।। প্রথম কলকাতা ।।
ছেলের বিয়ে বলে কথা, চাইলেই আমন্ত্রিত অতিথিদের দামি দামি পদ খাইয়ে আরো সুনাম অর্জন করতে পারতেন। পেতেন প্রচুর প্রশংসা কিংবা বাহবা। কিন্তু না, ইনি তা করেননি। যা করেছেন তাতে হাসি ফুটেছে একদল মানুষের মুখে। সবাই প্রাণ ভরে আশীর্বাদ করেছেন নব দম্পতিকে। এই ব্যক্তির ছেলের বিয়েতে নজিরবিহীন ঘটনায় অবাক নেটপাড়া। কি করেছেন জানেন? রীতিমত ক্যাটারিং ডেকে ছেলের বিয়েতে নানান রকম পদের ভোজ খাওয়ালেন দরিদ্র নিরন্ন মানুষকে।
আসানসোলের গোপালনগরের বাসিন্দা সজল কান্তি দাস। তার কাছে কিন্তু সমাজসেবা সংক্রান্ত কাজ একেবারেই নতুন নয়। তিনি দীর্ঘদিন ধর এই ধরনের কাজের সঙ্গে যুক্ত। এবার নিজের ছেলের বিয়ের আয়োজন করলেন একটি অন্যরকম ভাবে। সৃষ্টি করলেন নতুন নজির। বিয়ে মানেই যে শুধুমাত্র পরিবার পরিজনকে নিয়ে আনন্দ কিংবা বিনোদন, এমনটা নয়। সেই ছকে বাঁধা গণ্ডির বাইরে গিয়ে হাসি ফোটালেন অসহায় কিছু মানুষের মুখে। সত্যি তো, এমনটা কজন ভাবে বলুন তো? নিজের বাড়ির অনুষ্ঠানের বিশেষ দিনটিকে আরো বিশেষ করে তুললেন। সজল বাবুর মতো বিশেষ দিনগুলোতে মানুষ যদি নিরন্ন মানুষের কথা ভাবে, তাহলে তাদের কষ্ট একটু কমে।
ছেলে শ্রমণ এবং নতুন পুত্রবধূ শর্মিষ্ঠা সহ পরিবারের লোকজনকে নিয়ে তিনি গিয়েছিলেন স্টেশন সংলগ্ন এলাকায়। তারপর সেখানে ফুটপাতে থাকা মানুষজনের মুখে তুলে দেয় নানান পদের ভালো ভালো খাবার। গত ২৩ শে নভেম্বর বিয়ে হয়েছে তার ছেলের। শনিবারে ছিল প্রীতিভোজের অনুষ্ঠান। তার আগেই তিনি এই বিশেষ ভোজের আয়োজন করেছেন। নানা পদের ভালো খাবার পেয়ে খুশিতে ডগমগ ফুটপাতে থাকা মানুষগুলো। বেশ কয়েকটি দরিদ্র পাড়া থেকে শুরু করে গ্রামে গিয়ে এইভাবে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেছেন সজল কান্তি দাস। তার মতে, এত সুন্দর একটা মুহূর্তে শুধুমাত্র পরিবারকে নিয়েই কেন বা আনন্দ করবেন? বরং ফুটপাতে থাকা মানুষের মুখে অন্ন তুলে দিয়ে তিনি আরো বেশি আনন্দ পাচ্ছেন। তিনি এভাবেই সমাজের বুকে নতুন বার্তা দিতে চান। যাতে সবাই এই কাজে এগিয়ে আসে। তাহলে একটু হলেও ভালো থাকতে পারবে ফুটপাতে থাকা সহায় সম্বল হীন মানুষগুলো। কিছুটা হলেও কমবে তাদের দুঃখ কষ্ট।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম