।।প্রথম কলকাতা।।
Normal or cesarean delivery: ডেলিভারির সময় এগিয়ে আসছে। এই অবস্হায় নর্মাল নাকি সিজার করে ডেলিভারি হবে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময়। অনেকেই প্রসবকালীন কষ্ট এড়াতে সিজার ডেলিভারি বেছে নেন। আবার অনেক সময় গর্ভাবস্হায় জটিলতা দেখা দিলে চিকিৎসকরা সিজার ডেলিভারি করান।
গর্ভাবস্থায় জটিল সমস্যা না থাকলে ডাক্তাররা নরমাল ডেলিভারির(normal delivery)পরামর্শ দেন। তাঁদের মতে, সন্তান জন্ম দেওয়ার এই উপায়টি সব থেকে নিরাপদ। তাছাড়া নরমাল ডেলিভারি হলে পরবর্তী সন্তান ধারনের সময় কোন অসুবিধা হয়না।
ডেলিভারির আর একটি উপায় হল সিজারিয়ান ডেলিভারি। কখনো কখনো এমন সময় আসে যখন মা অথবা বাচ্চা দু জনের একজনের শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়। তখন চিকিত্সক সিজার ডেলিভারির সিদ্ধান্ত নেন। আবার এমন হয় যে বাচ্চার(baby) বাবা মা কোন একটি নির্দিষ্ট দিনে সন্তানের মুখ দেখতে চান। তখন সিজারিয়ান পদ্ধতি অবলম্বন করতে হয়।
এখন প্রশ্ন কোনটা ভালো, নরমাল ডেলিভারি নাকি সিজার? সিজারিয়ানের প্রধান সুবিধা হল মা মাকে প্রসব যন্ত্রনা সহ্য করতে হয়না। তাছাড়া ভ্যাজাইনাল ইনজুরি(injury)ও অত্যাধিক রক্তক্ষরণ থেকে মুক্তি মেলে। কিন্তু এই পদ্ধতিতে পরবর্তী সময়ে সন্তান ধারণের সময় এক্টোপিক বা টিউবাল প্রেগনেন্সি, প্লাসেন্টা প্রিভিয়া, প্লাসেন্টা অ্যাক্রিটা এবং প্লাসেন্টাল অ্যাবরাপশন এর মতো সমস্যার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আর বাচ্চার শ্বাসকষ্টের সমস্যা হতে পারে।
নরমাল বা ভ্যাজাইনাল ডেলিভারি খুব কষ্টকর ও অস্বস্তিকর। এই পদ্ধতিতে শরীর থেকে অনেক ঘাম বের হয়। অ্যামনিওটিক তরল, রক্ত এবং বাচ্চার জন্মের পর প্লাসেন্টা বা নাড়ি বের হয়। এছাড়াও এই পদ্ধতিতে ভ্যাজাইনাল ইনজুরি হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে এই ইনজুরি এত বেশি হয় যে সেলাই করতে হয়। তবে এতো কিছুর পরও এর কিছু ভালো দিক আছে। যেমন নরমাল ডেলিভারিতে বাচ্চা জন্মালে সেই বাচ্চা শান্ত হয়। জন্মের পর মা ও বাচ্চা দুজনেই শারীরিক শক্তি লাভ করে। এই ক্ষেত্রে মা জন্মের ঠিক পরেই বাচ্চাকে বুকের দুধ পান করাতে পারে, ফলে মা ও সন্তানের বন্ধন দৃঢ় হয় ও বাচ্ছা সুস্থ সবল হয়।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম