।। প্রথম কলকাতা ।।
Bangabandhu Foundation: বঙ্গবন্ধুর(Bangabandhu) আদর্শ ছিল ত্যাগের। বাংলাদেশের(Bangladesh) মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়, আর সেই অধ্যায়ে নায়ক ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান(Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman)। টুঙ্গিপাড়ার প্রত্যন্ত অঞ্চলের এক যুবক বাংলাদেশের জাতীয় অঙ্গনে উঠে আসেন। তারপর গোটা বিশ্বমঞ্চে জনপ্রিয়তা পান। তাঁর আদর্শ এবং দেশের প্রতি ভালোবাসার কারণে আজ তিনি বাংলাদেশের মানুষের কাছে মহানায়ক, মহাননেতা এবং জাতির পিতা। এবার বিশ্বব্যাপী বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মতাদর্শ প্রচার শুরু করবে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন(Bangabandhu Foundation)। পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আওয়ামী লীগ শাসিত বাংলাদেশ সরকারের বিগত ১৫ বছরের নানান উন্নয়ন মূলক কর্মকাণ্ড এবং অগ্রগতি নিয়ে প্রচারণা করবে। যার সূচনা হবে কলকাতায়(Kolkata)।
বঙ্গবন্ধুর জীবনের মূল লক্ষ্য ও আদর্শ ছিল বাংলায় শোষিত, নির্যাতিত এবং নিপীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়ানো। তাদের সমস্যা মুক্ত করা। তিনি আজীবন সেই উদ্দেশ্যেই সংগ্রাম করে গেছেন। বারংবার কথা বলেছেন বাংলার মানুষের অধিকার নিয়ে। রাজনীতিতে সর্বোচ্চ স্থানে রেখেছেন নীতি আর আদর্শ। আজ বঙ্গবন্ধু না থাকলেও বাংলার প্রতিটি ঘরে ঘরে তাঁর আদর্শ বিরাজমান। তিনি যে সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখেছিলেন সেই দায়িত্ব হাতে তুলে নিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে সামনে রেখে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন বিশাল কর্ম যজ্ঞের সূচনা করবে কলকাতায়। কলকাতা বাংলাদেশের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিলোত্তমাতেই বাংলাদেশের প্রথম দূতাবাসে উড়েছিল স্বাধীন বাংলাদেশের লাল সবুজের পতাকা। এই শহরের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবন আর স্বাধীনতার লড়াই। কলকাতায় বঙ্গবন্ধু পড়াশোনা করার পাশাপাশি আবাসিক হিসেবেও বেশ দীর্ঘ সময় কাটিয়েছেন। আজও তিলোত্তমাবাসী বঙ্গবন্ধুকে শ্রেষ্ঠ বাঙালি হিসেবে শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করে।
সময় টিভিতে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ভারতে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের যাত্রা শুরু হয়েছে ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে। যদিও করোনার কারণে গত আড়াই বছর সেভাবে সেভাবে কোন কর্মসূচি গ্রহণ করা যায়নি। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতেই ২৬শে ফেব্রুয়ারি রবিবার সন্ধ্যায় কলকাতার রোটারি সদন অডিটোরিয়ামে আয়োজিত হবে ‘বাংলাদেশ ও শেখ হাসিনা’ নামক একটি আলোচনা সভা। এই আলোচনা অংশগ্রহণ করবে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা এবং নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট ড. মশিউর মালেক, বিশ্ব বঙ্গ সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্মেলনের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ড. রাধাকান্ত সরকার, শিক্ষাবিদ ড. পবিত্র সরকার প্রমুখ। এই দিন আনুষ্ঠানিক ভাবে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন কাজ শুরু করবে। আনুষ্ঠানিক ভাবে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতাদর্শক বিশ্বাস আদর্শ এবং ত্যাগের কাহিনী তুলে ধরবে বর্তমান প্রজন্মের সামনে। এছাড়াও জানানো হবে গত ১৫ বছর আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নমূলক নানান কাজ এবং নানান পরিকল্পনা সম্পর্কিত তথ্য। এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ২৫শে ফেব্রুয়ারি শনিবার রাতে কলকাতায় বাংলাদেশের কৃষিমন্ত্রীর পৌঁছানোর কথা রয়েছে । এছাড়াও ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সমবায় বিষয়ক মন্ত্রী অরূপ রায় সহ বাংলাদেশি কূটনৈতিকরা।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম