।। প্রথম কলকাতা ।।
Milk tea : সকালে উঠেই গরম চায়ে চুমুক ছাড়া দিন শুরুর কথা ভাবাই যায় না। অনেকেই বেড টি পান করেন। তারপর ফের ব্রেকফাস্টের পর চা। কিন্তু কোন চা খাবেন- দুধ চা নাকি লাল চা, নাকি গ্রিন টি?এখন স্বাস্থ্য সচেতনতার জন্য গ্রিন টির দিকে ঝুঁকছেন অনেকেই। বিশেষত যারা লাল চা পান করেন, গ্রিন টিকেও পানীয়ের তালিকায় রাখছেন স্বাচ্ছন্দে। আবার অনেকেই তিন ধরণের চা-ই নিয়মিত পান করেন সময় ও সুযোগ বুঝে।
চায়ের কথা বলতেই চোখের সামনে নিশ্চয় ভেসে ওঠে গরম এককাপ পারফেক্ট বর্ণ, গন্ধ, স্বাদ ও ঘনত্বের দুধ চায়ের ছবি। প্রথমেই বলি অল্যাকটোজ ইনটলারেন্স কিংবা গ্যাস্ট্রিক আলসারের সমস্যার থাকলে দুধ চা এড়িয়ে চলুন। সেক্ষেত্রে সঙ্গে থাক লাল চা।
কিন্তু এই তিন প্রকারের চায়ের মাঝে কোন চা সবচেয়ে উপকারী ও স্বাস্থ্যকর? সেটা সম্পর্কেই আজকের ফিচারে আলোচনা করা হয়েছে।
দাঁত ও হাড়ের জন্য প্রয়োজন ফ্লোরাইড। তার জন্য লাল চা ও গ্রিন টি অগ্রাধিকার পাবে। এই দুই চা থেকেই পর্যাপ্ত পরিমাণ ফ্লোরাইড পাওয়া যায়। কিন্তু দুধ চা এক্ষেত্রে হতাশ করবে। গ্রিন টি ও লাল চা দাঁত ও হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। লাল চায়ের থেকেও বেশি ফ্লোরাইড পাওয়া যায় গ্রিন টিতে।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের উপস্থিতির দিক থেকেও এগিয়ে থাকবে গ্রিন টি ও লাল চা। এই দুই ধরণের উপকারী চায়ে পাওয়া যায় ক্যান্সার প্রতিরোধকারী শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। অন্যদিকে দুধ চায়ে মিশ্রিত দুধ অ্যান্টি-অক্সিডেন্টকে শরীরে শোষিত হতে বাধাপ্রদান করে। তবে ফ্লোরাইডের উপস্থিতির মতো অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের উপস্থিতির ক্ষেত্রেও গ্রিন টি সবচেয়ে বেশি ভালো। গ্রিন টি থেকে পাওয়া যায় ক্যাটেচিন নামক ফ্ল্যাভনয়েড। যা ক্যান্সার কোষের জিনের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।
লাল চা গ্রিন টি- উভয় ধরণের চা থেকেই পাওয়া যাবে পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্যাফেইন। তবে লাল চায়ের তুলনায় গ্রিন টিতে ক্যাফেইন মাত্রা থাকে কিছু কম। যদি আপনি সকাল বেলা ঘুমভাব দূর করে পুরোদমে কাজ শুরু করতে চান তবে লাল চা হবে সবচাইতে ভালো পছন্দ। যদি লাল চা না থাকে তবে গ্রিন টিও পান করতে পারেন। তবে দুধ চায়ের ক্ষেত্রে ক্যাফেইনের মাত্রা হবে একেবারেই কম এবং লাল চা পানে যেমন রিফ্রেশিং ভাব তৈরি হয় দুধ চা থেকে তেমনটা পাওয়া যাবে না।
হৃদযন্ত্রকে যদি সুস্থ রাখতে চান তবে তিন ধরণের চায়ের মাঝে লাল চা হবে সবচাইতে উৎকৃষ্ট। তবে গ্রিন টিও ব্লাড ভ্যাসেলের চাপকে হ্রাস করতে এবং হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখতে কাজ করে। অন্যদিকে লাল চা হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখার পাশাপাশি ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। তাই প্রতিদিন কাপের পর কাপ চা পানের অভ্যাস থাকলে লাল চা বা গ্রিন টি বেছে নিন।দুধ চা পান করুন মাঝেমধ্যে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম