।। প্রথম কলকাতা ।।
বাংলাদেশী বিদ্যুৎ হুহু করে ছড়াবে নেপালে? বদলে নেপাল থেকে কি ঢুকবে ওপার বাংলার বুকে? ভারতের উপহার দেখলে মাথা ঘুরে যাবে। বরফই কাল, শীতের কাঁটা ভেঙে পাহাড়কে এতো দামী সম্পদ পাঠাবে হাসিনা সরকার? গিভ অ্যান্ড টেক পলিসিতেই ডিল সেট? ভারতের হাতে বিশাল পাওয়ার। এতো মুনাফা, তাহলে কি এবার লোডশেডিং ফ্রি হবে বাংলাদেশ? ভ্যাপসা গরমে বাংলাদেশ জুড়ে ঘনঘন লোডশেডিং এর ছবিটা বদলাতে চেয়ে গ্রীষ্মকালে নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করতে চাইছে বাংলাদেশ। আগ্রহের সেই ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি নিয়ে আলোচনার মাঝেই হিসেব একেবারে ঘুরে গেল। আমদানির বদলে বিদ্যুৎ রপ্তানি করবে বাংলাদেশ। শীতকালে বিশেষ করে শুষ্ক মৌসুমে নেপালে বিদ্যুৎ রফতানি করতে পারে ওপার বাংলা।
আসলে, শীতকালে বাংলাদেশে বিদ্যুতের চাহিদা কমে যায়। এই সময় সাধারণত ফ্যান-এসি চালানোর প্রয়োজন হয় না। এর ফলে বাংলাদেশের বিদ্যুতের বাড়তি চাপ থাকে না, উদ্বৃত্ত থাকে। আর বিদ্যুৎ যেহেতু সংরক্ষণ করা যায় না, তাই ‘আর্থিং’ করতে হয়। অন্যদিকে এই সময়টাতে নেপালে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ে। কারণ শীতকালে নেপালের বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে যায়। বুঝতে হবে, নেপালের বিদ্যুৎ মূলত জলবিদ্যুৎ। প্রচণ্ড শীতে সেখানে বরফ জমার কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ থাকে। এ ছাড়া ঠান্ডা থেকে বাঁচতে নেপালের মানুষ শীতকালে ঘর গরম রাখতে ব্যাপকহারে রুম হিটার ব্যবহার করে। এতে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ে, যা নেপালের বিদ্যুৎ বিভাগের পক্ষে উৎপাদন করে সরবরাহ করা সম্ভব নয়। তাই শীতকালে বিদ্যুতের সংকট মেটাতে বাংলাদেশ থেকে বিদ্যুৎ আমদানি হোক চাইছে নেপাল। এই প্রস্তাব বিবেচনা করে দেখা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ বিভাগ।
অন্যদিকে, বাংলাদেশের তরফে নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির বিষয়টাও শীঘ্রই চূড়ান্ত হতে যাচ্ছে। এখানে ভারতের বড় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এক্ষেত্রে যেহেতু ভারতীয় গ্রিড ব্যবহার করতে হবে, এজন্য দিল্লির সম্মতির প্রয়োজন। বাংলাদেশ-ভারত-নেপাল ত্রিপক্ষীয় চুক্তি করতে হবে। শীঘ্রই এ বিষয়ে চুক্তি হবে বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। কি প্ল্যানিং? নেপাল থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ পাঠানোর জন্য ভারতের ভূখণ্ডে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন নির্মাণের প্রয়োজন। ভারতের পরিকাঠামো ব্যবহার করে বাংলাদেশে পৌঁছানোর কথা ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। কেন?
আসল সমস্যাটা হল বাংলাদেশের সাথে নেপালের সরাসরি সীমান্ত না থাকায় ভারতের ভেতর দিয়ে সঞ্চালন লাইন তৈরি করে এই বিদ্যুৎ নিতে হবে বাংলাদেশকে।
বিবিসির রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশেষজ্ঞদের মতে নেপাল থেকে বাংলাদেশ সরাসরি সঞ্চালন করে বিদ্যুৎ নিলে এই জলবিদ্যুতের দাম যথেষ্ট কম পড়তো। তবে এই সবকিছুকে পেছনে ফেলে আপাতত একটা বিষয় হাইলাইটেড। শীতকালে নেপালের যেমন বাংলাদেশী বিদ্যুতের প্রয়োজন, তেমনই গ্রীষ্মকালে লোডশেডিং সমস্যা থেকে বেরোতে বাংলাদেশের ও নেপালি বিদ্যুৎ প্রয়োজন আছে। এখন দেখার বিদ্যুৎ আমদানি রপ্তানির প্রয়োজনে কিভাবে কত তাড়াতাড়ি দুটো দেশের মধ্যে চুক্তি ফাইনাল হয়।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম