।। প্রথম কলকাতা ।।
Madhya Pradesh: দিনরাত একটি গাছের পাহারা দিচ্ছে সশস্ত্র প্রহরী। এই গাছের পরিচর্যায় নাকি খরচ হয় প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা। এ যেন এক আশ্চর্য গাছ। ১৫ দিন অন্তর করা হয় মেডিক্যাল চেকআপ। হয়ত ভাবছেন নিশ্চয়ই গাছের মধ্যে কোন রহস্য রয়েছে! সাধারণত সশস্ত্র প্রহরী দিয়ে পাহারা দেওয়া একেবারেই সাধারণ ব্যাপার নয়। সাধারণত দাগি আসামিদের জন্যই এই ব্যবস্থা করে থাকে। কিন্তু সেখানে বন্দুক নিয়ে দিনরাত পাহারা দেওয়া হচ্ছে একটি গাছকে। গাছের চারিদিকে রয়েছে শক্ত তারের বেড়াজাল। যা ইচ্ছা করলেই টপকানো যায় না। এই বিশেষ গাছ দেখতে গেলে হলে আপনাকে যেতে হবে মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) সালামতপুর এলাকায়।
‘এনবিটি নবভারত টাইমস'(হিন্দি) এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, মধ্য প্রদেশের রাইসেন (Raisen) জেলার সালামতপুরে অবস্থিত বোধি গাছটি ভিভিআইপির মতো রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। দু’জন প্রহরী সার্বক্ষণিক এর নিরাপত্তায় নিয়োজিত। এটির রক্ষণাবেক্ষণে বছরে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা খরচ হয়। সাঁচির বৌদ্ধ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাহাড়ে অবস্থিত এই বোধি গাছটি ২০১২ সালে শ্রীলঙ্কার তৎকালীন রাষ্ট্রপতি রোপণ করেছিলেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানও।
মধ্যপ্রদেশের রাইসেন জেলায় এই ভিভিআইপি গাছ। এটি এতটাই গুরুত্বপূর্ণ যে এর নিরাপত্তার জন্য চব্বিশ ঘন্টা নিরাপত্তা রক্ষী মোতায়েন করা রয়েছে। ১৫ দিন অন্তর গাছটির মেডিক্যাল চেকআপ করানো হয়। গাছের গুরুত্বের কারণ হল, এর সম্পর্কে ধর্মীয় বিশ্বাস। বৌদ্ধ ধর্মে এই গাছের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। কথিত আছে, ভগবান বুদ্ধ এই গাছের নীচে বোধি লাভ করেছিলেন। সম্রাট অশোকও এই গাছ থেকে শান্তি খোঁজার অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন। রাইসেনের সালামতপুরে অবস্থিত এই গাছটিকে বোধিবৃক্ষ বলা হয়। বোধি গাছের সুরক্ষার জন্য এর চারপাশে ১৫ ফুট উঁচু জাল বসানো হয়েছে। দু’জন প্রহরী দিনরাত এর সুরক্ষায় অবিরাম দাঁড়িয়ে থাকে। এমনকি গাছে পাতা পড়লেও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এখানে পৌঁছায়। সাঁচি মিউনিসিপ্যাল কাউন্সিল, পুলিশ, রাজস্ব এবং উদ্যানপালন বিভাগ গাছটির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নিয়েছে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম