।। প্রথম কলকাতা ।।
এখনই সতর্ক হয়ে যান! সুগার নিয়ন্ত্রণে না রাখার মাসুলে কিন্তু প্রাণহানি হতে পারে। দেশ জুড়ে সমীক্ষার মাধ্যমে করা হয়েছে বিশেষ একটি গবেষণা। তার ফল যা এসেছে তা কিন্তু একেবারেই আশানুরূপ নয়। ছোট বড় এখন প্রায় সকলেরই সুগার একটা কমন রোগ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সবার আগে প্রয়োজন এই রোগের প্রধান কারণ গুলি জানা এবং সচেতন হওয়া। আজ যে তথ্য আপনাদের সামনে তুলে ধরবো তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এদেশে যারা ডায়াবেটিসের শিকার তাদের মধ্যে ৬০% শতাংশ রোগী অনিয়ন্ত্রিত সুগারের সমস্যায় ভোগেন। অনিয়ন্ত্রিত সুগারের রোগীদের মধ্যে ৪০% হার্ট অ্যাটাক এবং ৮২% নিউরোপ্যাথির শিকার। ডায়াবেটিস নিয়ে একটি বহুজাতিক ওষুধ সংস্থা যার নাম ‘স্যানফি ইন্ডিয়া’, গোটা দেশ জুড়ে একটি সমীক্ষার মাধ্যমে গবেষণা চালিয়েছে। সেখানে উঠে এসেছে একাধিক তথ্য। সম্প্রতি গবেষণা পত্র আকারে আমেরিকান ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক সম্মেলনে এটি পেশ হয়। পরবর্তীতে ‘এন্ডোক্রিনোলজি, ডায়াবেটিস অ্যান্ড মেটাবলিজম’ নামের জার্নালে তা প্রকাশিত হয়েছে। তিন বছর ধরে দেশের ৪৫০টি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চলা স্টাডিতে প্রকাশিত হয়েছে , কলকাতা-সহ পূর্ব ভারতের ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে ৮০% উচ্চ রক্তচাপ এবং ৫০% কোলেস্টেরলের সমস্যায় ভুগছেন।
এই প্রকল্পের মুখ্য গবেষক ছিলেন, পুদুচেরির মহাত্মা গান্ধী মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক অশোক কে দাস। তিনি জানাচ্ছেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মোট ৫,২৭৩ জন টাইপ-২ ডায়াবেটিসের রোগীর মধ্যে তিন বছর ধরে ফলো-আপ হেলথ চেক-আপ চালানো হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে, কিডনি ও হার্টে প্রভাব পড়েছে ৩.৩% রোগীর এবং নার্ভ ও রেটিনায় প্রভাব ১৮% রোগীর। এঁদের মধ্যে ৭০-৭৮% রোগীরই সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকে না। সমীক্ষার গোড়ার দিকে যেখানে ২৫% রোগী ইনসুলিন নিতেন, তিন বছর পরে সমীক্ষার শেষে দেখা যায়, পরিস্থিতির অবনতিতে ৩৭% রোগী ইনসুলিন নিচ্ছেন।
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, তিন বা তার বেশি ওষুধ খেলে বাড়তি লাভ হয় না। সুগার কমাতে গেলে ইনসুলিনই সেরা অস্ত্র। আর শুধু ওষুধে ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় না। খাদ্যাভ্যাস ও জীবনশৈলীর পরিবর্তনও জরুরি। দেশের কমপক্ষে ১০ কোটি মানুষ ডায়াবেটিসে ভোগেন। এর মূল কারণ হলো অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন, অতিরিক্ত ফাস্ট ফুড আর অতিরিক্ত মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়া। নিয়মিত ব্যায়াম, সঠিক খাদ্যাভ্যাস এই রোগ থেকে মুক্তি দিতে পারে। প্রয়োজন শুধু সচেতনতা।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম