।। প্রথম কলকাতা ।।
Kolkata Book Fair 2023: ২০২৩ এর কলকাতা বইমেলা নিয়ে বইপ্রেমীদের উৎসাহ ছিল প্রতিদিনই প্রায় একরকম। মানুষের ঢল নামে বই মেলা প্রাঙ্গণে। এছাড়াও উপচে পড়া মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছিল বাংলাদেশের স্টল (Bangladeshi Stall) গুলিতে। বইপ্রেমীরা আসলে দেশের ভেদাভেদ বোঝেন না। তাদের কাছে ভালো বই খুঁজে নেওয়াই হল আসল চ্যালেঞ্জ। বরাবর পশ্চিমবঙ্গের মানুষ বাংলাদেশি প্রকাশনা সংস্থার বই পড়তে ভালোবাসেন। এই কারণে কলকাতা বইমেলায় (Kolkata International Book Fair 2023) বাংলাদেশের স্টল গুলিতে যথেষ্ট ভিড় লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু আগামীতে হয়তো কলকাতা বইমেলায় বাংলাদেশি স্টল বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এমনটাই আশঙ্কা প্রকাশ করলেন বুক সেলার্স এবং পাবলিশার্স গিল্ডের সম্পাদক ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় (Tridib Chatterjee)।
‘সময় ইন্টারন্যাশনাল’-এর একটি সাক্ষাৎকারে একথা জানান ত্রিদিববাবু। চলতি বছরের বইমেলায় বাংলাদেশের ঝুলিতে কোন বিশেষ সম্মাননা এসেছে কিনা সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘সহোদর প্রতিম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে দেওয়া হয়েছে (নজরকাড়া স্টল নির্মাণের জন্য বিশেষ পুরস্কার পেয়েছে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন)। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হল বাংলাদেশকে এতো বলা সত্ত্বেও আমাদের কোনো রকম আমন্ত্রণ পাঠাচ্ছেন না। বাংলাদেশে আমাদের এখানকার প্রকাশকদের জায়গা নেই। একটা সময় হয়তো বাধ্য হব আমরা আমাদের এখানেও বাংলাদেশের স্টল বন্ধ করে দেওয়ার জন্য’।
তাঁর বাড়তি সংযোজন, এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনাও হয়েছে। প্রস্তাব রাখা হয়েছে বাংলাদেশের কাছে কলকাতা বইমেলাকে আমন্ত্রণ জানানোর। কিন্তু তারপরেও ডাক আসছে না। যদিও ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় জানান, এই আশঙ্কা যদি কোন সময় সত্যি হয় তাহলে কলকাতা বইমেলার কাছে সেটা অত্যন্ত দুঃখজনক হবে। তিনি বলেন, ‘১৯৯৬ সাল থেকে বাংলাদেশ কলকাতা বইমেলায় অংশগ্রহণ করছে। কিন্তু তাদেরকে যদি আমরা না ডাকতে পারি সেটা আমাদের কাছেও কষ্টের। হয়তো এখানকার বুদ্ধিজীবীদের চাপে সেটা ঘটবে’।
আগামী কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলাগুলিতে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন জায়গা না পাওয়ায় দুই দেশের সম্পর্কে কি কোন রকম আঁচ পড়তে পারে ? যদিও এই প্রসঙ্গে ত্রিদিব বাবু ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক নিয়ে বিশেষ কিছু মন্তব্য করতে চাননি। কিন্তু তিনি জানান, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যে সুসম্পর্ক রয়েছে। এ রাজ্যের মানুষ বাংলাদেশি লেখকদের, বাংলাদেশি প্রকাশনা সংস্থার বই পড়তে পছন্দ করেন। কিন্তু তারপরেও বাংলাদেশ বইমেলায় এখানকার কোন লেখক ও প্রকাশনা সংস্থাকে ডাকা হয় না। কাজেই দু দিক থেকেই সমতা থাকা প্রয়োজন বলে মনে করছেন তিনি।
৩১ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছিল কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা। শেষ হয়েছে ১২ ফেব্রুয়ারি। মাঝের এই কটা দিন খানিকটা উৎসবের আমাজেই কাটল। দূর দূরান্ত থেকে বইপ্রেমী মানুষেরা ছুটে আসেন কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা প্রাঙ্গণে। সবশেষে মোট জনসমাগম এবং বিক্রির সংখ্যা সম্পর্কে ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় জানান, জনসমাগম ২৫ লক্ষ ছাড়িয়ে যেতে পারে। আর চলতি বছরে বইমেলায় বই বিক্রির সংখ্যাও নেহাত কম নয়। প্রায় ২৫ কোটি টাকা ছাপিয়ে গিয়েছে মোট বই বিক্রির পরিমাণ। এছাড়াও জানা গিয়েছে কলকাতা বইমেলার ডাক পড়েছে শুধু স্পেনে (Spain)। যা নিয়ে খুশি আয়োজকরা।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম