।। প্রথম কলকাতা ।।
Cough Syrup: কাশির সিরাপের বিতর্ক যেন ভারতের পিছু ছাড়ছে না। বিদেশের মাটিতে ভারতীয় কাশির সিরাপ খেয়ে শিশু মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা বিশ্বজুড়ে হৈচৈ পড়ে গিয়েছিল। ক্লিনিকাল পরীক্ষায় এবার দেখা গেল, সেই কাশি সিরাপের মধ্যে রয়েছে ডাইইথিলিন গ্লাইকল আর ইথিলিন গ্লাইকল। ভারতীয় দুই কাশির সিরাপ নিয়ে সতর্ক করল হু (WHO)। গত বছর উজবেকিস্তান সরকার এই দুটি ওষুধের গুণমান পরীক্ষার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (World Health Organisation) কাছে নমুনা পাঠিয়েছিল।
শিশুদের শরীরে যদি অতিরিক্ত মাত্রায় ডাইইথিলিন গ্লাইকল (Diethylene Gycol) আর ইথিলিন গ্লাইকল (Ethylene Glycol) এর ব্যবহার করা হয় তাহলে তা অত্যন্ত ক্ষতিকারক। নয়ডার মেরিয়ন বায়োটেকের (Marion Biotech) দুটি কাশির সিরাপের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল ছড়িয়েছে। এই দুটি সিরাপ ব্যবহার করতে নিষেধ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এই সংক্রান্ত তথ্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইটে একটি চিঠি লিখে জানিয়েছে।
উজবেকিস্থানে (Uzbekistan) ১৯ জন শিশুর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বহুদিন ধরেই জল ঘোলা হচ্ছিল। গত বছর ২২ শে ডিসেম্বর দেশটির স্বাস্থ্য দফতরের অভিযোগ অনুযায়ী, নয়ডার মেরিয়ন বায়োটেকের অ্যাম্রোনল (Ambronol) সিরাপ আর ডক-১ ম্যাক্স (Doc-1 Max) সিরাপ খাওয়ার পর প্রায় ১৯ জন শিশু মারা গিয়েছে। তারপর বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নমুনা পরীক্ষা করে জানিয়েছে, সিরাপ দুটিতে রয়েছে ডাই ইথিলিন গ্লাইকল এবং ইথিলিন গ্লাইকল। এই ধরনের উপাদান শিশুদের ক্ষেত্রে বেশ বিপ্পজনক। পাশাপাশি হু সতর্ক করে আরো জানিয়েছে, শুধুমাত্র উজবেকিস্তান নয়, ভারতের এই সিরাপ দুটি বিশ্বের অন্য দেশেও পাওয়া যেতে পারে।
আপাতত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কতার পর উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) খাদ্য নিরাপত্তা ও ওষুধ প্রশাসন বিভাগ (Food Safety and Drug Administration) এই ওষুধ দুটি তৈরির লাইসেন্স সাসপেন্ড করেছে। পাশাপাশি সংস্থাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়েছে। যদি নোটিশের উত্তর যুক্তিযুক্ত কিংবা যথাযথ না হয় তাহলে সংস্থার শীর্ষ পদাধিকারীদের হাজতবাসের সম্ভাবনা রয়েছে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম