।। প্রথম কলকাতা ।।
Ukraine: রাতের অন্ধকারে কোন ভয়ংকর বিপর্যয়ের মুখোমুখি রাশিয়া? স্পেশাল ট্রেনিংয়ে যুদ্ধের অ্যাঙ্গেল ঘোরাচ্ছে ইউক্রেন। কোন ট্রেনিংয়ে ইউক্রেনীয় ব্রিগেড হয়ে উঠলো এতটা খতরনাক? রুশ বাহিনীকে বলে বলে টেক্কা, গ্রামের পর গ্রাম পুনরুদ্ধার পর্ব চলছে। মার্কিন টেকনিকেই ম্যাজিক হবে? এই ফর্মুলাতেই কি সাফল্য আসবে ইউক্রেনের হাতে? রুশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সত্যিই কি গুঁড়িয়ে দিতে পারবে ইউক্রেন? কোন কোন অস্ত্রের কেরামতিতে যুদ্ধের মোড় ঘুরছে? ইউক্রেনীয় ব্রিগেডের স্পেশাল ট্রেনিংয়েই লুকিং ইউএসপি। বড় প্রশ্ন, পশ্চিমা বিশ্বের পাল্টা চালে কি পিছু হটতে বাধ্য হবে রাশিয়া? কী বলছেন সামরিক বিশ্লেষকরা? রাশিয়ার লিমিট বোঝাতে একেবারে তৈরি হয়ে ময়দানে নেমেছে ইউক্রেন। গোপনীয়তার সঙ্গে সেরেছে স্পেশাল ট্রেনিং, রাতের অন্ধকারে খেলা ঘোরানোর মতো অস্ত্র রয়েছে এদের কাছে। রুশ সেনাদের থেকে পারফরম্যান্সে এরা অনেকখানি এগিয়ে। কিন্তু এরা কারা?
পশ্চিমাদের থেকে ট্রেনিং প্রাপ্ত ইউক্রেনীয় ব্রিগেডের সেনা হ্যাঁ এখানে তাদের কথাই বলা হচ্ছে, এদের ক্ষমতা কিন্তু মারাত্মক। রাশিয়ার বিরুদ্ধে পালটা আক্রমণের লড়াই শুরু করেছে এই সেনারাই। আর তাতেই মিলছে অভূতপূর্ব সাফল্য। ঠিক কি ঘটছে? পশ্চিমাদের থেকে ট্রেনিং প্রাপ্ত এই ইউক্রেনীয় ব্রিগেডের সেনারা রাতের আধারে রণাঙ্গন কাঁপাচ্ছে। পেন্টাগন বলছে, রাতের লড়াইয়ে ইউক্রেনীয় ব্রিগেডকে বিশেষ সুবিধা এনে দিচ্ছে নাইট-ভিশন চশমা, ব্র্যাডলি, জার্মান লেপার্ড ট্যাংক। যাকে বলে একেবারে সেয়ানে সেয়ানে টক্কর। মার্কিনদের তৈরি ব্র্যাডলি সাঁজোয়া যান ব্যবহার করে ট্যাংক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাতের অন্ধকারে রুশ লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করে একেবারে গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। হামলার কৌশল বদলে প্রয়োগ করা হচ্ছে। এখন শুধু ট্রেনিংয়ে শেখা কৌশল কাজে লাগানোর সময়। ৯টা ব্রিগেডে ৩৬ হাজার সেনা, ইউক্রেনের বাইরে গত কয়েক মাস ধরে প্রশিক্ষণ নিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো মিত্রদের থেকে ট্রেনিং নিয়ে তারা একেবারে তৈরি হয়ে এসেছে। ব্রিটেন, জার্মানিও ইউক্রেনীয় সেনাদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ করেছে। তাদেরকে অস্ত্র ও সরঞ্জাম দিয়ে সজ্জিত করা হয়েছে। প্রশিক্ষণের প্রথম পর্যায়ে যুক্তরাষ্ট্রের হাউইটজারের মতো অস্ত্র ব্যবস্থার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। জার্মান সেনাবাহিনী, শ্রেণিকক্ষে সেশন করানোর পাশাপাশি ছোট স্কোয়াড নিয়ে মাঠে ট্রেনিং দিয়েছে। পরে আরও বড় ইউনিট থেকে ব্যাটালিয়ন পর্যায়ে ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে।
বাইডেন প্রশাসন আশা করছে, এই ৯টা ইউক্রেনীয় ব্রিগেড যুদ্ধে মার্কিন পদ্ধতি প্রয়োগ করে প্রমাণ করবে রাশিয়ার কেন্দ্রীয় কমান্ড-কাঠামোর চেয়ে তারা শ্রেষ্ঠ এবং উন্নত আর সামরিক বিশেষজ্ঞরা কি বলছেন? আগামী কয়েক মাস ধরে পশ্চিমা প্রশিক্ষিত সেনাদের দক্ষতা প্রদর্শণের ভিত্তিতেই ইউক্রেনের দীর্ঘ প্রতীক্ষিত পালটা হামলার সাফল্য নির্ণয় সম্ভব হবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। রুশ সেনাদের দখলে থাকা ভূখণ্ড পুনরুদ্ধারে যে পাল্টা আক্রমণ শুরু করেছে ইউক্রেন তাতে তারা দেখিয়ে দিতে চায়, মিত্রদের কাছ থেকে পাওয়া হাজার কোটি ডলারের অস্ত্র, ইউক্রেনীয় সেনাদের কতটা ভয়ঙ্কর করে তুলেছে। পাশাপাশি, ন্যাটো মানের যুদ্ধবাহিনীতে পরিণত করতে পেরেছে কি না। মাথায় রাখতে হবে, শুধু যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকেই চার হাজার কোটি ডলারের অস্ত্র পেয়েছে কিয়েভে।
বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর জন্য এটা পালটা হামলার সবচেয়ে কঠিন পর্যায়। যখন রাশিয়া প্রাণপণ নিজেদের জোর খাটানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে, ইউক্রেনীয়রা যদি রুশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গুঁড়িয়ে দিতে পারে, তাহলে অবশ্যই পরিস্থিতি পাল্টাবে। তেমনটা হয়েওছে। ইউক্রেনীয় সেনারা গত কয়েক সপ্তাহে বেশ কিছু ছোট সাফল্য পেয়েছে। কয়েকটি জায়গায় রাশিয়ার প্রতিরক্ষা রেখার প্রথম সারি ভেঙে কিছু গ্রাম পুনরুদ্ধার করেছে। সেক্ষেত্রে তারা কয়েকটা পশ্চিমা নতুন ট্যাংক ও সাঁজোয়া যান হারিয়েছে। সঙ্গে এটাও জেনে রাখুন পশ্চিমা প্রশিক্ষিত ৯টা ইউক্রেনীয় ব্রিগেড এখনও কিন্তু পুরোপুরি লড়াইয়ে নামেনি। তাতেই তাদের সেনারা অলরেডি সাফল্যের ছাপ রাখা শুরু করেছেন। তাহলে এর পরে কি হবে আন্দাজ করা যাচ্ছে তো?
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম