।। প্রথম কলকাতা ।।
Boost Immunity: শীত পড়তেই আবহাওয়ার বিশাল পট পরিবর্তন। এই সময় রোগ-ব্যাধি সামলে চলা বেশ মুশকিল। দুপুরের দিকে টানা রোদ্দুরে একটু গরম ভাব, তো রাতে কনকনে ঠান্ডা। যার কারণে বাড়ছে রোগ ব্যাধির প্রকোপ। বিশেষ করে এই সময় শিশুদের শরীর খুব নাজুক হয়। জ্বর, সর্দি,কাশি, গলা ব্যথা ঘরে ঘরে সাধারণ সমস্যায় দাঁড়িয়েছে। বয়স্ক আর শিশুদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম হওয়ায় আবহাওয়ার পরিবর্তনের সঙ্গে শরীর সেই পরিবেশে হঠাৎ মানিয়ে নিতে পারে না। তাই বলে ঘরে মুঠো মুঠো ওষুধ মজুদ করার কোন প্রয়োজন নেই। এই সামান্য কারণে চিকিৎসকের পিছনে টাকা খরচ করতে হবে না। যদি অসুস্থ হয়ে যান তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। অসুস্থ হয়ে পড়ার আগে যদি আপনার খাওয়া দাওয়ার ক্ষেত্রে একটু পরিবর্তন আনেন তাহলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। তখন সহজে এই সমস্যাগুলি আপনাকে ধরাশায়ী করতে পারবে না।
(১) শীতে ফিট থাকতে অন্যতম বিকল্প হল শরীর চর্চা। প্রতিদিন নিয়ম করে ৩০ মিনিটের হাঁটা কিংবা সামান্য ওয়ার্কআউট আপনার শরীরকে সক্রিয় রাখার পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে। এর ফলে ঠান্ডা লাগা, সর্দি, কাশি সহ নানান সমস্যা আপনাকে কাবু করতে পারবে না। প্রতিদিনের সামান্য শরীরচর্চা আপনাকে হৃদরোগ বা ক্যানসারের মতো মারণ রোগ থেকে অনেকাংশে দূরে রাখবে।
(২) পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম, পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান শরীর সুস্থ রাখার অন্যতম টিপস। পাশাপাশি খাবারের তালিকায় রাখতে হবে সুষম খাদ্য। শীতকালীন সময়ে বাজারে বিভিন্ন ধরনের সবজি পাওয়া যায়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ সবজিগুলির মধ্যে রয়েছে মটরশুঁটি, গাজর, বিন, ক্যাপসিকাম, ফুলকপি প্রভৃতি। এছাড়াও শীতে শরীর চাঙ্গা রাখতে সকালে উঠে কয়েকটি আমন্ড বাদাম খেতে পারেন। এই শীতে শরীর ভালো রাখতে হাতের কাছে রাখুন কয়েক টুকরা আমলকি। এছাড়াও পালং শাক, অ্যাভোগাডো এগুলি শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারি।
(৩) ফ্লু এবং সাধারণ ভাইরাসের সংক্রমণের ক্ষেত্রে রসুন বেশ কাজ দেয়। জিঙ্ক সমৃদ্ধ রসুন মানব শরীরের প্রয়োজনীয় সেলের উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এই শীতে মাঝে মধ্যে গার্লিক স্যুপ খেতে পারেন। এছাড়াও আদাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিকর উপাদান যেমন ভিটামিন বি সিক্স, ম্যাঙ্গানিজ সহ নানান খনিজ পদার্থ। যে কোন সংক্রমণের সঙ্গে মোকাবিলা করতে আদা সাহায্য করে।
(৪) নিত্যদিনের সঙ্গী বানিয়ে ফেলুন পাতিলেবু আর কমলালেবুকে। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ এই দুই লেবু শীতে খেতে খুব একটা খারাপ লাগে না। প্রতিদিন অন্তত ভাতের সঙ্গে এক টুকরো পাতি লেবু, আর বিকালের দিকে খাওয়ার পর কমলালেবু খান। সব খাবারই খান পরিমিত পরিমাণে। প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞদের কাছে ডায়েট সম্পর্কিত পরামর্শ নিয়ে নিন।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম