।। প্রথম কলকাতা ।।
Sugar Export: এবার কি চিনিতে লাগাম পড়াতে যাচ্ছে ভারত? চালের পর চিনি রপ্তানি বন্ধ করে দিলে, সংকটে পড়ে যেতে পারে বাংলাদেশ বাড়ছে আশঙ্কা। বিশ্বে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ চিনি রপ্তানিকারক দেশ ভারত। চিনির দামে কিন্তু বড় এফেক্ট পড়তে পারে। লাগতে পারে আগুন। মারাত্মক বৃষ্টিই কী বিপদে ফেলে দিল ভারতকে? উৎপাদনের উপরেই নির্ভর করছে হিসেব-নিকেষ। এতো চাপের মাঝেও বাংলাদেশের মাথায় হাত রাখতেই পারে বন্ধু ভারত। চড়া দামে তেতো হবে চিনি? সব জায়গায় একটাই শিরোনাম, চালের পর চিনি রপ্তানি বন্ধ করতে পারে ভারত। কিন্তু চিনি রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিবে ফলটা কী হবে? ভেবে দেখেছেন? খামোখা এমন সিদ্ধান্ত নেবেই বা কেন ভারত?
ব্রাজিলের পর বিশ্বে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ চিনি রপ্তানিকারক দেশ ভারত। বাংলাদেশের জন্য চিনির তৃতীয় বৃহত্তম আমদানির উৎস। কিন্তু ভারতের অভ্যন্তরে পণ্যটির দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে চিনি রপ্তানি সীমিত করার পরিকল্পনা নিতেই পারে ভারত। উদ্বেগ প্রকাশ ব্যবসায়ীদের! আর এর এফেক্ট বাংলাদেশের বাজারে পড়তে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। অথচ চিনি রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞার ঘটনাটা কখন ঘটতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে যখন কিনা, প্রতিকূল আবহাওয়া ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে এমনিতেই। চিনির সরবরাহ কম। আর বিশ্ববাজার ভারতের চিনির ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল। কিন্তু ভারতেও তো বিপদ কম নয়। প্রকৃতি সাথ দেয়নি। এই বছর ভারতে কৃষি উৎপাদন অঞ্চলে ব্যাপক বৃষ্টির কারণে আখ উৎপাদন কমে যাবে বলে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। সেটা হলে এ নিয়ে টানা দু বছর আখ উৎপাদন কমবে বলছে ইকোনমিক টাইমসের রিপোর্ট।
আর খুব স্বাভাবিকভাবেই চিনির উৎপাদন কমলে ভারতের রপ্তানি সক্ষমতাও কমবে। অলরেডি, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যে গম ও কিছু কিছু ধরনের চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। আর এবার চিনিতে লাগাম পড়ালে বিশ্ববাজারে চাপ আরও বাড়বে। ভারতের গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ট্রপিক্যাল রিসার্চ সার্ভিসেস বলছে, যখন খাদ্যনিরাপত্তা ও মূল্যস্ফীতি নিয়ে শঙ্কা বাড়তে থাকে তখনই সরকার এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়। দেশের মানুষের কথা মাথায় রেখে। তাছাড়া, ইন্ডিয়ান সুগার মিলস অ্যাসোসিয়েশন বলছে মহারাষ্ট্র ও কর্ণাটকের মতো আখ উৎপাদনকারী রাজ্যে জুনে পর্যাপ্ত বৃষ্টি হয়নি। তাই, ২০২৩-২৪ মৌসুমে ভারতের আখ উৎপাদন কমতে পারে চান্স আছে। তবে, যে পরিমাণ আখ উৎপাদন হয়েছে তা দিয়ে অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটানো যাবে বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। যদিও, এর মাঝে আরেকটা দিক যথেষ্ট ভাবাচ্ছে। ভারতে জৈব জ্বালানি উৎপাদনে আখের ব্যবহার বাড়বে। অ্যাসোসিয়েশন মনে করছে, ইথানল তৈরিতে এবার ৪৫ লাখ টন আখের ব্যবহার হতে পারে, যা আগের বছরের চেয়ে যা ৯.৮ শতাংশ বেশি! সেক্ষেত্রে উৎপাদন এ রকম হলে সরকার রপ্তানি বন্ধ করতে বাধ্য হবে। সেই সঙ্গে ইথানল উৎপাদনে কী পরিমাণ আখ সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে সেদিকেও নজর রাখতে হবে।
যদিও এটা প্রথম নয়, ভারত এর আগেও চিনি রপ্তানি সীমিত করেছে। তখনও বাংলাদেশ টেনশনে ভুগেছে। কারণ, আগে ভারত থেকে তুলনামূলক চিনি রপ্তানি কম হলেও করোনা মহামারির সময় থেকে তা বেড়েছে। ফলে ভারতীয় চিনি চাহিদা মতো না পেলে বাংলাদেশের বাজারে এফেক্ট যে পড়বে, এটা সাধারণ বিষয়। তবে, ভারত এখনো রপ্তানি বন্ধ বা সীমিত করেনি। এমনও হতে পারে প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে চাহিদা অনুয়ায়ী চিনি সরবরাহ অব্যাহত রাখা হলো। সে ক্ষেত্রে পুরোটাই সময় আর পরিস্থিতির উপর নির্ভর করছে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম