।। প্রথম কলকাতা ।।
এবার লক্ষ্মী পুজোর সাজে অনন্যা হয়ে ওঠার পালা ভরসা থাক শাড়িতেই। কোজাগরীতে ঘরে অনেক কাজ। পুজোর জোগাড় থেকে ভোগ রান্না সব সামলাতে হবে আপনাকেই। তার মাঝেই হয়ে উঠতে হবে লক্ষ্মীমন্ত। সেজন্য কেমন হবে আপনার সাজ? চলুন কিছু টিপস জেনে নেওয়া যাক এই প্রতিবেদনে। উৎসবের মরশুমে আপাতত ইতি নেই। বিজয়ার রেশ কাটতে না কাটতেই এসে গিয়েছে লক্ষ্মীপুজো। সব বাড়িতেই চলছে কোজাগরীর আরাধনা। এ যুগের মেয়েরা রূপে লক্ষ্মী গুণে সরস্বতী। রাতে ল্যাপটপে মুখ গুজে অফিসের কাজ সারা থেকে ভোগের বাজার, সবেতেই পটিয়সী। সেই সঙ্গে ফ্যাশন সচেতন তো হতেই হয়। বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ যেমন রয়েছে, ঠিক তেমনই সেই তেরো পার্বণের সঙ্গে ফ্যাশনের রকমফেরও রয়েছে। তাহলে এবার বলা যাক, কীভাবে সাজবেন লক্ষ্মীপুজোয়?
লক্ষ্মীপুজো মানে বাড়ির লক্ষ্মীদের অনেক কাজ। কোমর বেঁধে হেঁশেলে ভোগ রান্নার ওপর খবরদারি করা থেকে, অতিথি আপ্যায়ণ সবেতেই নজরদারি চালাতে হয়। অনেক ঝক্কি! কিন্তু লক্ষ্মীপুজোয় শাড়ি ছাড়া আবার সাজ হয় নাকি? অতএব, দিনের বেলায় হালকা শাড়ি পরাটাই বুদ্ধিমানের। লক্ষ্মীপুজো মানেই লালপেড়ে সাদা শাড়ি।কিংবা লাল, হলুদ-ঘিয়ে রঙা শাড়িতে সেজে আলপনা দিতে ব্যস্ত হবেন বাড়ির মেয়ে-বউমারা। তবে একটু অন্যরকম সাজতে চাইলে ব্লাউজের কাটে আনুন তারতম্য। ছিমছাম একরঙা শাড়ির সঙ্গে ঝলমলে জমকালো ডিজাইনার ব্লাউজ দিব্যি মানাবে। মায়ের হোক কিংবা নিজের বেনারসি, লাল-রানি-গোলাপি, কমলা রঙের হলে দিব্যি পরতে পারেন। সঙ্গে হাতে-কানে, গলায় শোভা পাক ভারী গয়না। তা সে সোনারও হতে পারে অথবা আজকাল বাজারচলতি ইমিটেশনের গয়নাও।শাড়িতে রুপোলি ছোঁয়া থাকলে ভারী রুপো কিংবা অক্সিডাইজের গয়নাও পরতে পারেন। মেক-আপ করুন হালকা। তবে ঠোঁটে ব্যবহার করুন গাঢ় লিপস্টিক। কপালে সিঁদুরের টিপও পরতে পারেন। কাজ সেরে নিজের মতো করে সাজুন। লাল পেড়ে শাড়ি, নথ, সোনার গয়নাতেই যে সাজতে হবে এমন একেবারেই নয়।
পায়ে আংট, কানে ঝুমকা, হাতে বড় আংটি, নাকছাবি সব মিলিয়ে রূপোর গয়নায় সুন্দর লুক তৈরি করতে পারেন।হালকা শাড়ি, গয়না আর একদম নো-মেকআপ লুকে নিজের মতো করেও সাজতে পারেন। তেমনই ট্র্যাডিশন্যাল লাল পাড় সাদা শাড়ি, সোনার গয়না, নথেও নিজেকে সাজিয়ে নিতে পারেন। পায়ে সুন্দর করে আলতা পরে তারপর পরতে পারেন নূপুর। খোঁপায় ফুল দিতে পারেন। কপালে একটা ছোট্ট টিপ আর হাতে চুড়ি পরে নিজের সাজ পরিপূর্ণ করুন। লক্ষ্মী পুজোর দিন বাড়িতে কাজের কোনও শেষ থাকে না। আর তাই যে শাড়িতে নিজের আরাম লাগে তেমনই শাড়ি বাছুন। অরগ্যাঞ্জা এবারে খুব ইন। যদি এরকম কোনও শাড়ি পরেন তাহলে ওর সঙ্গে স্লিভলেস কোনও ব্লাউজ রাখুন। চুল খুলে রাখুন।চোখে কাজ, কানে স্টোনের দুল পরলে আর কিছু লাগে না।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম