।। প্রথম কলকাতা ।।
Hindu Temple vandalized in Bangladesh: বাংলাদেশে (Bangladesh) আবার মন্দিরে ভাঙচুরের অভিযোগ। ধ্বংস করা হয়েছে একাধিক বিগ্রহ। হামলা চলেছে প্রায় ১৪টি মন্দিরে। শনিবার রাতের অন্ধকারে বাংলাদেশের উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গি উপজেলায় এমন ঘটনা ঘটেছে। এখনো পর্যন্তও দুষ্কৃতিদের পরিচয় প্রকাশ্যে আসেনি। ‘Zee News’ এ প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ওই গ্রামে বসবাসকারী হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতা বিদ্যানাথ বর্মন জানান, শনিবার রাতে ও রবিবার ভোররাতে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে মন্দিরে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালায়। লাঠিসোঁটা ও অন্যান্য অস্ত্র নিয়ে আসা দুর্বৃত্তরা ১৪টি মন্দির ভাঙচুর করে। এই সময় অনেক প্রতিমা টুকরো টুকরো হয়ে যায় এবং কিছু পাশের পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়।
২০২১ সালে দুর্গা পুজোর সময় বাংলাদেশের ব্যাপকভাবে মণ্ডপে হামলা চলেছিল। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সেই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছিল। কুমিল্লা ও নোয়াখালিতে ইসকন মন্দির, দুর্গা পুজোর মণ্ডপ হামলায় গোটা বিশ্ব সমালোচনায় সরব হয়। তখনও কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছিল শেখ হাসিনা সরকার। সেই ঘটনার দেড় বছরের মাথায় আবার ১৪ টি মন্দিরে হামলা চলল। এক্ষেত্রে প্রায় নটি বিগ্রহ সম্পূর্ণভাবে নষ্ট করা হয়েছে। হামলাকারীদের দ্রুত চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন বিদ্যানাথ বর্মণ। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ওই এলাকার পুলিশ সুপার। তিনি জানিয়েছেন, এই কাজটি পরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে। উদ্দেশ্য ছিল দেশের শান্তি বিঘ্নিত করা।
ঠাকুরগাঁয়ে পুলিশ প্রধান জানিয়েছেন, ঘটনার পর পুলিশ দোষীদের চিহ্নিতকরণের প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ওই অঞ্চলের প্রশাসনিক প্রধান জানান, এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা অপরাধ। তাই দোষীদের এর ফল ভুগতেই হবে। ঠাকুরগাঁও এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতা সমর চট্টোপাধ্যায় জানান, এই এলাকায় হিন্দু-মুসলিমদের সম্পর্ক খুব ভালো। এর আগে কখনো এখানে এমন ঘটনা ঘটেনি। এই ঘটনার কারা ঘটালো তা বোঝা যাচ্ছে না। নতুন বছরের শুরুতেই বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নির্যাতনের ভয়াবহ ছবি তুলে ধরেছিল দেশটির জাতীয় হিন্দু মহাজোট। ‘প্রথম আলো’র এক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, এক সাংবাদিক বৈঠকে জাতীয় হিন্দু মহাজোট জানায় ২০২২ সালে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২২১ কোটি টাকা। একই বছরে প্রায় ৩১৯ টি সংখ্যালঘু পরিবার বা সংখ্যালঘুদের মন্দির লুট করা হয়েছে। বসতবাড়িতে হামলার সংখ্যা প্রায় ৮১৯ টি। অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটেছে ৫১৯ টি বাড়িতে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম