।। প্রথম কলকাতা ।।
পচে যাবে শরীর? অথর্ব হয়ে যাবে হামাস? মাটির নীচে সুড়ঙ্গের ভেতর নার্ভ গ্যাস ছড়িয়ে দেওয়ার প্ল্যান কষছে যুক্তরাষ্ট্রের ডেল্টা ফোর্স। খতরনাক একটা গ্যাস। কোলাপ্স হয়ে যাবে সুড়ঙ্গের মুখ? “ডেল্টা ফোর্সের” ক্ষমতা জানেন? তলে তলে হবে অপারেশন, বিশাল রিস্ক নিয়ে পণবন্দীদের উদ্ধার করার ছক। ইসরাইলি মিশনের বড় সিক্রেট ফাঁস। গাজার মাটির এই একটা গ্যাস ছড়িয়ে পড়বে। আর তারপরেই সব শেষ? গাজা উপত্যকায় হামাসের সুড়ঙ্গগুলোতে নার্ভ গ্যাস ও রাসায়নিক অস্ত্র দিয়ে হামলা চালাতে পারে ইসরায়েল। আন্দাজ আছে কী ঘটতে যাচ্ছে? সুড়ঙ্গে প্রচুর পরিমাণে নিষিদ্ধ নার্ভ গ্যাস পাম্প করা হবে। তাতে ৬ থেকে ১২ ঘণ্টার জন্য শারীরিকভাবে পঙ্গু হয়ে যেতে পারে হামাস। অচেতন হয়েও পড়তে পারে।
ঠিক, সেই সুযোগে ইউএস ডেল্টা ফোর্স সুড়ঙ্গে ঢুকে তাদের প্ল্যানিং অনুযায়ী হামাসের হাজার হাজার সদস্যকে শেষ করতে পারবে, ২২৪ জন পণবন্দীকে মুক্ত করবে। ডেল্টা ফোর্স, এরা কারা? যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর স্পেশাল অপারেশনস ফোর্স। পণবন্দীদের উদ্ধার, সন্ত্রাস দমন, হত্যা বা আটক করার মতো খতরনাক সব মিশনের জন্য তাদের আলাদা করে ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে। ইসলামিক স্টেট মানে আইএস জঙ্গিদের কাছ থেকে পণবন্দী উদ্ধারের এক্সপিরিয়েন্স আছে এই স্পেশ্যাল ফোর্সের। হামাসের টানেল নেটওয়ার্ক ধ্বংস করতে মার্কিন সেনার অভিজাত ইউনিট ‘ডেল্টা ফোর্স’ এর প্ল্যানিং ফাঁস হতেই চারদিকে রীতিমতো হলুস্থল পড়ে গেছে। গাজায় ইসরায়েলের লিমিটেড গ্রাউন্ড রেডে যুক্তরাষ্ট্র যে কীভাবে আষ্ঠেপৃষ্ঠে জড়িয়ে পড়েছে সেটা ধীরে ধীরে স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কয়েক দিন ধরে গাজা সীমান্তের কাছে কয়েক লাখ ইসরাইলি সেনা জড়ো হয়েছিল। কয়েকশ ট্যাংক নামানো হয়েছিল।
আর এবার গাজ়ায় ‘গ্রাউন্ড অপারেশন’ শুরু করল ইজ়রায়েল। গাজ়া ভূখণ্ডে ঢুকে পড়েছে একের পর এক সাঁজোয়া যান, সেনা। হামাসের ব্যবহৃত বেশ কয়েকটি রকেট লঞ্চিং প্যাড এবং ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ কেন্দ্র গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আইডিএফের তরফে সেই হামলার একটি ভিডিয়োও প্রকাশ করা হয়েছে। যদিও ভিডিয়োটিক সত্যতা যাচাই করেনি প্রথম কলকাতা। ভিডিয়োয় দেখা গেছে, একের পর এক ট্যাঙ্ক গাজ়া সীমান্তের প্রাচীর গুঁড়িয়ে দিয়ে ঢুকে পড়ছে। উত্তর গাজ়ায় এবার আরও বড় হামলার সঙ্কেত দিয়েছে আইডিএফ তার প্রথম ধাপই ছিল সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য। গাজ়ায় ঢুকে হামাসের বেশ কিছু ডেরা গুঁড়িয়ে দিয়ে আবার ফিরে এসেছে ইজ়রায়েলি বাহিনী। কিন্তু এখানেই শেষ নয়। ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আরো বেশি আঁটঘাট বাঁধছে। আচমকাই আকস্মিক হামলার মাধ্যমে হামাসকে থতমত খাওয়ানোর প্ল্যান কষছে। তাহলে গাজার বুকে ইসরাইলি স্থল অভিযানের পুরো প্ল্যানিংয়ের মাস্টারমাইন্ড কি যুক্তরাষ্ট্র?
হামাসের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রণকৌশল সাজানোর কাজে সহায়তা করতে বর্তমানে বেশ কয়েকজন মার্কিন সেনা কর্মকর্তা রয়েছেন ইসরাইলে। তারা মূলত ২০০৪ সালে ইরাকের ফাল্লুজা শহরের যুদ্ধের অভিজ্ঞতা শেয়ার করছেন। ইরাক যুদ্ধের সময় অন্যতম রক্তক্ষয়ী লড়াই ছিল ফাল্লুজার লড়াই। গাজায় ইসরাইল স্থল অভিযান শুরু করলে হামাস পণবন্দীদের পাশাপাশি সেখানকার মানুষের জন্য ভয়াবহ বিপদ ডেকে আনতে পারে, এ ছাড়া পুরো অঞ্চলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। এসব বিবেচনা করেই মার্কিন সেনা কর্মকর্তারা লিমিটেড গ্রাউন্ড রেড শুরুর আগে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে বিমান আক্রমণ এবং স্পেশাল অপারেশন চালানোর পরামর্শ দিচ্ছেন। মোদ্দা কথা যেভাবে যুক্তরাষ্ট্রের পরামর্শে ইসরাইল এগোচ্ছে, তাতে গাজার রিস্ক বাড়ছে। নিরপরাধ মানুষদের জীবনের ঝুঁকি বাড়ছে। অলরেডি ট্রেলার দেখিয়েছে ইসরায়েল।
গাজায় যে স্থল অভিযানের কথা বলা হচ্ছে, তার বাস্তব রুপ কতটা ভয়ানক হতে পারে সেটা প্রত্যক্ষ করেছে গাজা। সাঁজোয়া ট্যাঙ্ক ও বুলডোজারের বহর নিয়ে সীমানা অতিক্রম করে গাজার বিভিন্ন স্থানকে নিশানা করে রাতভর হামলা চালানোর কথা জানিয়েছে ইসরাইল ডিফেন্স ফোর্স। নেক্সট টার্গেট যে হামাসের আস্তানা, মাটির নীচের টানেল নেটওয়ার্ক সেটা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। ৭ অক্টোবর হামাস গাজা থেকে দক্ষিণ ইসরায়েলে যে হামলা চালিয়েছিল সেটার জবাব দিতে ইসরায়েল যে কোনও খামতি রাখবে না সেটা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে নেতা নেয়া হোক দেশ।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম