।। প্রথম কলকাতা ।।
Longan Farming: গ্রীষ্মকাল আসলেই বাজার ছেয়ে যায় রসালো লিচুতে (Licchi)। লিচুর সঙ্গে ভারতীয়রা খুব ভালোভাবে পরিচিত। গ্রীষ্মকালীন এই ফল স্বাদে অতুলনীয়। কিন্তু ভারতের বাজারে লিচুর বিকল্প হিসেবে চাহিদায় রয়েছে লংগান (Longan)। এটি একটি বিদেশি ফল। তবে দেশেও এর চাষ করা হয়। দেশে এটি আঁশফল বা কাঠলিচুর উন্নতজাত হিসেবে পরিচিত। গ্রামেগঞ্জে আঁশফল অনেকেই খেয়ে থাকবেন। এগুলি লিচুর থেকে কিছুটা ছোট গোলাকার হয়। আর এর খোসা হয় বাদামি রঙয়ের। লিচুর খোসা থেকে যথেষ্ট শক্ত হয় সেগুলি। ভেতরটা একেবারেই লিচুর মতো এবং স্বাদেও লিচুর কাছাকাছি।
সব থেকে বেশি লংগানের ফলন হয় চীন, থাইল্যান্ড, মিয়ানমার প্রভৃতি জায়গায়। এই ফলের খোসা ছাড়ালে ভেতরটা দেখতে অনেকটা চোখের মতো মনে হয়। তাই একে লংগান বা ড্রাগন্স আই বলা হয়। তবে এখন শুধুমাত্র বিদেশের মাটিতে নয় বাংলাদেশ এবং ভারতেও এই লংগান চাষ করা হচ্ছে। বিদেশ থেকে চারা এনে বাণিজ্যিকভাবে এই চাষ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। লংগান চাষ করতে খুব বেশি পরিচর্যার প্রয়োজন হয় না। এই ফলটি অত্যন্ত পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এবং রোগ প্রতিরোধ (Immunity Power) ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি ক্যান্সার প্রতিরোধ করতেও ভীষণভাবে সাহায্য করে। লংগানে অন্যান্য যে কোন ফলের তুলনায় ভিটামিন সি (Vitamin C) এর পরিমাণ তুলনামূলকভাবে অনেকটাই বেশি।
লিচু পরিবারের এই ফলের চারাগাছ যদি জমিতে লাগিয়ে রাখা হয় তাহলে বিশেষ রক্ষণাবেক্ষণ ছাড়াই সেগুলি বেড়ে ওঠে। শুধু সময় সময়ে একটু জল দেওয়া এবং সার প্রয়োগ করা। এইটুকুতেই ভালো ফলন দিতে পারে লংগান। একটি মধ্য বয়স্ক লংগান গাছ প্রায় ৭০ থেকে ১০০ কেজি পর্যন্ত ফল দেয়। অর্থাৎ একবারের ফলন থেকে আয় করা যেতে পারে প্রায় লাখ খানেক টাকা। এই ফল ভারতের বাজারে বিক্রি করা হয় ৬০০ থেকে ১০০০ টাকা কেজি দরে। বিদেশেও রপ্তানি করা যায় এই ফল। যার কারণে দেশীয় কৃষকদের মধ্যে এই ফলের বাণিজ্যিক চাষাবাদের সম্ভাবনা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
খালি জমিতে চারা বপন করার পর গাছ কিছুটা বড় হলে দু বছরের মধ্যে তার ফল ধরতে শুরু করে। আর এই লংগান ফল আপনি গাছ থেকে তুলে নেওয়ার পর প্রায় ১০-১৫ দিন রাখতে পারবেন। স্বাভাবিক অবস্থাতে থাকলেও এগুলি নষ্ট হয় না। লিচুর বিকল্প হিসেবে লংগান চাষে কৃষকদের মুনাফা লাভের সম্ভাবনা যথেষ্ট।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম