।। প্রথম কলকাতা ।।
Ram Mandir: যোগী অযোধ্যায় নিষিদ্ধ করে দেবেন আমিষ-সুরা। অযোধ্যায় হতে চলেছে ‘ধর্মনগরী’র মডেল। রাম মন্দির নিয়ে এবার বড় চমক দিতে চলেছেন যোগী। গোটা দেশের সামনে উদাহরণ হবে অযোধ্যা। কোনও ধরণের আমিষ মিলবে না অযোধ্যায়৷ রামরাজ্যে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ হতে চলেছে আমিষ-সুরা। কেন এমন সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে যোগী সরকার? দিব্য, ভব্য, নব্য তিন সূত্রে গড়ে উঠছে চলেছে অযোধ্যায়।
যারা অযোধ্যায় জন্মাননি তারা এবার আফশোস করবেন প্রকাশ্য সভা থেকে দৃপ্তকণ্ঠে এমনই ঘোষণা করতে শোনা গিয়েছিল উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে। এবার যোগীর টার্গেট ‘ধর্মনগরী’ অযোধ্যা উন্নয়নের একটি ‘মডেল’ দেশের সামনে আনা। সেই লক্ষ্যের হাত ধরেই সম্ভবত যোগীরাজ্যে অযোধ্যায় নিষিদ্ধ করা হতে পারে যে কোনও মাছ-ডিম সহ যেকোনও আমিষ ও সুরা৷ সম্প্রতি এমনই ফতোয়া জারির প্রস্তাব রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। সেইসঙ্গে আগামী বছরের মধ্যেই একগুচ্ছ নতুন পরিষেবা শুরু হতে চলেছে উত্তরপ্রদেশের এই জেলায়।
ভাববেন না শুধু নিষেধাজ্ঞার খাঁড়াই লাগানো হচ্ছে৷ রীতিমত স্মার্ট সিটি হতে চলেছে অযোধ্যা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন রামমন্দিরের উদ্বোধন এখন সময়ের অপেক্ষা রীতিমতো উত্তেজনায় দিন কাটাচ্ছেন অযোধ্যাবাসী। মন্দির নির্মাণ প্রস্তুতিও এগিয়েছে অনেকটাই। অন্যদিকে পাথর কেটে প্রস্তুত হচ্ছে রামের মূর্তি। সব মিলিয়ে রাজকীয় মন্দিরটি ঠিক কেমন হবে, তা দেখার জন্য মুখিয়ে আছেন গোটা দেশের মানুষ৷ তবে পর্যটকেরা এসে যাতে রামরাজ্যে কোনও কষ্টে না পড়ে
তার খেয়াল রাখবে যোগী প্রশাসন। অযোধ্যায় হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যায়ে জনস্বার্থে একাধিক প্রকল্পের কাজ চলছে। ২৪*৭ পানীয় জলের সুবিধার পাশাপাশি ভূগর্ভস্থ নিকাশি ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। সোলার পাওয়ারের ওপর উন্নত প্রযুক্তি এনে এবার অযোধ্যাকে একটি সৌর শহর হিসাবে গড়ে তোলার কাজ চলছে।
মুখ্যমন্ত্রী যোগীর একটাই কথা ছিল অযোধ্যায় আসা প্রতিটি ভক্ত- পর্যটককে মানসিক শান্তি, সন্তুষ্টি এবং আনন্দ নিয়ে ফিরতে হবে। তার সব ব্যবস্থা করবে যোগী সরকার। মথুরাতেও তো মন্দিরের ১০ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে নিষিদ্ধ আমিষ ও সুরা বিক্রি। তবে অযোধ্যায় মাছ-ডিমের দোকান বেশ ভালোই রয়েছে। যোগীর দাবি, রাম মন্দির একবার উদ্বোধন হলেই অযোধ্যায় দর্শনার্থিদের ভিড় উপচে পড়বে সেক্ষেত্রে মন্দির সংলগ্ন এলাকায় আমিষের দোকান তাঁদের ভাবাবেগে আঘাত করতে পারে। একইরকম পরিস্থিতি হতে পারে মদের দোকান থাকলেও। তাই গোটা অযোধ্যাতেই সুরা, আমিষ নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব রেখেছেন তিনি। বিভিন্ন মহলে আলোচনা চলছে। বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষ অযোধ্যায় বাস করেন যাঁদের অনেকেই আমিষভোজি। তাই অন্যান্য জায়গার মতো অযোধ্যাতেও মাছ-মাংসের দোকান চোখে পড়ে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তাব মেনে শীঘ্রই সেই ছবি বদলে যেতে পারে অন্যান্য তীর্থস্থানের মতো। অযোধ্যাতেও সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ হতে পারে আমিষ ও সুরা৷
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম