।। প্রথম কলকাতা ।।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে কানাডার এফেক্ট ফেড হচ্ছে। জয়শঙ্করের চালে ঘুরে গেল প্লট। আমেরিকা কুপোকাত, ট্রুডোকে এবার ভাবতে হবে। ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের লিঙ্কম্যান, জয়শঙ্করের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ওয়াশিংটন। আরও একবার প্রমাণিত, খেলা ঘোরাতে জানে ভারত। আমেরিকার মাটিতে ঝোড়ো ব্যাটিং ভারতের বিদেশমন্ত্রী জয়শংকরের। প্রথম চালে রাশিয়াকে কাছে টেনে যুক্তরাষ্ট্রকে বোঝালেন কত ধানে কত চাল। আর দ্বিতীয় চালে, আমেরিকার ক্ষততে মলম লাগিয়ে বোঝালেন ভারতের দম কত। কানাডা নিয়ে গদগদ হওয়া বাইডেনের নতুন করে চেনা বাকি ভারতকে। আর এই খেলাটা গুছিয়ে খেলেছেন শুভ্রমোনিয়াম জয়শঙ্কর।
জয় শংকর একবার বলেছিলেন সংকটের সময় তিনি শান্ত থাকতে পারেন। এবার হাতেনাতে সেই প্রমাণ দিলেন বিদেশমন্ত্রী। আর, এতেই জয়শঙ্করে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্র। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের ভূয়সী প্রশংসা করেছে আমেরিকা। বাইডেন প্রশাসনের একাধিক শীর্ষ কর্মকর্তা ভারত ও আমেরিকার সম্পর্ককে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার জন্য জয়শঙ্করকে দু’দেশের মধ্যে আধুনিক সম্পর্ক গড়ার কাণ্ডারি হিসেবে দেখতে শুরু করেছেন। জয়শঙ্কর ভারতীয় দূতাবাসে আয়োজিত সেলিব্রেটিং কালার অফ ফ্রেন্ডশিপ প্রোগ্রামে ভারত-ও আমেরিকার সম্পর্ক নিয়ে বলেছিলেন, দুদেশের সম্পর্ক সর্বকালের সেরা পর্যায়ে রয়েছে। এই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক চাঁদ ও তার বাইরেও পৌঁছে যাবে। ভারত-মার্কিন সম্পর্ককে চন্দ্রযানের সঙ্গে তুলনা করেছেন। বলেছেন, আমেরিকার সমর্থন ছাড়া G-20 এর সফল আয়োজন সম্ভব ছিল না।
আর, এই ডোজেই কাজ হলো। ভারতের দম আর দাম দুটোই বুঝলো যুক্তরাষ্ট্র। কারণ জয়শঙ্কর বলেছেন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে প্রবাসী ভারতীয়দের অবদান অসাধারণ। তুলে ধরেছেন নতুন ভারতের কথাও। ‘নতুন ভারত হল চন্দ্রযান, 5G-র ভারত, এই ভারতই G-20 আয়োজন করতে পেরেছিল। “এটা সেই ভারত যার সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সত্যিই আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে চায়”। এক সেন্টেন্সেই বুঝিয়ে দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র এখনও ভারতকে কতটা চায়। ৮ দিনের মার্কিন সফরে গিয়েছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। রবিবার, সফরের শেষদিনে বিদেশমন্ত্রীর জন্য একটা বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন আমেরিকায় ভারতের রাষ্ট্রদূত তরণজিৎ সিং সান্ধু। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাইডেন প্রশাসনের একাধিক শীর্ষ কর্তারা। সকলেই জয়শঙ্করের প্রশংসায় পঞ্চমুখ।
শতাব্দীর অন্যতম সফল দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এটা। এই নিয়ে দ্বিমত থাকতে পারে না। দুই দেশের মধ্যে গভীর বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে জয়শঙ্করকে চিনেন। আধুনিক ভারত-আমেরিকা সম্পর্কের স্থপতি জয়শঙ্কর। যদি জয়শঙ্করের অসাধারণ নেতৃত্ব না থাকত বিদেশমন্ত্রী হিসাবে, তবে দুই দেশের সম্পর্ক হয়তো আজকের মতো এত মজবুত হত না। বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করের প্রশংসা করে বলেছেন, ডেপুটি সেক্রেটারি অব স্টেটস রিচার্ড ভর্মা। ফর্মে ফিরছে যুক্তরাষ্ট্র? ভুলে গেলে তো চলবে না চীনকে শায়েস্তা করতে ভারতকে সঙ্গে দরকার বাইডেনের। তাহলে কী কানাডা এফেক্ট কাটছে? ভারতের বিদেশমন্ত্রীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ বাইডেন প্রশাসন! ট্রুডোর টেনশন বাড়তেই হবে। দিনে দিনে আরও গাঢ় হচ্ছে ভারত-আমেরিকার বন্ধুত্ব। কানাডা আরও একা হচ্ছে। ভারতের হাতে আসছে পুরো খেলা। বাকিটা শুধু সময়ের অপেক্ষা।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম