।। প্রথম কলকাতা ।।
Twitter: টুইটারের সমস্ত অফিস বন্ধ হতে চলেছে। কিন্তু কেন? এই নিয়ে নানান প্রশ্ন উঠছে ব্যবহারকারীদের মনে। স্বাভাবিকভাবেই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে টুইটের বন্যা বয়ে যাচ্ছে। বহু মানুষ আসল কারণ জানতে টুইটারে নানা রকম পোস্ট করছেন। মাইক্রো ব্লগিং সাইট টুইটার অধিগ্রহণের পরে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি এলন মাস্ক (Elon Musk) কোম্পানিতে কিছু না কিছু পরিবর্তন করেই চলেছেন।
টুইটারের যেসব কর্মীরা (Twitter employees) কোম্পানির নীতি সঠিকভাবে অনুসরণ করছেন না তাদের উপর সর্বপ্রথম আঘাতটা আসে। সর্বশেষ ঘটনা অনুযায়ী, মাস্ক একটি ইমেইল পাঠিয়েছিলেন। যেখানে কর্মচারীদের বলা হয় যে তিন মাসের বেতন পাওয়ার পর পদত্যাগ করতে হবে কিংবা তাদের কঠোর পরিশ্রমের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। মাস্কের এহেন সতর্কতার পর প্রায় একশ জনের বেশি কর্মচারী পদত্যাগ করেছেন। শুধু তাই নয়, যেসব অফিসে কর্মচারীরা পদত্যাগ করেছেন সেখানে আপাতত তালা ঝুলছে।
মাস্কের নীতিতে রীতিমত ভীত বহু কর্মী। টুইটারে প্রায় অর্ধেক কর্মীকে কোম্পানি থেকে সরিয়ে দিতে পারে। বহু কর্মচারী এতটাই ভীত যে তারা রাতেও অফিসে ঘুমাচ্ছেন। মাস্কের পক্ষ থেকে কর্মীদের একটি ফর্ম পূরণ করতে বলা হয়েছে, যেখানে কাজের অবস্থা সম্পর্কে লেখা ছিল। যদি কোন কর্মচারী তা করতে ব্যর্থ হন তবে তিনি তিন মাসের বেতন পাবেন এবং কাছ থেকে পদত্যাগ করতে হবে।
দ্যা ভার্জ এবং নিউ ইয়র্ক টাইমসের (The Verge and New York Times) রিপোর্ট অনুযায়ী, কর্মচারীরা টুইটারে থাকতে চান কিনা এই প্রশ্নে গুগল ফর্মে (Google Form) ‘হ্যাঁ’ নির্বাচন করার জন্য বৃহস্পতিবার দুপুর দুটো পর্যন্ত সময় ছিল। তবে নিজের এই সিদ্ধান্তে মাস্ক কিছুটা হলেও চিন্তিত। এখন তিনি কয়েকজন ভালো কর্মীকে খুঁজে যারা দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারবে। তিনি তাঁর এক বিবৃতিতে বলেছিলেন, কোম্পানি অধিগ্রহণের পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এটি পুনর্গঠন করতে চান। মাস্ক বর্তমানে টুইটারের অফিস গুলি বন্ধ করে দিয়েছেন। বিশেষ করে যেখানে কর্মচারীদের বরখাস্ত করা হচ্ছে। কারণ মাস্ক এবং তাঁর নেতৃত্বের দল আশঙ্কা করছেন, ছাঁটাই করা কর্মচারীরা কোম্পানির ক্ষতি করার চেষ্টা করতে পারে। প্রযুক্তি সাংবাদিক জো শিফারের (journalist Zoe Schiffer) রিপোর্ট অনুযায়ী, অফিসগুলি পুনরায় ২১শে নভেম্বর খুলবে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম