেছে। আবার বলা হয়েছে চেক বাউন্স হলে ব্যাংক থেকে টাকা তোলার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা সংস্থার বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট নিষেধাজ্ঞা জারি করা হোক। যাতে চেকে উল্লিখিত অর্থ প্রদানে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা সংস্থা দায়বদ্ধ থাকে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন এই প্রস্তাবগুলি বাস্তবায়িত হলে চেক বাউন্স এর ঘটনা কমবে। সে ক্ষেত্রে জমে থাকা মামলার সঙ্গে এই সংক্রান্ত নতুন কেস আর যোগ হবে না। অনেকের অ্যাকাউন্টে টাকা না থাকা সত্ত্বেও ইচ্ছাকৃতভাবে চেক লেখেন। সেই প্রবণতাও বন্ধ হবে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম