।। প্রথম কলকাতা ।।
চলতি বিশ্বকাপটা মোটেও ভালো যায়নি পাকিস্তানের। জোড়া ম্যাচ জিতে চলতি বিশ্বকাপ যুদ্ধের অভিযান শুরু করেছিল পাকিস্তান। কিন্তু ভারতের কাছ হারের পরেই সব হিসাব বদলে যায়। এর পর অস্ট্রেলিয়া, আফগানিস্তানের বিরুদ্ধেও হারতে হয় পাকিস্তানকে। ভালো শুরু করেও সেটাকে ধরে রাখতে না পারার জন্য বাবর আজমের অধিনায়কত্ব নিয়েও নিন্দায় সরব হয়েছেন অনেকেই। মিকি আর্থার থেকে আব্দুল রজ্জাক, পাকিস্তানের প্রাক্তন তারকাদের দাবি, ভারতের অতিরিক্ত নিরাপত্তার জন্যই পাক দল নাকি চলতি বিশ্বকাপে পারফর্ম করতে পারেনি। যদিও সেটা মানতে নারাজ অধিনায়ক বাবর আজম। তিনি ভারতের নিরাপত্তা ও আতিথেয়তার প্রশংসা করেছেন।
পুরো বিশ্বকাপে পাকিস্তানের এই পারফরম্যান্স নিয়ে নিন্দা কম হয়নি। বিশাল বড় কিছু অঘটন ঘটাতে না পারলে শাহিন শাহ আফ্রিদি, মহম্মদ রিজওয়ানদের চলতি বিশ্বকাপ যুদ্ধ থেকে বিদায় নেওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। পাশাপাশি চলতি বিশ্বকাপে বাবরের ব্যাটিং ও অধিনায়কত্ব নিয়ে কম কথা হয়নি। প্রাক্তন ক্রিকেটার থেকে শুরু করে নির্বাচক সকলেই সরব হয়েছে। গতকাল একটি সাক্ষাৎকারে বাবর আজমদের নিয়ে কিছুটা মজা করেন ওয়াসিম আক্রম ও মিসবাহ উল হক। একমাত্র ইংল্যান্ড দলকে আটকে রাখলেই পাকিস্তান সেমিফাইনালে যেতে পারবে বলে মন্তব্য করেন তাঁরা। সেটা যে পুরোপুরি ব্যাঙ্গ ছিল তা বুঝতে কারও সমস্যা হয়নি।
পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার যারা তাঁর নিন্দা করেছেন, তাঁদের নাম না করে কটাক্ষ করলেন তিনি। সাংবাদিক বৈঠকে পাক অধিনায়ক বলেন, আমার ধারণা, সবাই টিভিতে জ্ঞান দিতে বেশি পছন্দ করে। তাই কেউ আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে না। কেউ যদি পরামর্শ দিতে চায়, তাহলে আমাকে সরাসরি ফোন করতে পারে। আমার নম্বর তো সবার কাছে আছে। এদিন তাদের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত সমালোচনা ও ব্যাঙ্গের জবাব দিলেন বাবার আজম।
এরই মধ্যে বাবরের নেতৃত্ব ছাড়া নিয়ে তোলপাড় পাকিস্তান ক্রিকেট। পাক ক্রিকেট বোর্ড এবং প্রাক্তন ক্রিকেটারদের ব্যবহারে বিরক্ত হয়ে নেতৃত্ব ছাড়তে চাইছেন বলে সূত্রের খবর। শনিবার ইডেন ম্যাচের পরেই তাই বাবর অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিতে পারেন। যদিও এই বিষয়ে বাবর বা পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের কর্তারা কোন মন্তব্য করেননি। পাকিস্তানের একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রাক্তন পাক ক্রিকেটার এবং বোর্ডের কর্তাদের ব্যবহারে হতাশ বাবর। তবে বাবর নেতৃত্ব ছাড়ার আগে নিজের বাবার সঙ্গে এক বার কথা বলতে চান। তার পরেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। যদিও বিশ্বকাপের পর বাবরকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার কথাও ভাবা হচ্ছিল পাক ক্রিকেটে। তাই বাবর যদি নেতৃত্ব নাও ছাড়েন, তাহলেও অধিনায়কের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে তাঁকে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম