।। প্রথম কলকাতা ।।
Heat Wave: তীব্র দাবদাহে ভয়ঙ্কর অবস্থা শিশুদের। গত এক সপ্তাহে অসুস্থ শয়ে শয়ে শিশু। এমন আবহে নিজের সন্তানটিকে নিয়েও ভয় পাচ্ছেন? চিন্তা নেই, সুরক্ষার কৌশল জানালেন চিকিৎসকরা। এই ৪টি বিষয় লক্ষ্য রাখতে পারলেই উতরে যাবে গরমের বৈতরণী। অসুখ বিসুখ ধারেকাছে ঘেঁষতেও পারবেনা। জানুন কী তাদের পরামর্শ।
গরমের চোটে উথালপাথাল গোটা দেশ। পারদ যত উঠছে ততই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে অসুস্থতা। বাড়ির বড়রা তাও কোনোভাবে সামলে নিলেও কচিকাঁচাদের অবস্থা খুবই খারাপ। গত এক সপ্তাহে অসুস্থ শয়ে শয়ে শিশু। চারিদিকে খালি বমি আর ডায়রিয়ার খবর। এমন অবস্থায় আপনার বাড়ির খুদেকে নিয়েও ভয় পাচ্ছেন? ভাবছেন, এই গরমে নিজের বাচ্চাকে কীভাবে সুস্থ রাখবেন? সেই উত্তর নিয়েই চলে এসেছি আমরা।
আসলে গরমে সবচেয়ে বেশি রোগে আক্রান্ত হয় শিশু এবং পশুরা। এমন পরিস্থিতিতে বাচ্চাদের যত্ন নিয়ে অভিভাবকদের জন্য কিছু বিশেষ পরামর্শ দিচ্ছেন শিশু বিশেষজ্ঞরা। চিকিৎসকদের মতে, এই কয়েকটি টিপস মাথায় রাখলেই রোগ মুক্ত থাকবে আপনার বাড়ির খুদেটি। ঠিক কী কী করতে বলছেন শিশু বিশেষজ্ঞরা?
চিকিৎসকরা বলছেন, এই গরমে শিশুদের সুস্থ রাখতে মোট ৪টি বিষয়ের উপর নজর রাখতে হবে। এই ৪টি বিষয়ের উপর কড়া নজরদারি চালাতে পারলেই হবেন দুশ্চিন্তামুক্ত। সেই সাথে সুস্থ থাকবে আপনার বাড়ির শিশুটিও।
প্রথমত এই গরমে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হল জল। তীব্র তাপপ্রবাহে বাচ্চাদের সুস্থ রাখতে হলে তাদের বিশুদ্ধ জল খাওয়ানো জরুরি। বাচ্চারা যাতে কোনোভাবেই ডিহাইড্রেশনের কবলে না পড়ে সেইদিকে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। এবং ভুলেও ফ্রিজের জল দেবেননা শিশুদের। প্রয়োজনে ডাবের জল, তরমুজ, শসা জাতীয় ফল দিয়ে শিশুদের বায়না মেটান।
দ্বিতীয়ত খাবারের গুণগত মানের দিকে বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন। খাবার হালকা হোক তবে তা টাটকা হোক। কোনোভাবেই পুরনো বা বাসি খাবার দেবেননা। তৃতীয়টি হল মাছির উপদ্রব। মাছির হাত থেকে বাঁচতে সবসময় খাবার ঢেকে রাখতে চেষ্টা করুন। পরিস্কার রাখুন ঘরদোর। বিশেষ করে কোনোকিছুর উপরেই যাতে মাছি বসার সুযোগ না পায় সেদিকে বিশেষভাবে নজর দিন। মনে রাখবেন এই মাছি বহু রোগ জীবাণুকে ঘরে ডেকে আনে।
এছাড়াও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হল ঘুম। গরমের কারণে ঘুম কমে যাওয়া অত্যন্ত সাধারণ একটা বিষয়। তবে খেয়াল রাখবেন, আপনার খুদেটি যেন পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে পারে। মনে রাখবেন, ঘুম ঠিকঠাক থাকলেই শরীরের অর্ধেক রোগ পালিয়ে যায়। হজম ভালো হয়, পেট ভালো থাকে। ব্যাস, এই ৪টি বিষয় মেনে চলতে পারলেই রোগ আশপাশে ঘেঁষতে পারবে না। তবে তা সত্বেও যদি বাচ্চা অসুস্থ বোধ করছে তাহলে আর অবহেলা নয়। সঙ্গে সঙ্গে কোনও নিকটস্থ চিকিৎসকের কাছে গিয়ে তার পরামর্শ নিন।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম