।। প্রথম কলকাতা ।।
বাংলাদেশের সামনে ভয়ে কাঁপবে শত্রুরা। রাফাল পেতে চলেছে দেশটা! সত্যি কি তাই? ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ঢাকা আসতেই উল্টে গেল সব ছক। ভারতের মতোই বাংলাদেশ পাবে মারাত্মক রাফাল যুদ্ধবিমান। নিমেষে ধ্বংস হয়ে যাবে শত্রুরা। বাংলাদেশ হয়ে উঠবে মারাত্মক শক্তিশালী। রাফালের ভয়ে বুক কাঁপে গোটা বিশ্বের। কী আছে এতে? কবে আসবে বাংলাদেশের হাতে?
রণভূমিতে বিধ্বংসী রাফালের প্রশংসা বিশ্বজুড়ে। চলতি বছরই ফ্রান্সের কাছ থেকে ভারত পেয়েছে ২৬ টা রাফাল যুদ্ধবিমান আর ৩টে সাবমেরিন। ভারতের কাছে রাফাল রয়েছে বলেই শত্রুরা আক্রমণ করার আগে অন্তত দুবার ভাবে। এর আগেও আফগানিস্তানের একাধিক মিশনে অংশ নিয়ে রাফাল দেখিয়ে দিয়েছে কতটা বিধ্বংসী। রয়েছে ডাবল ইঞ্জিন। এয়ার টু এয়ার মিসাইল ছোঁড়ার ক্ষেত্রে রাফাল এক কথায় তুখোর। যুদ্ধবাজ বিমানে রয়েছে মেটিওর নামক খতরনাক মিসাইল। শত্রু মাটিতে থাকুক কিংবা হাওয়ায়, দেড়শ কিলোমিটার মধ্যে মুহূর্তে তাকে গুঁড়িয়ে দেবে। রাফালের ওজন দশ টন হলেও বহন করতে পারে প্রায় ২৪ হাজার ৫০০ কেজির বিস্ফোরক। ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে একসাথে ধ্বংস করে দিতে পারে ৫০টা লক্ষ্যবস্তু। স্বাচ্ছন্দে নিজের ঘাঁটি থেকে উড়ে ৩ হাজার ৭০০ কিলোমিটারের মধ্যে যুদ্ধ চালানো কোন ব্যাপারই নয়।
তাহলে বুঝতেই পারছেন, কেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশ যাওয়াতে গোটা বিশ্বজুড়ে হৈচৈ পড়ে গিয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, ভারতের পর এবার কি বাংলাদেশের পালা? বাংলাদেশ কবে পাচ্ছে রাফাল যুদ্ধবিমান? এখনো চূড়ান্ত চুক্তি হয়নি। তবে সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। বাংলাদেশ এবং ফ্রান্সের সম্পর্ক বেশ মজবুত। ইতিমধ্যেই দুই দেশের মধ্যে বঙ্গবন্ধু ২ স্যাটেলাইট এবং বাংলাদেশের নগর অবকাঠামো উন্নয়ন বিষয়ে দুটো চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। বাংলাদেশ এবং ফ্রান্সের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ ২১০ মিলিয়ন ইউরো থেকে পৌঁছে গিয়েছে ৪.৯ বিলিয়ন ইউরোতে। পার্থক্যটা দেখুন শুধু একবার।
তাহলে ভারতের মতো বাংলাদেশও কি ঝুঁকছে ইউরোপীয় যুদ্ধ বিমানের দিকে? প্রশ্নটা আমাদের নয়, এই নিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রচুর লেখালেখি হচ্ছে। বলা হচ্ছে, বাংলাদেশ ইউরোপীয় বিমান বিশেষ করে ঝুঁকছে ভয়ংকর ইউরোফাইটার টাইফুন বা ফ্রেঞ্চ রাফালের দিকে। বর্তমানে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীকে শক্তিশালী করতে নতুন নতুন যুদ্ধবিমান কিনতে ব্যস্ত। সেক্ষেত্রে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের ঢাকা সফর হতে পারে সুবর্ণ সুযোগ। ফোর্সেস গোল ২০৩০ এর অধীনে বাংলাদেশ তার সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিক করার পরিকল্পনা নিয়েছে। এই প্রকল্পের অধীনে ইতিমধ্যেই চীন থেকে যুদ্ধবিমান পেয়েছে দেশটা। এছাড়াও ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাংলাদেশ আটটা মাল্টিরোল কমব্যাট এয়ার ক্রাফটের জন্য দরপত্র জারি করেছিল। তাহলে রাফাল কবে কিনছে বাংলাদেশ? এ প্রসঙ্গে এক বাংলাদেশী কর্মকর্তা ইউরেশিয়ান টাইমসকে জানিয়েছেন, আসন্ন নির্বাচনের আগে কোন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না। বর্তমানে বাংলাদেশ এবং ফ্রান্সের যে সম্পর্ক, ভবিষ্যতে ফ্রান্স বাংলাদেশকে রাফাল দিতেই পারে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম