।। প্রথম কলকাতা ।।
Cholesterol: কোলেস্টেরল (Cholesterol), এই নামটা শুনলে অনেকেই এখন চিন্তিত হয়ে পড়েন। অতিরিক্ত কোলেস্টেরলের কারণে শরীরে যে ঠিক কত রকমের গোলযোগ হতে পারে তা আন্দাজেরও বাইরে। প্রচুর ব্যস্ততার অনিয়মিত জীবন যাপনের কারণে সব থেকে বড় শত্রু হয়ে দাঁড়িয়েছে এই কোলেস্টেরল (Cholesterol)। সুস্থভাবে সুস্থ স্বাভাবিক জীবন যাপনের অন্যতম ভিলেন। যদিও অল্প পরিমাণে কোলেস্টেরল শরীরের জন্য ভাল, কিন্তু এর মাত্রা অতিরিক্ত হলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। স্ট্রোক (Stroke) বা হার্ট অ্যাটাকের (Heart Attack) পিছনে বেশ বড়সড় ভূমিকা রাখে কোলেস্টেরল। অনেকেই আছেন যারা নিজেদের অনিয়মিত জীবন-যাপনের কারণে সেভাবে স্বাস্থ্যকর খাবারের রুটিনের দিকে খেয়াল রাখতে পারেন না। অজান্তে শরীরে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়তে থাকে, যার কারণে বহুগুণে বৃদ্ধি পায় হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের ঝুঁকি । হৃদরোগের আশঙ্কা বাড়াতে কিংবা রক্তসংবহনের ক্ষেত্রে নানান সমস্যা তৈরির ক্ষেত্রেই অন্যতম কালপিট কোলেস্টেরল। খাবারের তালিকায় কয়েকটি খাবার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় যোগ করে কোলেস্টেরল নামক এই মহা সমস্যার হাত থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
(১) বাদামে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়ামের মতো অত্যন্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপাদান । এটি আপনার শরীরের এনার্জি পরিপূর্ণ রাখবে, এছাড়াও রক্তে ক্ষতিকারক চর্বির পরিমাণ প্রায় ৫ শতাংশ কমে যেতে পারে। প্রতিদিন কয়েকটা বাদাম খাবারের তালিকায় রাখতে পারেন। অতিরিক্ত পরিমাণে বাদাম খাওয়া এড়িয়ে যেতে হবে।
(২) ওটস অত্যন্ত সুস্বাদু খাবার। এমনি থেকেই যারা স্থূলতার কারণ নিয়ে চিন্তিত তারাও তাদের খাবারের তালিকায় ওটস রেখে দিতে পারেন। এছাড়াও ওটস অন্ত্রে কোলেস্টরল শোষণের ক্ষেত্রে বাধা তৈরি করে। ওটসে থাকা ফাইবার আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
(৩) কোলেস্টেরলের ভয় কমাতে সামুদ্রিক তৈলাক্ত মাছ খাদ্য তালিকায় রেখে দিতে পারেন । কারণ এই ধরনের মাছে থাকে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড। এই অ্যাসিড রক্তে থাকা ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা অনেকাংশে কমিয়ে দেয়।
(৪) সিমের দানা কিংবা মটরশুঁটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার , যা খেলে আপনার সহজে খিদে পাবে না এবং অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকবে। এছাড়াও পরিমিত পরিমাণে এই খাবার শরীরে কোলেস্টেরলের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে।
(৫) রক্তে ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল কিংবা এলডিএলের মাত্রা প্রায় ১০ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রেখে দিতে পারেন সবুজ শাকসবজি। সবসময় চেষ্টা করবেন খোসাসহ ফল খেতে। সবুজপাতা , ডাঁটা ওয়ালা সবজি কিংবা আপেল, পেয়ারা প্রভৃতি অন্ত্রে চর্বি শোষণের ক্ষেত্রে বাধা তৈরি করে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম