।। প্রথম কলকাতা ।।
YouTube: আপনি কি প্রতিদিন বেশ কয়েক ঘন্টা ধরে ইউটিউবে (YouTube) ভিডিও (Video) দেখেন? কিংবা অবসর সময়ে বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছেন ইউটিউবকে! তাহলে একটু সাবধান হন। ইউটিউবের মাধ্যমে ফাঁকা হয়ে যেতে পারে আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট (Bank Account)। সম্প্রতি ‘হিন্দুস্তান’ এ (হিন্দি) প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইউটিউবের মাধ্যমে আপনার ব্যক্তিগত তথ্যচুরির পাশাপাশি ব্যাঙ্ক থেকে টাকা লোপাট হয়ে যেতে পারে।
বর্তমানে অন্যতম একটি ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম হল ইউটিউব। যেখানে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ ভিডিও আপলোড করা হয়, আর কোটি কোটি ব্যবহারকারী সেই ভিডিও দেখেন। অনেকেই ইউটিউবের মাধ্যমে মাস গেলে লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করেন। বেশিরভাগ ব্যবহারকারীরা জানেন না যে কিছু ইউটিউব ভিডিওতে ম্যালওয়্যার সম্পর্কিত লিঙ্ক থাকতে পারে। যার মাধ্যমে সংবেদনশীল তথ্য চুরির পাশাপাশি আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সাফ হয়ে যেতে পারে। সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা এই ধরনের ম্যালওয়্যার সম্পর্কে সতর্ক করেছেন।
এআই সাইবার সিকিউরিটি কোম্পানি ক্লাউডসেকের (Cloudsek) গবেষকদের মতে, ইউটিউব ভিডিওর মাধ্যমে এই ধরনের অপরাধের ঘটনা প্রায় ২০০ থেকে ৩০০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২.৫ বিলিয়নেরও বেশি সক্রিয় মাসিক ব্যবহারকারীরা আক্রমণকারীদের জন্য সহজ লক্ষ্য হয়ে উঠেছে। ব্যাঙ্কিং ম্যালওয়্যারগুলি ইউটিউব (YouTube) ভিডিওগুলির মাধ্যমে ডিভাইসগুলিতে বিতরণ করা হয়, যা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর, সিভিভি এবং পিনের মতো তথ্য চুরি করতে পারে৷ এই তথ্য চুরি করার জন্য ম্যালওয়্যার গুলি বিশেষ ভাবে ডিজাইন করা হয়েছে। যা জাল ওয়েবসাইট, ইউটিউব টিউটোরিয়ালের মাধ্যমে খুব সহজেই ছড়িয়ে পড়ে। একবার ডেটা সংগ্রহ করা হলে তারা আক্রমণকারীর কমান্ড এবং নিয়ন্ত্রণ সার্ভারে পাঠিয়ে দেয়। পরবর্তীকালে ডেটা হ্যাকিং এবং অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা লোপাট করার জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
মনে করা হচ্ছে, এখন আক্রমণকারীরা এআই জেনারেটেড ভিডিওর সাহায্যে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের টার্গেট করছে। এই ধরনের আক্রমণকারীদের জন্য ইউটিউব একটি অন্যতম প্লাটফর্ম হয়ে উঠেছে। যেখানে তাদের ভিডিওগুলির যতটা সম্ভব বেশি মানুষের কাছে ছড়িয়ে দিতে পারে। গবেষণায় বলা হয়েছে, প্রতি ঘন্টায় প্রায় পাঁচ থেকে দশটি ক্র্যাক সফটওয়্যার ডাউনলোড ভিডিও ইউটিউবে আপলোড করা হয়। যার মাধ্যমে ব্যবহারকারী ডাউনলোডের ফাঁদে পড়েন। ইউটিউবের পক্ষে এই ধরনের ভিডিও খুব সহজে শনাক্ত করে ব্লক করা সহজ নয়। তাই নিরাপদে থাকতে এই বিষয়গুলি থেকে সাবধানে থাকতে হবে। এক্ষেত্রে সর্বদা লাইসেন্স প্রাপ্ত সফটওয়্যার ব্যবহার করুন কিংবা অন্য বিকল্প বেছে নিন। সাধারণত ইউটিউবে ভিডিওর বর্ণনা বা মন্তব্যে কিছু লিঙ্ক দেওয়া থাকে। সেগুলিকে চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করবেন না। এই ভিডিওগুলির বেশিরভাগই মানুষকে জনপ্রিয় সফটওয়্যার যেমন অ্যাডোব ফটোশপ, প্রিমিয়ার প্রো, অটোডেস্ক 3ds ম্যাক্স, অটোক্যাডের মতো বিনামূল্যের এবং ক্র্যাক করা সংস্করণগুলি ডাউনলোড করতে প্রলুব্ধ করে৷
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম