।। প্রথম কলকাতা ।।
কলকাতায় কমছে বাংলাদেশি পর্যটক। বাস রাস্তায় অসহ্যকর ভোগান্তি। বাধ্য হয়ে বেছে নিচ্ছেন ট্রেন পথ। বাংলাদেশে সকালে ট্রেনে চাপলেই বিকেলে চলে আসবেন কলকাতায়। ভারতে আসা কোন ব্যাপারই নয়। কলকাতা থেকে ঢাকা দৌড়াচ্ছে ট্রেন। আচ্ছা, ট্রেনে সত্যি কি কোন ভোগান্তি নেই? ইমিগ্রেশনে কোন ঝামেলা হচ্ছে না তো? খোঁজ নিল প্রথম কলকাতা। কথা বলল বাংলাদেশি পর্যটকদের সাথে। কী বলছেন তারা? কলকাতায় এসে আদেও খুশি তো? চলুন শুনে নেওয়া যাক।
কলকাতায় বাংলাদেশি পর্যটকদের ঠিক কোন কোন অসুবিধা হচ্ছে? খুঁটিনাটি খোঁজ নিয়েছিল ‘প্রথম কলকাতা’র ক্যামেরা। ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে যাতায়াতের জন্য রয়েছে তিনটে ট্রেন। মিতালী, বন্ধন, মৈত্রী এক্সপ্রেস। সম্প্রতি মৈত্রী এক্সপ্রেসের কথা বারংবার ঘুরে ফিরে আসছে কেন? আসলে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা থেকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতার মধ্যে সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যম এই এক্সপ্রেস। বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসার জন্য বহু যাত্রী চোখ বন্ধ করে ভরসা করেন এই ট্রেনের উপর। এটি বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসা সবথেকে পুরনো ট্রেন। মাঝে বহু বছর বন্ধ ছিল। পুনরায় যাত্রা শুরু হয়েছে ২০০৮ সালে। ট্রেনটিতে এসি সিট এবং এসি চেয়ার দুই ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে। এসি সিটের ভাড়া বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৪৭০০ টাকা। এসি চেয়ারের ভাড়া প্রায় ৩৫০০ টাকা।
ট্রেনটি কলকাতা থেকে ঢাকায় যায় সপ্তাহে ৫ দিন। সোম, মঙ্গল, বুধ, শুক্র এবং শনিবার ছাড়ে কলকাতা চিৎপুর স্টেশন থেকে। সকাল ৭টা ১০ মিনিটে ছেড়ে ঢাকায় পৌঁছায় ওই দিনই বিকেল ৪ টে ৫ মিনিট নাগাদ। একইভাবে ঢাকা থেকে কলকাতায় আসে মৈত্রী এক্সপ্রেস। ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন থেকে ট্রেনটা ছাড়ে সকাল সোয়া ৮টা নাগাদ। কলকাতায় এসে পৌঁছায় বিকেল চারটে নাগাদ। বুঝতেই পারছেন, খুব সহজে সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে বাংলাদেশ থেকে চলে আসতে পারবেন কলকাতায়।
কয়েকদিন ধরেই শুনে থাকবেন যে, বাংলাদেশ থেকে কলকাতা আসতে গেলে ইমিগ্রেশন নিয়ে খুব সমস্যা হচ্ছে। বাংলাদেশি পর্যটকদের অভিযোগ, বেনাপোল আর পেট্রাপোলে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। তারা সমস্ত তথ্য যাচাই করে ভিসা পেলেও ইমিগ্রেশনে প্রচুর ঝামেলা। যার কারণে কলকাতায় কমেছ বাংলাদেশি পর্যটকের সংখ্যা। নড়েচড়ে বসেছে কলকাতার বহু ব্যবসায়ী সমিতি। রয়েছে প্রচুর অভিযোগ। বিমানের টিকিট ভাড়া অনেকটাই বেশি। সাধ্যে কুলায় না অনেকের। বাসের খরচ কম কিন্তু পোহাতে হয় হাজারটা ঝামেলা। সেই তুলনায় ট্রেনের টিকিটের দাম খুব বেশি নয়। খুব কমও নয়। কিন্তু খুব একটা ঝামেলা পোহাতে হয় না। স্টেশনের একদম কাছেই দাঁড়িয়ে থাকে গাড়ি। কোনটা চলে যাচ্ছে সরাসরি মার্কুইস স্ট্রিট, আবার কোনটা বা মুকুন্দপুরের হাসপাতাল পাড়ায়। যারা কলকাতা স্টেশনে ইমিগ্রেশন করে বেরিয়ে আসছেন তাদের অধিকাংশের দাবি, সমস্যা হচ্ছে না। কিন্তু ভিসা পেতে সময় লাগছে প্রচুর। আবেদন করতে হচ্ছে প্রায় চার মাস আগে থেকে। অনেকের আবেদন মুহূর্তে রিজেক্ট হয়ে যাচ্ছে। সরাসরি ঢাকা থেকে কলকাতায় আসার ক্ষেত্রে তাই বাস বা বিমান নয়, বাংলাদেশের মানুষ এখন বেছে নিচ্ছে স্বস্তিদায়ক নয় ঘন্টার মৈত্রী এক্সপ্রেসের জার্নি।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম