।। প্রথম কলকাতা ।।
Devotees Death: বিগত দুটি বছর করোনার কারণে দূর-দূরান্ত থেকে আসা বহু ভক্তরা গঙ্গাসাগরের মেলায় (Gangasagar Mela) এসে উপস্থিত হতে পারেননি। তবে চলতি বছরে গঙ্গাসাগরের মেলায় যে পুণ্যার্থীদের ভিড় চোখে পড়ার মতো হবে তা আগেই আশঙ্কা করেছিল রাজ্য প্রশাসন। যার কারণে ভিন রাজ্য থেকে আসা ভক্তদের যাতে কোনরকম অসুবিধার মুখে না পড়তে হয় সেই ব্যবস্থা করা হয় রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। ইতিমধ্যেই ২০২৩ সালের গঙ্গাসাগরের মেলা শুরু হয়ে গিয়েছে। একই সঙ্গে ভিড় জমাতে শুরু করেছেন পুণ্যার্থীদের দল। এই মতো পরিস্থিতিতে গঙ্গাসাগর মেলায় প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটল।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, হরিয়ানা থেকে ধরম পাল নামে এক ব্যক্তি এসে পৌঁছেছিলেন নামখানায় (Namkhana)। সেখানে থেকে তিনি বাস থেকে নামার পরেই হৃদরোগে (Heart Attack) আক্রান্ত হন। সঙ্গে সঙ্গে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। চিকিৎসকরা জানান, নামখানা নারায়ণপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মৃত্যু (Devotee Death) হয় বছর ৫৮-এর ধরম পালের। ইতিমধ্যে ময়নাতদন্তের জন্য তাঁর মৃতদেহ কাকদ্বীপ হাসপাতালে (Kakdwip Hospital) পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও গঙ্গাসাগর মেলা প্রাঙ্গনে এক মহিলা পুণ্যার্থীর অসুস্থ হয়ে পড়ার ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে।
জানা যায়, উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা চন্দ্রাবতী দেবী পরিবারের সঙ্গে এসেছিলেন গঙ্গাসাগরের মেলায়। কিন্তু এখানে এসেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। যার কারণে তাকে ডুমুরজলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে যদিও শারীরিক অবস্থার অবনতির কারণে তাকে রেফার করা হয় অন্য হাসপাতালে। উল্লেখ্য, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গঙ্গাসাগর মেলা শুরু হওয়ার আগে প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে এসেছিলেন গঙ্গাসাগরে। সেখানে তিনি ঘোষণা করেছিলেন, চলতি বছরে গঙ্গাসাগরে আসা যেকোনো পুণ্যার্থী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ যদি দুর্ভাগ্যবশত প্রাণ হারান তাহলে তাদের জন্য ৫ লক্ষ টাকা বিমার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এছাড়াও প্রতিবারের মতোই লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থীদের আগমনকে কেন্দ্র করে যাতে কোনরকম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয় তার জন্য গঙ্গাসাগর মেলা প্রাঙ্গণে প্রচুর পরিমাণে পুলিশ বাহিনী মোতায়ন করা হয়েছে। রয়েছে প্রায় সাড়ে ৬ হাজারের মতো ভলেন্টিয়ার। এছাড়াও রয়েছেন সমুদ্র সৈকত পরিষ্কার রাখার জন্য প্রায় তিন হাজারের মতো কর্মী। যাতায়াতের জন্য যাতে পুণ্যার্থীদের হয়রানির শিকার না হতে হয় তাই গঙ্গাসাগর মেলায় এই বছরের সিঙ্গেল টিকিটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এক টিকিটে গঙ্গাসাগর যাওয়া এবং গঙ্গাসাগর থেকে আসা যাবে। এছাড়াও ব্যবস্থা করা হয়েছে ২২৫০ টি সরকারি বাস এবং ৫০০ টি বেসরকারি বাসের। অসুস্থ রোগীদের জন্য প্রস্তুত থাকবে ১০০ টি অ্যাম্বুলেন্স, একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স এবং চারটি ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্স।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম