।। প্রথম কলকাতা ।।
Sheikh Mujibur Rahman: ২০২৩ এর ১৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের (Sheikh Mujibur Rahman) ১০৩তম জন্মবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের (Bangladesh) জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে কলকাতায় (Kolkata) বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনে বঙ্গবন্ধু মঞ্চে এক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ১৭ই মার্চ বিকেল ৫টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত চলবে এই সভা এবং সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানে সবাইকে সাদরে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন কলকাতার বাংলাদেশ উপ- হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস।
১৭ই মার্চ, এই দিনটি বাঙালিদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। এই দিন জন্মগ্রহণ করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এই মহান মানুষটির জন্মদিন উপলক্ষে ১৭ই মার্চ প্রতিবছর বাংলাদেশে পালন করা হয় জাতীয় শিশু দিবস। বাংলা ভাষার জন্য আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা বলে শেষ করা যাবে না। ১৯২০ সালের এই দিনে তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জে। বাবা শেখ লুৎফর রহমান এবং মা সায়েরা খাতুন তাদের সন্তানের নাম আদর করে রেখেছিলেন খোকা। ৬ ভাই-বোনের মধ্যে শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন তৃতীয়। ছোট থেকেই তিনি গ্রাম্য সমাজের আবেগ এবং অনুভূতিগুলি সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে ছিলেন। সামনে থেকে দেখেছিলেন সাধারণ মানুষদের উপর কীভাবে মহাজন থেকে শুরু করে ধনী ব্যক্তিরা অত্যাচার এবং শোষণ চালায়।
রাজনীতিতে যোগদান করেন কিশোর বয়সে। অষ্টম শ্রেণীতে পড়ার সময় তিনি প্রথমবার ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের জন্য গ্রেফতার হয়েছিলেন। বাঙালি জাতি এবং ভাষার মুক্তির জন্য যে আন্দোলন চালাচ্ছিলেন তার জন্য তাঁকে পাকিস্তানের কারাগারে প্রায় ১৪ বছর থাকতে হয়েছে। এমনকি ২ বার ফাঁসির মঞ্চের মুখোমুখি হয়েছিলেন।
এই মহান মানুষটির এক ডাকে দেশ জুড়ে শুরু হয়েছিল গণআন্দোলন। লক্ষ লক্ষ শহীদের বলিদান আর বাংলার অসহায় মানুষের চোখের জলের পর এসেছিল স্বাধীনতা, জন্ম হয়েছিল স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের। অথচ দুর্ভাগ্যের পরিহাসে সালের ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট বিশ্বাসঘাতকদের হাতে নিহত হন শেখ মুজিবুর রহমান। বাংলা ভাষা এবং বাঙালির ঐতিহ্যের সাথে মিশে রয়েছেন এই মানুষটি। বাঙালি জাতি এবং বাংলা ভাষার গৌরবের কথা আসলেই এই মানুষটির কৃতিত্বের কথা উঠে আসবেই। এই বিশেষ দিনে কলকাতাতেও বিশেষ ভাবে পালন করা হবে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন। বঙ্গবন্ধু সরণিতে বাংলাদেশ উপ-দূতাবাস ভবনে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। কলকাতার সাথে বঙ্গবন্ধু সম্পর্ক বেশ প্রগাঢ় ছিল। বঙ্গবন্ধুর জীবনের নানান ধাপে ধাপে উজ্জ্বল সাক্ষী হয়ে রয়েছে তিলোত্তমা।