।। প্রথম কলকাতা ।।
Arrested for keeping turtle : সংসারের মঙ্গল হবে, অর্থনৈতিক সুফল মিলবে এমন ধারণা মনে পোষণ করে বাড়িতে এনেছিলেন দুটি কচ্ছপ। শখ করে সেই দুটি কচ্ছপ সাজিয়ে রেখেছিলেন বাড়ির অ্যাকোয়ারিয়ামে। কিন্তু কচ্ছপের ছবি স্ত্রী সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করতেই জীবনে নেমে এল অশান্তির কালো ছায়া। বনদফতরের নজরে আসতেই বাড়িতে হানা দিল বনদফতর কর্মীরা। আর তারপর কচ্ছপ সহ গ্রেফতার করা হল বাড়ির মালিক বাপি দত্তকে। এই ঘটনাটি শিলিগুড়ির ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের সংহতি মোড়ের।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, ওই এলাকায় বসবাস বাপি দত্ত এবং স্ত্রী মিতা দত্তের। রবিবার মিতা দেবী ফেসবুকে ওই কচ্ছপ দুটি কিনেছেন বলে ছবি পোস্ট করেন। আর তারপর সেই পোস্টটি বনদফতরের বেলাকোবা রেঞ্জ অফিসার সঞ্জয় দত্তের নজরে আসে। পরবর্তীতে তিনি এক্ষেত্রে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ডি এফ ও এর জানা যায় যে কচ্ছপের ছবি তিনি পোস্ট করেছেন সেটি ইন্ডিয়ান টেন্ট টাইটেল প্রজাতির। যা সাধারণত বিক্রি করা কিংবা পোষা যায় না। রবিবার বিকালে বেলাকোবা রেঞ্জ অফিসার সহ বনদফযরের কর্মীরা এসে হানাদার বাপি দত্তের বাড়িতে।
যদিও বাপি দত্ত জানান, তিনি এই কচ্ছপ কিনেছেন বিধান মার্কেট থেকে। সেই সময় তাঁর বাড়িতে একটি টিয়া পাখি খাঁচা বন্দি দেখে সেটাও নিয়ে আসে বনদফতর এর কর্মীরা। একইসঙ্গে আটক করা হয় বাপি দত্তকেও। যেখান থেকে তিনি এই কচ্ছপ দুটি কিনেছেন বলে জানান বনদফতর আধিকারিকদের সেখানেও তাঁরা খোঁজখবর চালাবেন বলে জানা গিয়েছে। বেআইনি কচ্ছপ বাড়িতে কিনে আনার জন্য এবং তাদেরকে পোষার অপরাধে আটক করা হয় বেসরকারি কোম্পানিতে উচ্চ পদে কর্মরত বাপি দত্তকে।
এই ঘটনাটি স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। এর আগেও বহুবার কলকাতা সহ অন্যান্য জায়গা থেকে বনদফতরের কর্মীরা কচ্ছপ উদ্ধার করেছেন। তবে এরকম গৃহস্থের বাড়ি থেকে পোষ্য কচ্ছপকে উদ্ধার করার ঘটনা পূর্বে খুব একটা দেখা যায়নি। নিয়ম বহির্ভূত যেকোনো ধরনের প্রাণী বাড়িতে প্রতিপালন বরদাস্ত করবে না বনদফতর, এমনটাই জানানো হয়েছে। গতকালকের এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই হকচকিয়ে যান বাপি দত্তের প্রতিবেশীরাও।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম