।। প্রথম কলকাতা ।।
LAC-তে লাল ফৌজকে ঠাণ্ডা করার ছক, এবার কি যুদ্ধে জড়াচ্ছে ভারত চীন দুই দেশ? বর্ডারে নতুন করে টেনশন?চীন সীমান্তে হাজার হাজার সেনা পাঠিয়ে দিল ভারত। এতো এতো ট্যাঙ্ক, খতরনাক ড্রোন, যুদ্ধবিমান। কড়া পাহারা বসিয়ে দিয়েছে নয়াদিল্লি। “অপারেশনাল রেডিনেস” সিচুয়েশন কতটা মারাত্মক? দুদিন ধরে বৈঠকে ভারত চীন মুখোমুখি। গালওয়ান সংঘর্ষের কথা মনে আছে তো? যুদ্ধ বেঁধেই গেছিল, বিস্ফোরক রিপোর্ট এলো সামনে। একেবারে ইমারজেন্সি সিচুয়েশন? লাদাখে বাজপাখির মতো নজর রাখছে ভারত। এক দু হাজার নয়, সারা দেশ থেকে ৬৮ হাজারেরও বেশি সেনা, ৯০টা ট্যাংক, অস্ত্রশস্ত্র এয়ারলিফট করে পূর্ব লাদাখে নিয়ে গেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। ফাইটার জেটের বেশ কয়েকটা স্কোয়াড্রন বসানো হয়ে গেছে।
সু-৩০ এমকেআই সহ জাগুয়ার ফাইটার জেট গুলোকে সর্বক্ষণ ওই অঞ্চলে নজরদারির জন্য রেখে দেওয়া হয়েছে। ওড়ানো হচ্ছে হেরন মার্ক ২ ড্রোন। যা ৩৬ ঘন্টা একটানা উড়তে পারে। রোদ বৃষ্টি যে কোনও আবহাওয়াতেই সব রকম এলাকায় নজরদারি চালাতে এক্সপার্ট হেরন। শত্রুপক্ষের থেকে ইনফরমেশন কালেক্ট করাই টার্গেট। কিন্তু এতো তোড়জোড় কীসের? ভারত ‘অপারেশনাল রেডিনেস’ শব্দটা ব্যবহার করছে মানে, ্পরিস্থিতি প্রতিকূল হলেই যেন যুদ্ধ শুরু করে দেওয়া যায়। তাহলে কি ভারতের বিরুদ্ধে বড় কোনো চক্রান্ত হচ্ছে? শুরুটা হয়েছে অনেক আগে। মনে আছে? ২০১৭ সালে ডোকলাম সংঘাতের পর ২০২০ সালের জুনে সংঘর্ষে কেঁপে উঠেছিল গালওয়ান উপত্যকা। সেই ক্ষত আজও শুকোয়নি।
এটা জানা আছে? তখনই যুদ্ধ বেঁধে গেছিল ভারত-চীনের মধ্যে সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে একটা বিস্ফোরক রিপোর্ট, তা থেকে এরকমই অনুমান করছে ওয়াকিবহাল মহল। তাই, গালওয়ান সংঘর্ষের পরপরই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় এই ৬৮ হাজার সেনা মোতায়েন করা হয় পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায়। সীমান্ত এলাকায় লাগাতার নজরদারির জন্য রাখা হয় বায়ুসেনার যুদ্ধবিমান। বায়ুসেনার পরিবহন ব্যবস্থা ব্যবহার করেই দুর্গম এলাকাগুলোতে সেনা সহ প্রচুর অত্যাধুনিক অস্ত্র পৌঁছনো হয়েছিল। সীমান্তের ও পারে কোনও নির্মাণকাজ চলছে কি না, কিংবা সেনা সমাবেশ করা হচ্ছে কি না, তা নজরে রাখার জন্যই সীমান্ত থেকে মাত্র ৫০ কিলোমিটার দূরত্বে বায়ুসেনার তরফে সু-৩০ এবং জাগুয়ার যুদ্ধবিমান পাঠানো হয়েছিল। সদ্য প্রকাশিত রিপোর্ট বলছে, সবমিলিয়ে খুব সময়ের মধ্যে ৯ হাজার টন ওজন বহন করেছিল বায়ুসেনার পণ্যবাহী বিমানগুলো। যেন লালফৌজের সমস্ত গতিবিধির দিকে লক্ষ্য রাখা যায়। রাফাল থেকে মিগ, যুদ্ধের জন্য একেবারে তৈরি রাখা হয়েছিল।
মজুদ রাখা হয়েছে যুদ্ধাস্ত্র। ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী ব্যবস্থাও প্রস্তুত। চীনের সঙ্গে সীমান্ত নিয়ে এখনও স্থির ঐকমত্যে পৌঁছতে পারেনি নয়াদিল্লি। সেই সময় দুদেশের মধ্যে সাময়িকভাবে সংঘর্ষবিরতি ঘটলেও এখনও বর্ডারের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। তবে রিপোর্ট বলছে, গালওয়ান সংঘর্ষের পরে আরও শক্তিশালী হয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। লাদাখ থেকে শুরু করে অরুণাচল প্রদেশ, একাধিক ক্ষেত্রে সীমান্ত এলাকায় অনেক বেশি সক্রিয় হয়েছে সেনা। আর এবার দুই দেশের সীমান্তে টেনশন কমাতে, সীমান্তে শান্তি ফেরাতে উদ্যোগী ভারত চীন। পারস্পরিক আস্থার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে সোমবারই দুই দেশের সেনার শীর্ষ আধিকারিকরা বৈঠকে বসেছেন। সীমান্ত নিয়ে ১৯তম এই বৈঠকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনাই মেইন টপিক। ভারতের তরফে এই বৈঠকের নেতৃত্বে লেফটেন্যান্ট জেনারেল রশিম বালি।
জানিয়ে রাখি কূটনৈতিকভাবেও এই বৈঠক খুব ইম্পর্ট্যান্ট কারণ, আগামী ৯ এবং ১০ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে হতে চলা জি২০ বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা জিনপিংয়ের। মূল বৈঠকের পাশাপাশি একটি পার্শ্ব বৈঠকও করতে পারেন ভারত এবং চিনের রাষ্ট্রপ্রধান। তা ছাড়া অল্প কয়েক দিন পরেই দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত হতে চলা ব্রিকস সম্মেলনে মুখোমুখি হতে পারেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান। তার আগেই সীমান্ত পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক করে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে মজবুত করতে চাইছে বেজিং এবং নয়াদিল্লি।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম