।। প্রথম কলকাতা ।।
অ্যালার্মিং সিচুয়েশন! নিউক্লিয়ার যুদ্ধের শঙ্কায় কাঁপছে গোটা পৃথিবী। তলে তলে সারা দুনিয়ায় পারমাণবিক অস্ত্রের জাল বিছিয়ে দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র-চীন- রাশিয়া। যদি পারমাণবিক যুদ্ধটা লেগে যায়, পরিণাম কিন্তু মারাত্মক হতে পারে। স্যাটেলাইট ইমেজে এটা কী ধরা পড়ে গেল? নিউক্লিয়ার পাওয়ার সম্পর্কে কতটা ওয়াকিবহাল আপনারা? খতরনাক প্ল্যানে সামিল বিশ্বের ৩-৩ টে দেশ।নিজেদের পারমানবিক সক্ষমতা বাড়িয়ে চলেছে চীন- যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া পৃথিবী জুড়ে নিউক্লিয়ার যুদ্ধের যে উত্তেজনা মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে তার জন্য পশ্চিমা মিডিয়া দায়ী করছে রাশিয়াকে। কিন্তু একচেটিয়া ভাবে পুতিনই কি দায়ী?
গোপনে তো যুক্তরাষ্ট্র চীন রাশিয়ার মতোই বাড়িয়ে চলেছে সামরিক স্থাপনা। গেল ৩-৫ বছর ধরে তোলা স্যাটেলাইট ইমেজ বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য প্রকাশ করেছে সিএনএন। তলে তলে টানেল, রাস্তা, অস্ত্রাগার নির্মাণ করেছে তিন তিনটে দেশ। জিনজিয়াং অঞ্চলে চীন, আর্কটিক মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জে রাশিয়া, আর নেভাদা মরুভূমিতে পারমাণবিক সম্প্রসারণ বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র পারমাণবিক কর্মসূচি জোরদারে এই তিনটে দেশই প্রচুর টাকা এবং সময় ইনভেস্ট করছে। রিস্ক বাড়ছে গোটা বিশ্বে। যে কোনও সময় পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা চালানো হতে পারে। প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে রাখি, এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র ১০৩২ টি, রাশিয়া ৭১৫ টি পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা চালালেও মাত্র ৪৫ টার মতো পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে বেইজিং। যার বেশিরভাগই ছিল ৮০ দশকের সেকেলে প্রযুক্তির কিন্তু, পারমাণবিক অস্ত্রগুলো কতটা ধ্বংসাত্মক? আন্দাজ আছে?
পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করা হয় সর্বোচ্চ ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর জন্য। তবে ধ্বংসের মাত্রা কেমন হবে তার নির্ভর করে ওয়ার হেডের আকার মাটি থেকে কতটা উঁচুতে এটা বিস্ফোরিত হবে এবং স্থানীয় পরিবেশের উপর। কিন্তু ক্ষুদ্রতম পারমাণবিক অস্ত্র ব্যাপক প্রাণহানি এবং দীর্ঘস্থায়ী পরিণতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। বোঝার সুবিধার্থে জানিয়ে রাখি একটা নিউক্লিয়ার ওয়ারহেড মুহুর্তের মধ্যে কয়েক লক্ষ মানুষকে মেরে ফেলতে পারে। পরিবেশের উপরেও প্রচন্ড ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। পারমাণবিক অস্ত্রের আঘাতে কয়েক কিলোমিটার জুড়ে তৈরি হবে শুধুই ধ্বংসস্তূপ। বৈশ্বিক বা আঞ্চলিক পারমাণবিক যুদ্ধ হলে এর মারাত্বক প্রভাব পড়বে পুরো পৃথিবীতে। পুরো বিশ্ব অন্ধকারে ডুবে যাবে।
বিশ্বের তাপমাত্রা কমে যাবে। কমবে সমুদ্রের টেম্পারেচারও। এতে ৬ মিলিয়ন স্কয়ার মাইল অংশজুড়ে বরফ জমা হবে। যে বরফ হাজার বছরও স্থায়ী হতে পারে। বরফ জমে গেলে চীনের তিয়ানজিন, কোপেনহেগেন এবং রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ বন্দরগুলো আটকে যাবে। মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়ে যাবে গোটা বিশ্ব।
পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্তার রোধে অঙ্গীকারবদ্ধ হলেও আধুনিকায়ন এবং সক্ষমতা বৃদ্ধির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রান্স, চীন, ভারত, উত্তর কোরিয়া, ইজরাইল, পাকিস্তান। এই নটি দেশের হাতে মোট ১২৭০০ টি নিউক্লিয়ার ওয়ারহেড রয়েছে। যেগুলোর প্রতিটির সক্ষমতা হিরোশিমা নাগাসাকিতে ফেলা বোমার কয়েক গুণ। ফলে যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়া ও চীনের পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার খবরে আতঙ্কের শিখিয়ে যাচ্ছে গোটা বিশ্ব।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম