।। প্রথম কলকাতা ।।
Bangladesh Election: বাংলাদেশে বিরোধীদের ভোটে না আসার টালবাহানার মাঝেই আওয়ামীলীগ ঘোষণা করে দিল প্রার্থী তালিকা। এমনিতেই অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন ইস্যুতে আন্তর্জাতিক চাপ রয়েছে ক্ষমতাসীনদের উপর। সবমিলিয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে আওয়ামী লীগ সরকার। তাই দলীয় প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করেছে এই দল। নির্বাচনের আগে সমূলে উৎপাটন করতে চেয়েছে দলীয় কোন্দল। চেষ্টা চলছে, আলাপ আলোচনার মধ্য দিয়ে যাতে দলের মধ্যকার দ্বন্দ্ব মিটিয়ে নেওয়া যায়। লক্ষ্য একটাই, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন।
এখনো ভোট নিয়ে যথেষ্ট দোলাচলে রয়েছে বিরোধীরা। তার মাঝেই প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়েছে আওয়ামী লীগ অর্থাৎ নির্বাচন হচ্ছে দেশের সংবিধান অনুযায়ী। বিএনপি তফসিল প্রত্যাখ্যান করলেও কোন লাভ হয়নি। অবরোধ হরতালের মতো কর্মসূচি গুলো চালালেও সেগুলো চূড়ান্তভাবে ব্যর্থ হতে চলেছে। বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দল বলে মনে করা হয় বিএনপিকে। সেই বিএনপি এখন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে কি নেবে না তার কোন সুস্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাচ্ছে না। যদিও নিজেদের সিদ্ধান্তে এখনো অনড়। লাগাতার অবরোধ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। ওদিকে দ্রুততার সঙ্গে নির্বাচন প্রস্তুতিতে ঝাঁপিয়ে পড়েছে আওয়ামীলীগ। ৩০০টি আসনের মধ্যে ২৯৮ টি আসনে ঘোষণা করেছে প্রার্থী তালিকা। অন্যান্য বারের মতো গোপালগঞ্জ ৩ আসন থেকে দাঁড়িয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগ যে দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে সেই তালিকায় দেখা যাচ্ছে বর্তমান সরকারের প্রায় ৭৭ জন সংসদ সদস্য এবার মনোনয়ন পাননি। অথচ তারা নাকি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে মনোনীত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আওয়ামী লীগ মনোনয়নের ফর্ম কিনেছিলেন ৩৩৬২ জন। ২০১৮ সালের নির্বাচনেও কিন্তু সংসদে ৫৬ জন এমপি দলীয় মনোনয়ন পাননি। ২০১৪ সালের নির্বাচনেও আগের সংসদের ৪৯ জনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। বোঝাই যাচ্ছে, মনোনয়নের ক্ষেত্রে বেশ ভালো রকম কাটছাঁট করেছে আওয়ামী লীগ। প্রার্থী বাছাই করেছে অত্যন্ত সাবধানে।
আপাতত বিএনপির সামনে দাঁড়িয়েছে বেশ কয়েকটা চ্যালেঞ্জ। কারণ মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় আর বেশি বাকি নেই। এই সময়ের মধ্যেই বিএনপি নেতা কর্মীদের দলত্যাগ রোধ একটা বড় চ্যালেঞ্জের সমান। অপরদিকে চলমান সরকার বিরোধী আন্দোলনে নতুন কর্মসূচি প্রণয়ন করা না হলে শেষমেষ ব্যর্থ হবে সব আন্দোলন। ইতিমধ্যেই দলটার বহু শীর্ষ নেতৃত্ব মনে করছে, ৩০শে নভেম্বরের পর হরতাল অবরোধের মতো কর্মসূচিতে কিছুটা পরিবর্তন আনা উচিত। কারণ দীর্ঘদিন ধরে একই ধরনের কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়া একটা দলের পক্ষে খুব একটা সহজ নয়। বিক্ষোভ নাকি গুরুত্বপূর্ণ ভবন কর্মসূচি পালন করবে, আপাতত সেটাই নিয়ে ভাবছে বিএনপি।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম