।। প্রথম কলকাতা ।।
নৈহাটি স্টেশন রোড ধরে গঙ্গার জেটি ঘাটের দিকে যেতেই চোখে পড়বে কালী মন্দির। আর ম সেখানেই তৈরি হচ্ছে বিশালাকার মূর্তি। নৈহাটির বড়মার মূর্তির উচ্চতা ২১ ফুট। নৈহাটির অন্যান্য কালী প্রতিমার চেয়ে এই মূর্তির উচ্চতা অনেক বেশি হওয়ায় নাম বড়মা। তিনি এখানে দক্ষিণাকালী রূপে পূজিতা৷ এখন জোরকদমে চলছে বড়মার মূর্তি তৈরির কাজ। মাচা বেঁধে সিঁড়ি দিয়ে উঠে কাজ করছেন মৃৎশিল্পীরা। প্রতিবছর কৃষ্ণবর্ণের এই দেবী প্রতিমা কয়েক কেজির স্বর্ণালঙ্কারে সেজে ওঠেন।
কোজাগরী পূর্ণিমায় এই বড়মা কালীর কাঠামো পুজোর মধ্যে দিয়ে শুরু হয়েছে দেবীর মূর্তি গড়ার কাজ। ভক্তদের বিশ্বাস, নৈহাটির বড়মা খুবই জাগ্রত। তাঁর কাছে কোনও কিছু চাইলেই তিনি ভক্তদের মনস্কামনা পূর্ণ করেন। আর তাই তাঁর আশীর্বাদ পেয়ে, ভক্তরা নিজেদের সাধ্যমতো দান করেন। ইচ্ছেপূরণ হলে অনেক ভক্তরাই বড়মাকে অলঙ্কার গড়িয়ে দেন। এভাবেই আজ কয়েক কেজি গয়নার অধিকারী হয়ে উঠেছেন বড়মা। মায়ের এই গয়না দেখতেও ভিড় জমে নৈহাটিতে।
অরবিন্দ রোডের ধর্মশালা মোড়ে আগে রক্ষাকালী পুজো হত। পুজো শেষে গভীর রাতেই বিসর্জন দেওয়া হত। পরবর্তীকালে সেই পুজো বন্ধ হয়ে যায়। পরে ভবেশ চক্রবর্তী নামে এক ব্যক্তি এই কালী পুজোর প্রচলন করেন। সারাবছরই মন্দিরে বড়মার নিত্য পুজো হয়ে থাকে। এতদিন পুরনো মন্দিরে কালীপুজো বাদে বছরের বাকিদিন গুলি বড়মা-র ছবিতেই পুজো চলত, তবে এবার থেকে নতুন কষ্টিপাথরের মূর্তিতেই সারা বছর ধরে চলবে পূজার্চনা। নতুন মন্দিরে সারা বছর দেখা মিলবে বড়মা-র সেই চেনা মূর্তির।
দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান করে। উন্মুক্ত হয়েছে বড়মার নতুন মন্দিরের দ্বার।সেখানে দেখা যাবে মায়ের নতুন রূপ। শতবর্ষে পা দিলো মায়ের পুজো। চারিদিকে মা কে নিয়ে উন্মাদনার পারদ এখন গগনচুম্বি। শুরু হয়ে গেছে অগণিত ভক্তদের ঢল। নৈহাটি এই বড় মাকে নিয়ে মানুষের আবেগ, ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার সীমা নেই। দূর দূরান্ত থেকে হাজার হাজার মানুষ আসেন মা কালীর দর্শনে। দেশ দেশান্তরের মানুষ এসে মায়ের আশীর্বাদ নিয়ে যান। মাকে কিছু চাইলে খালি হাতে কাউকেই ফেরান না মা, আর তাই এই জাগ্রত মায়ের কৃপা লাভে হাজার হাজার মানুষ আকৃষ্ট হন দেবী বন্দনায়। আর তাই হয়তো বলে ‘ধর্ম হোক যার যার, বড়মা সবার।’
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম