।। প্রথম কলকাতা ।।
মহীনের ঘোড়াগুলিই আর নেই! এবার চিরকালের জন্য চলে গেলেন মহীনের শেষ ঘোড়াটিও বাপি দা তাপস দাস। ‘মহীনের ঘোড়াগুলি’ ব্যান্ডের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা তিনি। ছিলেন গীতিকার, গায়ক, বাদকও। বাজাতেন গিটার। সত্তরের দশকে আস্তে আস্তে তৈরি হয়ে উঠছিল নতুন এক সাংগীতিক আদর্শ। বাংলার প্রথম রক ব্যান্ড ‘মহীনের ঘোড়াগুলি’! এক এক করে চলে গিয়েছেন ‘মহীনের ঘোড়াগুলির প্রতিষ্ঠাতা-শিল্পীরা। শেষ ঘোড়া ছিলেন তাপস দাস।
ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছিলেন। আমরা সকলেই জানি তিনি মহীনের আদি ঘোড়া, যার কলমের জাদুতে একদিন লেখা হয়েছিল ‘ভালোবাসি জ্যোৎস্নায়’ আরো কত গানের সাক্ষী ছিলেন তিনি। গান পাগল সেই চিরসবুজ বাপির মৃত্যুতে শোক নয়, গানই হোক শেষ যাত্রার সাক্ষী, হ্যাঁ শুধুই গান। বাংলার প্রথম রক ব্যান্ড ‘মহীনের ঘোড়াগুলি’! এক এক করে চলে গিয়েছেন ‘মহীনের ঘোড়াগুলি’র সব প্রতিষ্ঠাতা-শিল্পীরা।
তাপস দাস ১৯৫৮ সালের ২২ সেপ্টেম্বর একটি সাধারণ বাঙালি পরিবারে নারায়ণ চন্দ্র দাস এবং জ্যোৎস্না দাসের চতুর্থ পুত্র হিসেবে জন্মগ্রহণ করেন। ছোট বয়স থেকেই বাপির সঙ্গীত জগতের যাত্রা শুরু হয়। সুরের ক্ষেত্রে তার পছন্দ বৈচিত্র্যময়। তিনি তার মা, জ্যোৎস্না দাসকে তার প্রথম গুরু বা শিক্ষক হিসাবে বিবেচনা করেন। স্ব-শিক্ষিত গিটারবাদক বাপি, তার কলেজ জীবনে এই ছয় তারের যন্ত্রের সাথে সখ্যতা তৈরি করেন।
১৯৭৫ সালে, গৌতম চট্টোপাধ্যায়, প্রদীপ চ্যাটার্জি, রঞ্জন ঘোষাল, বিশ্বনাথ চট্টোপাধ্যায়, এব্রাহাম মজুমদার এবং তপেশ বন্দোপাধ্যায়ের সাথে বাপি প্রথম বাংলা রক ব্যান্ড মহীনের ঘোড়াগুলির অংশ হন। আমেরিকান, লাতিন, রক, জ্যাজ, বাংলার বাউল আর কখনও কখনও শাস্ত্রীয় সংগীতের কিছু কিছু উপাদান সব রকম সঙ্গীতধারা মিলেমিশে যায় মহীনের ঘোড়ার ছন্দে-তালে-সুরে। যে-কারণে ‘মহীনের ঘোড়াগুলি’কে অনেকেই লোক-রক ব্যান্ড বলেন।আর সেই থেকেই পথ চলা শুরু। কিন্ত আজ তা এক নিমেষেই স্তব্ধ হয়ে গেলো।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম