।। প্রথম কলকাতা ।।
Singer Anik Biswas: রাস্তার ধারে গিটার হাতে গান গেয়েই চলেছে ছেলেটি। আর তার বিনিময়ে ছেলেটি ঠিক কি পাচ্ছেন জানেন ? কখনো টাকা, কখনো গোলাপ আবার কখনো চিঠি। ব্যাস এইটুক
এটাই নাকি তাঁর গান গেয়ে বর প্রাপ্তি। বছর ২৩ -২৪ এর ওই যুবকের গলায় কখনও রূপম ইসলাম কখনও অনুপম রায়ের গান শুনে পথচারীরা চমকে ওঠেন। কেউ দীর্ঘক্ষণ গান শুনছেন। কেউ বা আবার ওই যুবকের সঙ্গে গলাও মেলাচ্ছে। আবার কেউ ছবি ভিডিও তুলছেন। যুবকের নাম অনীক বিশ্বাস। আপনারা কি জানেন রাস্তার ধারে এই গান করার স্টাইল কে কি বলে?
তাকে বলে বাসকিং। বাসকিং এই রীতিকে আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে ও বাসকিং স্টাইলে যে শিল্পীরা গান করেন তাঁদের ঝুলিতে আরো সম্মান আদায় অনীকের লক্ষ্য। তাইতো একজন লিখেই ফেললেন খুব সুন্দর গলা খুব সুন্দর গাইছেন। এরকম প্রতিভা ভারতবর্ষের পথে ঘাটে ঘুরছে। আমরা তাদের তাচ্ছিল্য করি বলে আজকে সঠিক মানুষরা তারা নিজের জায়গাটা পায় না। আবার একজন লিখলেন খুব সুন্দর। কিন্তু অনেকেই মত এইরকম প্রতিভা গ্রাম বাংলাতেও রয়েছে। যারা সময় স্থান ও সুযোগের অভাবে ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে। এই গরমে এভাবে গিটার বাজিয়ে গান গাওয়া সোজা নয়।
না আছে ভালো মাইক। না আছে হাইফাই সাউন্ড সিস্টেম। মন থেকে গানটা ভালবাসে। মানুষকে শোনাতে চায় বলেই তো রাস্তার ধারে একটা হাতে গিটার নিয়ে গান গেয়েই চলেছেন অনীক। প্রথম বাংলাও চাই অনেকের এই প্রতিভা আরো বেশি ভাইরাল হোক তার এই প্রতিভা ছড়িয়ে পড়ুক চারিদিকে। জানা গেছে শিলিগুড়ির ছেলে অনীক
একদম মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে। ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনার জন্য কলকাতায় এলেও গানের প্রতি অনীকের ভালোবাসা তাকে গানের জগতে নিয়ে যায়। বেশ কয়েক বছর ধরে কলকাতায় থাকছে এই যুবক। পড়াশোনার পাশাপাশি গানের চর্চা চলত তাঁর।
বাইরের বিভিন্ন দেশে আমরা দেখেছি শিল্পীরা নিজের মতো রাস্তায় গান গাইছেন। তাকে কিছু সাম্মানিক দিয়ে যাচ্ছেন পথ চলতি মানুষজন। কয়েক মাস ধরে অননীকও কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে গান শোনাচ্ছেন। কখনো কলকাতা নন্দন কখনো বইমেলা তো কখনো টালিগঞ্জ মেট্রো। অনীকের একটি ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়েছে।
ভবিষ্যতে গান নিয়ে এগিয়ে যেতে চান অনীক। চারিদিকে তার কাজের প্রশংসা।তবে এক কথায় গান নিয়ে বেঁচে থাকতে চান অনীক বিশ্বাস। হয়তো বাঁচাতেও চান। আপনারাও অনীককে জানাতে পারেন কমেন্ট করে অনেক শুভেচ্ছা।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম