।। প্রথম কলকাতা ।।
Aindrila Sharma Last Journey: সবার প্রার্থনা, চেষ্টাকে মিথ্যে করে দিয়ে মাত্র ২৪ বছর বয়সে চলে গেলেন ঐন্দ্রিলা। দীর্ঘ ২০ দিনের জীবনযুদ্ধে ইতি। আর ধকল সইতে পারল না শরীরটা, না ফেরার দেশে চলে গেলেন অভিনেত্রী। ছুটির দিনে হাসপাতাল, কুঁদঘাটের বাড়ি, টেকনিশিয়ান স্টুডিওর পাশাপাশি কেওড়াতলা শ্মশানে তাঁকে শেষবার দেখতে ভিড় জমান অনুরাগীরা। যদিও ঢুকতে পারেননি কেউই। সকলকে দাঁড়িয়ে যেতে হল গেটের বাইরেই। ভিতরে যেতে পারেন সরকারি প্রতিনিধি সহ ঐন্দ্রিলার পরিবার। রবিবার তাঁদের উপস্থিতিতেই শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় অভিনেত্রীর।
নিজের হাতে ঐন্দ্রিলাকে ফিরিয়ে আনবেন বলেছিলেন, লড়াইয়ে তাঁর সহযোধ্যা সব্যসাচী। কিন্তু তা আর হল না। তবে লড়াইয়ের শেষ মুহূর্তেও একলা ছাড়েননি তাঁকে। শববাহী গাড়ির সামনে বিমূর্ষ দেখিয়েছে সব্যসাচীকে। প্রিয় মানুষটিকে হারিয়ে পুরো পাথর হয়ে গিয়েছেন। বিগত এত দিন ধরে ঐন্দ্রিলা ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে রাত জেগেছেন তিনিও। প্রার্থনা করেছেন অগণিত মানুষ। আজ সেই সমস্ত কিছু থেমে গিয়েছে। রবিবার দুপুরে অভিনেত্রীর মৃত্যুর খবর জানানো হয়। বিকেলে হাসপাতাল থেকে কুঁদঘাটের বাড়িতে নিয়ে আসা হয় তাঁকে। শেষবার অভিনেত্রীর মুখ দেখতে সেখানেও জড়ো হয়েছিলেন প্রচুর মানুষ। আর তারই মাঝে শেষবার পরম যত্নে বোনকে সাজিয়ে দেন দিদি। কপালে টিপ দিয়ে, ঠোঁটে লিপস্টিক পরিয়ে, বোনের গালে আলতো ছোঁয়ায় ব্লাশ লাগিয়ে দেন দিদি ঐশ্বর্য।
অল্প সময়েই টেলি দুনিয়ার অত্যন্ত জনপ্রিয় মুখ হয়ে ওঠেন ঐন্দ্রিলা। ধারাবাহিক, টেলিফিল্ম, ওয়েব সিরিজে তাঁর অভিনয় প্রশংসা পেয়েছে। আর এই ক’দিনে তিনি সকলের ঘরের মেয়ে হয়ে উঠেছিলেন। আজ তাঁর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ গোটা শহর। ফিনিক্স হয়ে আর ফেরা হল না অভিনেত্রীর। এদিন মেয়েকে শেষ বিদায় জানানোর সময় অঝোরে কাঁদতে দেখা গিয়েছে মা শিখা শর্মাকে। চোখের জলে মেয়েকে বিদায় জানালেন বাবা উত্তম শর্মা সহ পরিবার। ‘জি ২৪ ঘন্টা’য় প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী মেয়ের বিদায় বেলায় মা বলেছেন, ‘ও আমার পরিবারের মেরুদণ্ড ছিল। বড় মেয়ে পেশায় চিকিৎসক, কিন্তু বড় হয়েও বোনের থেকেই সমস্ত পরামর্শ নিত। এটা করব বোন? ওটা করব? সুখীই ছিলাম আমরা। মেয়ে অসময়ে চলে গেল, ফিরিয়ে আনতে পারলাম না’।
কুঁদঘাটের আবাসন থেকে অভিনেত্রীর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় টেকনিশিয়ান স্টুডিওতে। শেষকৃত্যে অভিনেত্রীর স্টুডিও পাড়ার কিছু বন্ধু হাজির ছিলেন। মিশমি দাস, ঋজু বিশ্বাস, রাজ চক্রবর্তী, উষষী চক্রবর্তী, মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। ‘আজ তাক বাংলা’য় প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী এদিন মুখাগ্নি করেছেন অভিনেত্রীর লড়াইয়ে আগাগোড়া তাঁর পাশে থাকা ছায়াসঙ্গী সব্যসাচী। ১ নভেম্বর আচমকা ব্রেন স্ট্রোক হয়ে হাওড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ঐন্দ্রিলা শর্মা। দু’বার ক্যান্সারকে হারিয়ে ফিরলেও এবার আর ফেরা হল না। সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন ঐন্দ্রিলা।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম