।। প্রথম কলকাতা ।।
বহু ঘাত-প্রতিঘাত, চমক, রোমাঞ্চ, উত্তেজনা পেরিয়ে শেষ লগ্নে কাতার বিশ্বকাপ। কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে ফাইনালের মঞ্চে মুখোমুখি আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্স। ফ্রান্সের কাছে শিরোপা ধরে রেখে ইতিহাস লেখার ম্যাচ। বিশ্ব ফুটবল সোনালী ট্রফি ধরে রাখতে দেখেছে ৬০ বছর আগে। ১৯৩৪ ও ১৯৩৮ সালে ইতালি এবং ১৯৫৮ ও ১৯৬২ সালে বিশ্বকাপ জিতে এই কীর্তি গড়েছিল ব্রাজিল। এবার সেই ইতিহাসকে ফিরিয়ে আনার হাতছানি ফ্রান্সের সামনে। ২০১৮ সালে রাশিয়া বিশ্বকাপে ক্রোয়েশিয়াকে বিশ্বকাপ ট্রফি ঘরে তুলেছিল ফরাসিরা। ১৯৯৮ সালের পর এটাই ছিল তাদের দ্বিতীয় বিশ্বকাপ জয়।
অন্যদিকে বিশ্বকাপের জন্য তিন যুগের অপেক্ষার অবসান ঘোচানোর লড়াই। মারাদোনার হাত ধরে ১৯৮৬ বিশ্বকাপ জয়ের পর দুবার ফাইনালে উঠেও পুড়তে হয়েছে স্বপ্নভঙ্গের বেদনায়। সর্বশেষ তাদের স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে ২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপে। ঐতিহাসিক মারাকানা স্টেডিয়ামে সেই আক্ষেপ ঘোচানোর সুযোগ আবারও পেয়েছে আলবিসেলেস্তেরা। মেসির হাত ধরে স্বপ্নপূরণ হেলায় হারাতে চাইবে না আর্জেন্টিনা। যদিও এই মারাকানা স্টেডিয়ামেই মেসির হাত ধরে ২৮ বছরের ট্রফির খরা কাটিয়েছে আর্জেন্টিনা। ব্রাজিলকে কোপা আমেরিকা জয় করেছে তাঁরা। আর আর্জেন্টিনা ফুটবলের পুনর্জন্ম সেখান থেকেই। এরপর বর্তমান ইউরো চ্যাম্পিয়ন ইতালিকে হারিয়ে কনমেবল ও উয়েফার যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘ফিনালিসিমা’ জয় করে আর্জেন্টিনা।
আর্জেন্টিনার মাঠের নায়ক যদি লিওনেল মেসি হন তো মাঠের বাইরের নায়ক লিওনেল স্কোলানি। আর্জেন্টিনা দলটার খোলনলচে বদলে দিয়েছেন তিনি। স্কোলানির বুদ্ধিদীপ্ত কৌশলেই স্বপ্নের জাল বুনছে আলবিসেলেস্তেরা। অন্যদিকে গতবার বিশ্বকাপ জিতে খেলোয়াড় ও কোচ দুই ভূমিকাতেই বিশ্ব জয়ের নজির গড়েছেন ফ্রান্স কোচ দিদিয়ের দেশচ্যাম্প। একই আসনে জায়গা করে নিয়েছিলেন ব্রাজিলের মারিও জাগালো ও জার্মানির ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ারের সঙ্গে। আর এবার বিশ্বকাপ জিতলেই ছাড়িয়ে যাবেন জাগালো ও বেকেনবাওয়ারকে। সেই সঙ্গে কোচ হিসেবে দুইবার বিশ্বকাপ জয় করে ছুঁয়ে ফেলবেন ভিত্তিরিও পোজ্জোকে। এই ইতালিয়ান কোচের দখলেই রয়েছে দুটি বিশ্বকাপ জয়ের নজির।