।। প্রথম কলকাতা ।।
Pandit Ajoy Chakrabarty: অনেকেই চান সেলিব্রিটি সংগীতশিল্পীদের কাছে সন্তানকে গান শেখাতে। কিন্তু, সবসময় সেই স্বপ্ন পূরণ হবে এমনটা তো নয়। বিশেষ করে পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তীর মতো প্রখ্যাত শিল্পীর কাছে গান শিখতে পারাটা সত্যিই বিরাট ব্যাপার। অনেকে ভাবেন, মোটা অংকের টাকা দিলেই স্বপ্ন পূরণ হয়ে যাবে। আসলে অজয় চক্রবর্তীর গানের অ্যাকাডেমি শ্রুতিনন্দনে ভর্তি হতে মাসিক খরচ নিমিত্ত। ৮০০ থেকে হাজারের মধ্যে। একথা অনেকেরই অজানা যে, ট্যালেন্টই এখানে শেষ কথা। চলুন এখানে ভর্তির খুঁটিনাটি জেনে নেওয়া যাক।
প্রত্যেক বছর ১৫ জানুয়ারি থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত একমাস নাম লেখাতে হয়। এরপর একটা অডিশনের জন্য ডেট দেওয়া হয়। সেখানে যারা সিলেক্ট হয় তারাই একমাত্র শ্রুতিনন্দনে গান শেখার সুযোগ পায়। ৬ থেকে ১২ বছর পর্যন্ত ছেলেমেয়েরা এখানে গান শেখার জন্য ফর্ম তুলতে পারে। সেই সময় একটা বার্থ সার্টিফিকেটের জেরক্স কপি লাগে। এই ফর্মের দাম এমন কিছু নয়। একটা টোকেন মানি নেওয়া হয়। আর মাসিক খরচ ৮০০ থেকে হাজারের মধ্যে। তার বেশি নয়। তবে প্রত্যেকবারই যে সংখ্যাটা একই থাকে এমনটা নয়। কিছু পরিবর্তন হয়।অনলাইনে নাম লেখানো হয় না। শ্রুতিনন্দনে গিয়েই সেটা করতে হয়। কারন তখন বলে দেওয়া হয় অডিশানের জন্য কোন তারিখটা দেওয়া হচ্ছে। অডিশানের পর নামের লিস্ট বের করা হয়।
এখানেই শেষ নয়। যে সব বাচ্চারা সিলেক্ট হয় তাদের মা-বাবাদের সঙ্গে একটা টেলিফোনিক ইন্টারভিউ হয়। কারন শ্রুতিনন্দনে সপ্তাহে একদিন ক্লাস হয়। বাকি দিনগুলিতে বাড়িতে বাচ্চাদের ঠিক মতো রেওয়াজ করানো অভিভাবকদের সম্ভব কিনা সেটা জেনে নেওয়া হয়।সেক্ষেত্রে যদি কারও সমস্যা থাকে তাহলে সেই বাচ্চার নাম লিস্ট থেকে কেটে দেওয়া হয়। শ্রুতিনন্দনের তরফে কখনও কাউকে টাকা দিয়ে ভর্তি হওয়ার জন্য মোটিভেট করা হয় না। মা-বাবাদের সঙ্গে ইন্টারভিউ হওয়ার পর যাঁরা তাঁদের সন্তানকে ভর্তির জন্য প্রস্তুত থাকেন তাঁরাই কেবলমাত্র ফর্ম নিয়ে বাচ্চাদের ভর্তি করান। নতুন সেশন শুরুর আগে শ্রুতিনন্দনের একটা মিটিং হয়। সেখানে ফি কত হবে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় একটা ক্লাস হয়। শনিবার দুপুর দুটো থেকে ক্লাস শুরু হয়। রাত আটটা-নটা পর্যন্ত চলে। রবিবার সকাল ১০ টা থেকে রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত গান শেখানো হয়। বয়স আর ট্যালেন্টের বিচারে কোন সময় কে গান শিখবে সেটা ঠিক করে শ্রুতিনন্দন। এছাড়া অনলাইনে পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তীর পার্সোনাল একটি ক্লাস হয়। সেটা হয় মাসে দুদিন। লাইভ রেকর্ডিং হয় সেখানে। এছাড়াও সিনিয়রদের জন্য একটা বিশেষ বন্দোবস্ত রয়েছে। যাঁরা নিয়মিত গান শেখেন না কিন্তু, আগ্রহ রয়েছে তাঁদেরকেও পণ্ডিতজি নিজে ক্লাস করান। সেটা হয় বছরে ছটা।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম